ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬
গাজায় সহায়তা জোরদার করছে ত্রাণ সংস্থাগুলো

‘আমাদের সন্তানরা চরম মূল্য দিচ্ছে’

  • * ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ২৮৩ জনে * গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও নিহতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
‘আমাদের সন্তানরা চরম মূল্য দিচ্ছে’
মধ্য গাজার বুরেইজে গতকাল ত্রাণ নেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের ভিড়। ছবি : এএফপি

দিনশেষে আমাদের সন্তানরাই চরম মূল্য দিচ্ছে। আমরা জানি না কী করব! এভাবেই গাজায় খান ইউনিস শহরে একটি আশ্রয়শিবিরের তাঁবুতে নিজের সন্তানদের কষ্ট-দুর্দশা আর নিজের অসহায়ত্বের কথা বর্ণনা করেন রামঝি। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা তাঁর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। বেইত হানুনের এই ফিলিস্তিনি বাবা বাস্তুচ্যুত হয়ে এখন এই শিবিরে রয়েছেন।

ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে গত ১৫ মাসে একাধিকবার পরিবার নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দুই সন্তান দীর্ঘ সময় ধরে রোগব্যাধিতে ভুগছে। ইসরায়েলের অবিরাম হামলার সময়টিতে তারা না পেয়েছে  উপযুক্ত চিকিৎসা, না পেয়েছে খাবার। নিজেদের দুর্বিষহ জীবনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
পানি, বিদ্যুৎ, খাবার কিছুই নেই। আমরা তীব্র শীতের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। গত রাতে তুমুল বৃষ্টিতে আমাদের সব কিছু ভিজে গেছে। অন্তহীন দুর্দশায় পড়েছি আমরা।

গত রবিবার থেকে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চলছে। মধ্যস্থতাকারীদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর লড়াইরত দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তিতে সম্মত হয়। ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী নির্বিচার হামলায় গাজার মানুষের জীবন তছনছ হয়ে গেছে। 

গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানায়, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ২৮৩। গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও এই নিহতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

কেননা গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে একাধিক মরদেহ মিলছে।

গাজায় ত্রাণ সহায়তা জোরদার : ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতবিক্ষত গাজা উপত্যকার অসহায় ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের জন্য বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা সহায়তা জোরদার করছে। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা গাজায় খাদ্য বিতরণ, মজুদ, হাসপাতালগুলো সচল করার প্রচেষ্টা, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা মেরামতের কাজগুলো বাড়িয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত চায় ফ্রান্স

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত চায় ফ্রান্স

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রতীক স্ট্যাচু অব লিবার্টি। ফ্রান্সের পক্ষ থেকে ১৮৮৫ সালে উপহার হিসেবে দেওয়া এই ভাস্কর্য এখন দেশটিতে ফেরত চাওয়ার দাবি তুলেছেন এক ফরাসি আইন প্রণেতা। ফরাসি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ফ্রান্সের পার্লামেন্ট সদস্য রাফায়েল গ্লাকসম্যান দাবি তুলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আর সেই মূল্যবোধ ধারণ করে না, যার প্রতীক হিসেবে এই মূর্তিটি দেওয়া হয়েছিল। গত রবিবার এক জনসমাবেশে রাফায়েল গ্লাকসম্যান বলেন, স্ট্যাচু অব লিবার্টি আমাদের ফিরিয়ে দিন।

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মানুষ অত্যাচারীদের পক্ষ নিয়েছে, বৈজ্ঞানিক স্বাধীনতার দাবিতে গবেষকদের বরখাস্ত করেছে। এই মূর্তি যে মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করে, তারা তা রক্ষা করতে পারছে না। তাঁর দাবি, এই মূর্তি আমেরিকাকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন তারা সেই মূল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই এটি ফ্রান্সে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।
১৮৮৫ সালে ফরাসি শিল্পী ফ্রেডেরিক বার্থোলডি ডিজাইন করা স্ট্যাচু অব লিবার্টি যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি

ভারতের মহারাষ্ট্রে ছত্রপতি সম্ভাজিনগর এলাকায় থাকা মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে বিতর্ক মিটছে না। ছত্রপতি সম্ভাজিনগর (আগে নাম ছিল আওরঙ্গাবাদ) জেলায় রয়েছে আওরঙ্গজেবের সমাধি। এই সমাধি ঘিরেই এখন তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সেখান থেকে আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ করার দাবি উঠেছে।

এবার সেখান থেকে আওরঙ্গজেবের সমাধি সরিয়ে ফেলার পক্ষে জোরালো দাবি তুলেছে একাধিক হিন্দুত্ববাদী দল। আওরঙ্গজেবের সমাধি সরিয়ে নেওয়া না হলে সেখানে বাবরি মসজিদের মতো পরিণতি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। আওরঙ্গজেবকে নিয়ে সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু আসিম আজমির বিতর্কিত মন্তব্য থেকেই মোগল বাদশাহর সমাধি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।      সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

মন্তব্য

আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভেনিজুয়েলানদের তাড়াল যুক্তরাষ্ট্র

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভেনিজুয়েলানদের তাড়াল যুক্তরাষ্ট্র

ফেডারেল আদালতের সাময়িক স্থগিতাদেশের পরও দুই শতাধিক ভেনিজুয়েলানকে নিয়ে এল সালভাদরে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানেই তাঁদের বন্দি করে রাখা হবে। তাঁরা সবাই ভেনিজুয়েলার ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের সদস্য। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করেই তাঁদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, স্থানীয় সময় গত রবিবার সকালে ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের ২৩৮ জন সদস্য তাঁর দেশে পৌঁছেছেন। তাঁদের সঙ্গে আরো পৌঁছেছেন মেক্সিকান গ্যাং এমএস-১৩-এর ২৩ সদস্য।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের বিচারক জেমস বোয়ার্সবার্গ ১৭৯৮ সালের বহিঃশত্রু আইন প্রয়োগ করে ভেনিজুয়েলার গ্যাং সদস্যদের বের করে দেওয়ার ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশ স্থগিতাদেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তাদের এল সালভাদরে পৌঁছার এ খবর এলো।

বিচারক ওই স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময়ই ভেনিজুয়েলান গ্যাং সদস্যদের নিয়ে বিমান উড্ডয়নের খবর শুনতে পেয়ে বিমানটিকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশও দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা।

কিন্তু সে নির্দেশ উপেক্ষা করেই বিমান এল সালভাদরে গেল। দেশটির প্রেসিডেন্ট বুকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেকটি পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারকের এই নির্দেশ নিয়ে কৌতুক করে লিখেছেন, ওহ বড্ড দেরি হয়ে গেছে।

বুকেলে জানান, ভেনিজুয়েলান গ্যাং সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে এল সালভাদরের টেররিজম কনফাইনমেন্ট সেন্টারে এক বছর বন্দি রাখার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে এই বন্দি রাখার মেয়াদ বাড়ানোও হতে পারে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই বন্দিদের জন্য খুবই কম অর্থ দেবে, তবে আমাদের জন্য অনেক বেশি অর্থ দেবে।  যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভেনিজুয়েলান এই অপরাধীদের এল সালভাদরে পৌঁছার খবর নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট বুকেলের প্রশংসা করেছেন। সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা, রয়টার্স

মন্তব্য

জাতিসংঘের কড়া সমালোচনা মোদির

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
জাতিসংঘের কড়া সমালোচনা মোদির

চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংকট এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন  উত্তেজনার কথা উল্লেখ করে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক সংঘাত ঘিরে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মতে, জাতিসংঘ এবং অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের পডকাস্ট হোস্ট লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকার দেন মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা তৈরি হয়েছিল, সেগুলো প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে।

সেগুলোতে কোনো সংস্কার নেই। জাতিসংঘের মতো প্রতিষ্ঠান তার ভূমিকা পালন করতে পারছে না। বিশ্বের যেসব মানুষ আইন-কানুনের তোয়াক্কা করে না, তারা সব কিছু করছে। কেউ তাদের থামাতে পারছে না।
করোনা মহামারির ঘটনা থেকে পাওয়া শিক্ষার কথাও তুলে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এই মহামারি প্রতিটি জাতির দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। বৈশ্বিক উত্তেজনার মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তাও এই মহামারি মানুষকে বুঝিয়েছে।

মোদি বলেন, ‘কভিড-১৯ আমাদের সবার সীমাবদ্ধতা উন্মোচিত করে দিয়েছে।

আমরা নিজেদের যতই মহান জাতি, খুব প্রগতিশীল, খুব বৈজ্ঞানিকভাবে উন্নত মনে করি না কেন, কভিড-১৯-এর সময়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশ, প্রতিটি মানুষ  মাটিতে নেমে এসেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন মনে হচ্ছিল, পৃথিবী এর থেকে কিছু শিখবে আর আমরা এক নতুন বিশ্বব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পরিস্থিতি এমন ছিল যে, শান্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে পৃথিবী ভেঙে পড়েছিল। অনিশ্চয়তার একসময় আসে এবং যুদ্ধ আরো সংকট তৈরি করে। সূত্র : এনডিটিভি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ