<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে সংঘর্ষ পুরোপুরি থামেনি বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মণিপুরে পরিস্থিতি মোটের ওপর শান্ত থাকলেও ঘুরেফিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেই চলেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে মণিপুর অশান্ত থাকলেও লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে দাবি করেছেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তাঁর কথায়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশও অব্যাহত রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ভারতের সেনাপ্রধান। দেড় বছর ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। পরিস্থিতি কয়েক দিন ঠিক থাকার পর আচমকা নতুন করে অশান্তির আগুন জ্বলে উঠছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মণিপুরের সংঘর্ষ আদিবাসী জাতিসত্তার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তাই সংবেদনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আশা করছি, নতুন রাজ্যপাল পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে মণিপুরে সংঘর্ষ থামাতে না পারার পেছনে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নিয়ে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন সেনাপ্রধান। মায়ানমারের অশান্ত পরিস্থিতি মণিপুরেও অস্থিরতার কারণ হতে পারে, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি। তাঁর কথায়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মায়ানমারে সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। বহু মানুষ প্রাণে বাঁচার তাগিদে মণিপুর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে চলেছে। এমনকি প্রতিবেশী দেশের সেনারাও কখনো কখনো ঢুকে পড়ছেন। অস্ত্র হাতে যাঁরা আসছেন, তাঁদের অস্ত্র সমর্পণ করে ভারতের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে এমন ব্যক্তিরাও রয়েছেন, যাঁদের লক্ষ্য মণিপুরে অস্থিরতা তৈরি করা। তাঁদের চিহ্নিত করাই প্রশাসনের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ। সেনাপ্রধান জানান, লাদাখ সীমান্ত স্পর্শকাতর হলেও স্থিতিশীল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মণিপুরের জাতিগত সহিংসতার সমাধান করে উত্তর-পূর্ব রাজ্যটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ সেনাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। গতকাল মঙ্গলবার নবম আর্ম ফোর্সেস ভেটেরানস দিবস ফোর্স্ট ব্যাটালিয়ন মণিপুর রাইফেলসের একটি ভোজসভায় তিনি এমন আহবান জানান। তিনি বলেন, দেশের জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বীরেন সিং বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সুস্থতা, সতর্কতা এবং প্রস্তুতিপূর্ণ জীবন যাপন করেন। অতীত এবং বর্তমান সময়ে তাঁদের যে ত্যাগ, তার জন্য আমাদের সবার তাঁদের ধন্যবাদ জানানো উচিত।  সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস</span></span></span></span></span></p>