<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের পরিস্থিতি আরো অশান্ত হয়ে উঠেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের বাড়িতেও হামলা হয়েছে। উন্মত্ত জনতার একটি দল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এই ঘটনা যখন ঘটে তখন মুখ্যমন্ত্রী বিরেন বাড়িতে ছিলেন না। এদিকে এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারের কর্মসূচি বাতিল করে গতকাল রবিবার দিল্লি ফিরে গেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে অশান্ত মণিপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জিরিবাম, ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিমে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, বিষ্ণুপুর, চূড়াচাঁদপুরসহ মোট সাত জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব ও বিষ্ণুপুর থেকে মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একাধিক পিস্তল, কার্তুজ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছয়জনের মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে মেইতেইদের বিক্ষোভে পুড়ছে মণিপুরের ইম্ফল উপত্যকা। মণিপুরের জিরিবাম জেলায় মেইতেই জনগোষ্ঠীর ওই নিখোঁজ ছয়জনের মরদেহ পাওয়ার পর নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। এই নিহতদের মধ্যে এক নবজাতক ও দুই নারী আছেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মেইতেইরা রাস্তায় নেমে আসে, তারা সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত সপ্তাহের সোমবার রাতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুক লড়াইয়ে কুকি সম্প্রদায়ের ১০ সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত হন। ওই দিন থেকেই এই ছয়জন নিখোঁজ ছিলেন। পরে গত শুক্র ও শনিবার আট মাসের ওই শিশুসহ ছয়জনের লাশ জিরিবামের বারাক নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। তারা একই পরিবারের সদস্য ছিল। কুকি জঙ্গিরা তাদের অপহরণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও মণিপুর সরকারের তরফে উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। ছয়টি দেহ উদ্ধারের পর থেকেই জিরিবাম জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মেইতেইরা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত শনিবার পিডাব্লিউডি মন্ত্রী গোবিন্দাস কণ্ঠৌজাম, বিজেপি বিধায়ক ওয়াই রাধেশ্যাম, বিজেপি বিধায়ক পাওনাম ব্রজেন, কংগ্রেস বিধায়ক টি এইচ লোকশ্বরের বাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে। সে সময় মন্ত্রী, বিধায়ক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না। ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে বিক্ষোভকারীরা প্রথমে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ইম্ফল পূর্বে লুয়াংশাংবামে মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের পৈতৃক বাড়িতে হামলার অভিযোগও উঠেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী এবং আসাম রাইফেলসের জওয়ানদের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।  িবক্ষোভ দমন করতে রবার বুলেট, কাঁদুনে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী। তার পরও মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যাওয়ার পথে অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে লোহার রড ফেলে রাখা হয়েছে। হামলাকারীদের দাবি, জিরিবাম জেলায় ছয়জনকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা</span></span></span></span></span></p>