<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খান তাঁর দলকে দৃঢ় নির্দেশনা জারি করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বন্দিদের মুক্তির ইস্যুতে যেন কোনো আপস না হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাওয়ালপিণ্ডির আদিয়ালা কারাগারে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেওয়া কমিটির দুই সদস্য ব্যারিস্টার আলী জাফর ও সুলেমান আকরাম রাজার সঙ্গে বৈঠকের সময় ইমরানের বার্তাটি এসেছে। আগামীর জন্য নির্ধারিত দ্বিতীয় দফা আলোচনার আগে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে পিটিআইয়ের কৌশল চূড়ান্ত করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানিয়েছেন সুলেমান আকরাম রাজা। তিনি বলেছেন, আমরা নিজেদের অবস্থানে অটল আছি এবং আলোচনায় সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী। বৈঠক শেষে কমিটির দুই সদস্য কারাগার ত্যাগ করেন। ইমরান খান কমিটির সদস্যদের পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন, বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে কোনো চাপের কাছে যেন নতি স্বীকার না করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবারের আলোচনাটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর আগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রথম দফা আলোচনা হয়েছে। ওই সময় উভয়পক্ষ আলোচনা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার আলোচনায় পিটিআইয়ের সঙ্গে সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে থাকবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকারি দলটির নেতৃত্বে উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার এবং সিনেটর ইরফান সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন। পিটিআইয়ের আলোচনা কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার, এজাজ চৌধুরী, হামিদ রাজা এবং রাজা নাসের আব্বাসের মতো নেতারা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত বছরের ৯ মে বিক্ষোভে জড়িত থাকার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১৯ জনের জমা দেওয়া ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ৯ মের ট্র্যাজেডির দোষীদের শাস্তি ঘোষণার পর তারা আপিল করার অধিকার প্রয়োগ করেছে এবং তারা শাস্তির বিপরীতে ক্ষমা চেয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইএসপিআর জানিয়েছে, মোট ৬৭ জন ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছে। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের আবেদন আপিল আদালতে প্রক্রিয়াধীন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাকি দোষীদের ক্ষমা চাওয়ার আবেদনের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সব দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের আপিল করার এবং আইন ও সংবিধান অনুযায়ী অন্যান্য আইনি প্রতিকার পাওয়ার অধিকার বজায় রাখা হয়েছে বলেও জোর দিয়ে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শাস্তি মওকুফ করা হলো যথাযথ প্রক্রিয়া এবং ন্যায্যতার প্রমাণ। এতে সমবেদনা এবং করুণার দিকগুলো বিবেচনায় রেখে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৩ সালের ৯ মে পাকিস্তানব্যাপী সহিংসতার সময় সামরিক স্থাপনায় আক্রমণে ভূমিকার জন্য ৬০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিককে গত ডিসেম্বরে সামরিক আদালতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একই ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য ২৫ জন বেসামরিক নাগরিককে কারাগারে দেওয়া হয়েছে বলে আইএসপিআর ঘোষণা দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন পর এই সাজার রায় আসে। আইএসপিআর জানিয়েছে, লাহোরের কর্পস কমান্ডার হাউস, রাওয়ালপিণ্ডিতে জেনারেল হেডকোয়ার্টার (জিএইচকিউ), ফয়সালাবাদে আইএসআই অফিস এবং বান্নু ক্যান্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও সরকারি স্থাপনায় সহিংস হামলায় জড়িত থাকার জন্য এসব ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ৯ মের ঘটনায় ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল সব প্রমাণাদি পরীক্ষা করে দোষীদের সব আইনি অধিকারের বিধান নিশ্চিত করার পর অবশিষ্ট ৬০ জন অপরাধীর শাস্তি ঘোষণা করেছে। যথাযথ প্রক্রিয়া এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এটি করা হয়েছে। দেশীয় আইন মেনে দোষী সাব্যস্তরা আপিল করতে পারবেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইমরান খানকে বানিগালায় থাকার প্রস্তাব : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইমরান খানকে একটি চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যার আওতায় তিনি কারাবাসের বাকি সময় কাটাতে পারবেন ইসলামাবাদে তাঁর বাসভবন বানিগালায়। গতকাল তাঁর আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী আদিয়ালা কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ইমরান খান বলেছেন, তাঁকে বানিগালায় স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে বিনা বিচারে আটকদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তিনি কোথাও স্থানান্তর হতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় গণমাধ্যমে গত মাসে কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইমরান খানকে আদিয়ালা জেল থেকে তাঁর বাসভবনে স্থানান্তর করা হতে পারে।  সরকার পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে গৃহবন্দি করার একটি চুক্তির প্রস্তাব বিবেচনা করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে তাঁকে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না এবং আন্দোলনের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইমরানের বোন আলেমা খান বলেছিলেন, ইমরান সরকারের সঙ্গে চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। যখন তিনি এরই মধ্যে দেড় বছর কারাগারে কাটিয়েছেন, তখন কেন তিনি কোনো চুক্তি করবেন। সূত্র : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>