ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় কয়েক দিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী, মণিপুর রাজ্য পুলিশ ও আসাম রাইফেলস এসব অভিযান চালায়। রাজ্যটির আটটিরও বেশি জেলায় চালানো এসব অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
মণিপুরের থৌবল, তেঙ্গনৌপল, বিষ্ণুপুর, চূড়াচাঁদপুর, পশ্চিম ইম্ফল, ননি, জিরিবাল ও কাকচিংয়ে এসব অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী।
বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে জেলাগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। রাজ্যটির জেলাগুলোয় এখনো তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিষ্ণুপুর জেলার চিরুগ্রাম থেকে অত্যাধুনিক স্নাইপার রাইফেল, ৯ এমএম পিস্তল, একনলা বন্দুক, গ্রেনেড ও প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাংকার বানিয়ে লুকিয়ে রাখা ছিল এসব অস্ত্র ও বিস্ফোরক। দেখে মনে হবে যেন কোনো যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে, এমনটাই দাবি করেছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
অন্যদিকে বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর সীমানার কাছের এলাকাগুলো থেকেও মেশিনগান, পিস্তল, মর্টার ও গ্রেনেড লঞ্চার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তেঙ্গনৌপল জেলায় অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে খবর পেতেই মূলত তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল যৌথ বাহিনী। ভারত-মায়ানমার সীমান্তের কাছে ইয়াঙ্গৌপোপকিতে কয়েকজন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছেন আসাম রাইফেলসের সদস্যরা।
ননি জেলার মাওহিং থেকেও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছেন তাঁরা। থৌবল, জিরিবাম ও চান্দেল জেলাতেও অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। পশ্চিম ইম্ফল, কাকচিং থেকেও হ্যান্ড গ্রেনেড, মর্টার, অত্যাধুনিক বন্দুক ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মণিপুরে গত ২০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যটির আটটি জেলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে তারা। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা