<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সৌদি আরবের তায়েফ প্রদেশ এখনো কৃষির সুপ্রাচীন ঐতিহ্যটি যত্নের সঙ্গে লালন করে। সুপ্রাচীন অর্গানিক ফার্মিং বা জৈব খামার ব্যবস্থাকে এখানকার কৃষকরা বুকে আগলে রেখেছে। কৃত্রিম সার আর কীটনাশককে তারা সচেতনভাবে এড়িয়ে চলে। বংশপরম্পরায় তারা একটা কৃষিসূত্র মেনে চলে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর তা হলো, কৃষিতে এমন কিছু প্রয়োগ করা যাবে না, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সৌদি সরকারের মতে, ঠিক এই কারণেই তায়েফের অধিবাসীরা অধিকতর সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। এখানেই শেষ নয়, ওখানকার মাটি, পানি, উদ্ভিদ আর জীবজন্তুর মাঝেও দেখা যায় অফুরান সতেজতা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তায়েফের কৃষকরা ঐতিহ্যগতভাবে প্রাণী ও উদ্ভিদের বর্জ্য একসঙ্গে মিশিয়ে তা থেকে প্রাকৃতিক সার তৈরির সনাতনি পন্থা অনুসরণ করে। ৮০ বছরের প্রবীণ কৃষক সাইয়িদ আল তালহি জানান, তিনি যুবক বয়স থেকেই তায়েফের আল সাফা পর্বতমালায় জৈব কৃষি পদ্ধতিতে চাষ করে আসছেন। তিনি মিডিয়াকে তথ্য দেন, তায়েফে জৈব খামার ব্যবস্থা এখন বিকাশমান শিল্পে পরিণত হয়েছে। তার ভাষায়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোক্তারা পুষ্টিকর জৈব ফসল বা কৃষিপণ্য প্রত্যাশা করে। আর ভোক্তাদের চাহিদার কারণে তায়েফের জৈব কৃষির পালে নতুন করে হাওয়া লেগেছে। এখানকার পাহাড়ি জনপদে কৃষিকাজ করতে গিয়ে আমি এটা বুঝতে পেরেছি, সনাতনি কৃষিকৌশল থেকে জৈব কৃষি কৌশল অনেক বেশি নিরাপদ। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত কৃষিপণ্য নিশ্চিত করতে চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি জানান, জৈব কৃষি গ্রিনহাউস পদ্ধতির পাশাপাশি খোলা প্রান্তরেও করা যায়। তবে দুটি পদ্ধতির মূল কথা হচ্ছে, কৃত্রিম সার ও কীটনাশক থেকে দূরে থাকতে হবে। তিনি জানান, সরকারও নানাভাবে কৃষকদের সহযোগিতা ও উৎসাহ দিচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লেখ্য, হালের বহুল আলোচিত অর্গানিক খাবার হলো যে শস্য বা খাদ্য উৎপাদনে কোনো প্রকার কৃত্রিম সার, কীটনাশক, আগাছানাশক ব্যবহার করা হয় না। উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় না জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতিও। অর্থাৎ যে খাদ্য একেবারেই প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত হয়েছে। শস্য বা শাকসবজি, ফলমূল ছাড়া প্রাণিজ খাদ্যও অর্গানিকের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। একই কারণে জৈব কৃষি এমন একটি আদর্শ পদ্ধতি, যা প্রকৃতির সঙ্গে সমন্বিত ও টেকসই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জৈব কৃষি আবার নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী-পুরুষের পারস্পরিক নির্ভরশীলতাও সৃষ্টি করে। জৈব কৃষি পদ্ধতিতে মাটি সব সময় উর্বর থাকে এবং এই উর্বরতা উত্তরোত্তর বাড়ে। কারণ জৈব কৃষিতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈবসার ব্যবহার করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশেষজ্ঞদের মতে, জৈব চাষ শুধু কম পানি এবং মাটিদূষণের দিকে পরিচালিত করে না; গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতেও পরোক্ষ অবদান রাখে। এটা পরিবেশবান্ধব। ফসলের জৈব চাষ বাস্তবায়নের আরেকটি সুবিধা হলো যে উৎপাদিত ফসল সব সময়ই উচ্চ মানের হয়। সূত্র : এরাব নিউজ</span></span></span></span></span></p>