<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অল্প সময়ের জন্য সামরিক শাসন কায়েমের জেরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল আগামীকাল শনিবার অভিশংসনের মুখে পড়তে যাচ্ছেন। এশিয়ার এই দেশটিতে গণতন্ত্র পাকাপোক্তভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন নাটকীয় ঘটনার পর দেশটিতে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত মঙ্গলবার সবাইকে চমকে দিয়ে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দেন ইউন সুক ইওল। এর পরপরই সামরিক বাহিনীর জেনারেল পার্ক আন-সু রাজনৈতিক দল, জন সমাবেশ, শ্রমিক সংগঠন সব কিছুর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি। শুধু এসবই নয়, গণমাধ্যম পর্যন্ত চলে যায় সামরিক নিয়ন্ত্রণের অধীনে। এক কথায় দক্ষিণ কোরিয়ার গণতান্ত্রিক কাঠামোর মূল স্তম্ভগুলো নড়ে উঠে ওই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই ঘোষণার পর হাজার হাজার মানুষ এর প্রতিবাদে পার্লামেন্টের সামনে সমবেত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা রাজধানী সিউলের জাতীয় পরিষদ ভবনে প্রবেশ করেন। ইওলের চিফ অব স্টাফ ও জ্যেষ্ঠ সচিবরা একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। অন্যদিকে বিরোধী আইন প্রণেতারা দ্রুত পার্লামেন্টে যান। জরুরি ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য চাপ দেন। ভোটে পরাজিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহার করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে গত বুধবার বিরোধী দলের আইন প্রণেতাদের একটি জোট জানিয়েছিল, তারা পার্লামেন্টে ইওলকে অভিশংসন করার জন্য একটি বিল উত্থাপন করেন। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাবের ওপর স্থানীয় সময় আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, ৩০০ সদস্যের জাতীয় পরিষদে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। বর্তমানে ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সদস্য মিলে তাদের আসন সংখ্যা ১৯২। ফলে অভিশংসন পাস করতে হলে ইওলের দল পিপল পাওয়ার পার্টির অন্তত আটজন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় পরিষদে অভিশংসন বিল পাস হলে প্রেসিডেন্ট ইওন সাময়িকভাবে তার ক্ষমতা হারাবেন। এরপর বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠানো হবে। সাংবিধানিক আদালতের ৯ জন বিচারকের মধ্যে কমপক্ষে ছয়জন যদি অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন, তাহলে প্রেসিডেন্ট ইওলকে স্থায়ীভাবে পদচ্যুত করা হবে।  ইওল পদত্যাগ করলে বা তাকে সরিয়ে দেওয়া হলে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্তর্বর্তী সময়ে রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত মঙ্গলবার সামরিক শাসন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই ইওল নিশ্চুপ রয়েছেন। এই অভিশংসন এড়ালেও ৬৩ বছর বয়সী এই পিপল পাওয়ার পার্টির নেতা আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন। কারণ সামরিক আইন প্রয়োগের ব্যর্থ চেষ্টার দায়ে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং অন্যান্য সম্পর্কিত অপরাধের অভিযোগে ইওন ও তার শীর্ষ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে পুলিশ। এই অপরাধের সাজা মৃত্যুদণ্ড।</span></span></span></span></span></p>