<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার ভেতরে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে ইউক্রেনকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে এক মার্কিন কর্মকর্তা সিবিএস নিউজের কাছে দাবি করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা এখনো না এলেও এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কার্যালয় ক্রেমলিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, রাশিয়ার ভেতরে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুমতি দিয়ে বাইডেন আগুনে ঘি ঢালছেন। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাৎক্ষণিকভাবে এমন  খবরে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এটিএসিএমএস নামে পরিচিত  দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি চেয়ে আসছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিনের নির্মিত এই ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে আঘাত হানতে পারে এবং এর প্রচণ্ড গতির কারণে এটিকে প্রতিহত করা কঠিন।  জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে এটিএসিএমএস ব্যবহার নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি আদৌ দিয়েছে কি না তা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেননি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি মিত্রদের কাছে একটি বিজয় পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন, যেটির মধ্যে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জন্য দীর্ঘ পরিসরের সক্ষমতার দিকটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনেক গণমাধ্যম বলছে, আমরা যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি পেয়েছি। কিন্তু মুখের কথা দিয়ে হামলা চালানো হয় না। এ ধরনের কথা ঘোষণা করা হয় না। ক্ষেপণাস্ত্রই  নিজের পক্ষে কথা বলবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কিয়েভভিত্তিক ইউক্রেনিয়ান সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন সেন্টারের চেয়ারম্যান সেরহি কুজান বলেছেন, জো বাইডেনের সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি পরিবর্তন করবে না, কিন্তু আমি মনে য়করি এটা আমাদের বাহিনীকে প্রতিপক্ষের আরো সমান করে তুলবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার রাশিয়ার সিদ্ধান্তের জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে বাইডেনের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আর দুই মাসের মতো ক্ষমতায় আছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন সদ্য নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে অনুমতি দেওয়ার খবরের কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট  পুতিন। তবে অতীতে এ ধরনের পদক্ষেপের বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে সাবধান করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটি হবে ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো সামরিক জোটের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরাসরি অংশগ্রহণ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। তবে রাশিয়ার সিনিয়র রাজনীতিকরা একে মারাত্মক উসকানি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। রাশিয়ার গভীরে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে কিয়েভকে ওয়াশিংটনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তে ইউক্রেন যুদ্ধ আরো তীব্র হবে, আর তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন একজন জ্যেষ্ঠ রুশ আইন প্রণেতা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র : বিবিসি, সিবিএস নিউজ, দ্য ইকোনোমিক টাইমস</span></span></span></span></p>