<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত মাসে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে লেবানন থেকে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। সেখানে লেবাননের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। একজন শীর্ষ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা এই প্রত্যাহার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> পর্যবেক্ষণের জন্য বৈরুত সফর করেছেন। গত বুধবার ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এই তথ্য জানিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে সেন্টকম জানিয়েছে, সেন্টকমের নেতা জেনারেল এরিক কুরিলা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে আল-খিয়াম শহর থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং সেখানে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতিস্থাপনের সময় বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ সদর দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল জোসেফ আউনের সঙ্গেও দেখা করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পোস্টে আরো বলা হয়, চুক্তির অংশ হিসেবে লেবাননের আল খিয়াম শহরে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে এবং একই সঙ্গে সেখানে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিস্থাপনের বিষয়ে নজরদারি করতে কুরিলা উপস্থিত ছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুরিলা বলেছেন, এটি দীর্ঘস্থায়ী শত্রুতা বন্ধ বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ এবং অব্যাহত অগ্রগতির ভিত্তি স্থাপন করেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মধ্যে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স। এক বছরেরও বেশি সময় যুদ্ধের পর স্বাক্ষরিত এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি সেনাদের পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহারের আহবান জানানো হয়। ওই চুক্তির অধীনে হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবাননে তাদের অবস্থান ছেড়ে লিতানি নদীর উত্তরে চলে যাবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দক্ষিণাঞ্চলে সেনা মোতায়েনের প্রক্রিয়া শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আজ (বুধবার) খিয়াম ও মারজায়ুন এলাকায় সেনা পাঠানোর বিষয়টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের সপ্তম ব্রিগেড দক্ষিণ লেবাননের খিয়ামে তাদের অভিযান শেষ করেছে। ইসরায়েল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির সমঝোতা চুক্তি অনুসারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে লেবাননের সেনাদের খিয়াম এলাকায় নিয়ে সেখানে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনীর (ইউএনএফআইএল) সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে। ওই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশন রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। ওই ঘটনার জেরে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি তাণ্ডব শুরু হয়। একই সঙ্গে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গেও ইসরায়েলি সেনাদের লড়াই চলে আসছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করে। ইসরায়েল আগে সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মধ্যে লড়াই সীমিত রাখলেও সেপ্টেম্বরে স্থল অভিযান শুরু করে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষ নিহত ও আহত হয়। পরে গত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ২৭ নভেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা এখনো বহাল আছে। তবে উভয় পক্ষই একে অন্যের ওপর বারবার এই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে। সূত্র : এএফপি</span></span></span></span></span></p>