<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলটি এখন রীতিমতো দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। নির্মাণের আগে সরকারের সমীক্ষায় প্রতিদিন যানবাহন চলাচলের সংখ্যা ও আয়ের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল, বাস্তবে যানবাহন চলছে এক-তৃতীয়াংশের কম। আয়ও একইভাবে অনেক কম। অথচ ব্যয় সেই তুলনায় অনেক বেশি, যা রাজস্ব খাতের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করতে চলেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, টানেল নির্মাণের আগে সরকারের সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, এই টানেল দিয়ে বেশি চলাচল করবে ভারী যানবাহন। বাস্তবে দেখা গেছে, উদ্বোধনের পর গত ১১ মাসে টানেলটি দিয়ে ভারী যানবাহন খুব কম চলেছে, বেশি চলেছে ব্যক্তিগত গাড়ি। সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, প্রথম পর্যায়ে দৈনিক ১৭ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করবে। ক্রমান্বয়ে তা বাড়বে। ২০২৫ সালের পর থেকে দৈনিক পারাপার করা যানবাহনের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। বাস্তবে তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। গত বছরের অক্টোবরে টানেলটি উদ্বোধন করা হয়। পরের নভেম্বরে টানেলে গাড়ি চলাচল করেছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৩১২টি অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন গাড়ি চলেছে পাঁচ হাজার ৫৪৪টি। ডিসেম্বরে গড়ে প্রতিদিন গাড়ি চলেছে ছয় হাজার ২৩৯টি। চলতি বছর এপ্রিল মাসে দৈনিক গাড়ি চলেছে গড়ে তিন হাজার ৮৫৫টি। সর্বশেষ চলতি সেপ্টেম্বরের ১ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত ২১ দিনে টানেল দিয়ে গাড়ি চলাচল করেছে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার ৭৩টি। একইভাবে টোল বাবদ আয়ও হয়েছে অনেক কম। বর্তমানে টোল বাবদ দৈনিক গড়ে আয় হচ্ছে ১১-১২ লাখ টাকা। অন্যদিকে টোল আদায় কার্যক্রম ও টানেল রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ দৈনিক ব্যয় হচ্ছে গড়ে ৩৬-৩৭ লাখ টাকা অর্থাৎ তিন গুণেরও বেশি। এদিকে চলতি বছর থেকেই টানেলের জন্য নেওয়া চীনা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার কথা রয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, টানেলটির নির্মাণ ব্যয়ও অনেক বেশি হয়েছে। চীনের দীর্ঘতম হাইওয়ে টানেল টাইহুর নির্মাণকাজে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। ভারতের মুম্বাইয়ে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি টানেল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রতি কিলোমিটারে এক হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা। আর কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রতি কিলোমিটারে প্রায় তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা মনে করি, টানেলের সমীক্ষার দুর্বলতা ও অত্যধিক নির্মাণ ব্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। পাশাপাশি টানেল পরিচালনা লাভজনক করার উপায় খুঁজে দেখতে হবে।</span></span></span></span></p> <p> </p>