<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, স্বাধীনতাযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ জাতির অনেক ক্রান্তিকালে এ দেশের ছাত্রসমাজ গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে। সেসব আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী অনেকেই পরবর্তীকালে কৃতিত্বের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশ নিয়েছেন। আর এসব ক্ষেত্রে বৈধভাবে নির্বাচিত ছাত্রসংসদগুলোর ভূমিকা ছিল অগ্রণী। কিন্তু কালক্রমে ছাত্রসংসদগুলোর ভূমিকা গৌণ হতে থাকে আর দলীয় ছাত্রসংগঠনগুলো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে ছাত্রদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে ম্লান করতে থাকে। সাধারণ ছাত্ররাও তাদের কাছে নিপীড়িত হয়। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক দুর্বার ছাত্র-গণ-আন্দোলনে রূপ নেয় এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরের দুঃশাসনের অবসান হয়। ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশে ফিরতে থাকে এক গণতান্ত্রিক আবহ। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নতুন পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্রুততম সময়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন করার উদ্যোগ চলছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুধু নেতৃত্ব বিকাশ নয়, সাধারণ ছাত্রদের চাওয়া-পাওয়া, অভাব-অনটন, সুবিধা-অসুবিধার কথা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার জন্যও একটি নির্বাচিত ছাত্রসংসদ অত্যন্ত জরুরি। অথচ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচিত ছাত্রসংসদ নেই। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অনেক দাবিদাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। এরপর আর নির্বাচন হয়নি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯২ সালে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ইউকসু) সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০০১ সালে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (রাকসু) সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৮৯ সালে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ বা জকসুর কোনো নির্বাচনই হয়নি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় এমনটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। জানা যায়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও ছাত্রসংসদ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ছাত্রনেতাদের অনেকে আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচন করা সম্ভব হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা আশা করি, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও পরিবর্তনের হাওয়া জোরদার হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসুক এবং ছাত্রসংসদগুলো তাদের পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পাক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমনটাই প্রত্যাশিত।</span></span></span></span></p>