<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশ। পূর্বাঞ্চলের ১২ জেলায় ৫০ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যথার্থই বলেছেন, এই মুহূর্তে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে বন্যা মোকাবেলা। তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও দেশবাসীকে বন্যা মোকাবেলায় সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। বন্যা মোকাবেলায় উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ বিতরণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ড. ইউনূস বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন্যা মোকাবেলায় সরকার, এনজিওসহ যাঁরা যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সবার মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। সম্ভব হলে জেলা পর্যায়েও বন্যা মোকাবেলার কাজ সমন্বিতভাবে করতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কয়েক দিন একটানা ভারি বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশ। শনিবার থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। প্রকাশ পেতে শুরু করেছে বন্যার ক্ষত। অনেক স্থানেই রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙেছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এখনো ১০ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এরই মধ্যে পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হওয়ায় বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম। প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, চট্টগ্রামে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট বা শুকনা খাবারের সংকটের পাশাপাশি দামও বেড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে পণ্য খালাস কমে গেছে। এতে বাজারে আমদানি করা পণ্যের, বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবার এক শ্রেণির ব্যবসায়ী কোনো না কোনো ছুতা পেলেই পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়ার কিংবা কৃত্রিম সংকট তৈরি করার প্রয়াস পান। তাঁরাও সক্রিয় হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই বন্যা মোকাবেলার পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্ব দিতে হবে। বরাবরই দেখা গেছে, বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পেটের পীড়া ব্যাপক আকারে দেখা দেয়। নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বরসহ আরো অনেক রোগ দেখা দেয়। এসব রোগ যাতে মহামারি আকারে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে হবে। দুুর্গত পরিবারগুলোর জন্য খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন্যার স্থায়ী সমাধানের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। প্রাকৃতিক নিয়মেই উজানের পানি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে যাবে। তদুপরি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া ক্রমেই চরম ভাবাপন্ন হচ্ছে। এ ধরনের অতি ভারি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা বাড়তেই থাকবে। ফলে অস্বাভাবিক বন্যা থেকে রক্ষা পেতে আমাদের নদীগুলোকে নাব্য করতেই হবে। এর আগে সবাই মিলে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।</span></span></span></span></p>