<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ছোট্ট একটি ভূখণ্ড। অথচ রয়েছে বিশাল জনগোষ্ঠী। প্রতিনিয়ত কমছে আবাদি জমি। শিল্পায়ন কিংবা কর্মসংস্থানও সেভাবে এগোচ্ছে না। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এখানে অত্যন্ত জরুরি। তদুপরি গোছানো-ছিমছাম পরিবার প্রত্যাশা করা মানুষকে সহায়তা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেই লক্ষ্য থেকেই অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তদানীন্তন পাকিস্তান আমল থেকেই এ দেশে সরকারিভাবে পরিবার কল্যাণ কার্যক্রম চলে আসছে। এ ক্ষেত্রে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শের পাশাপাশি বিনা মূল্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ ১১টি দাতা সংস্থা নিয়মিত সহায়তা করে। কিন্তু এক বছর ধরে এই কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গতকাল কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এরই মধ্যে অনেক উপজেলায় সর্বাধিক ব্যবহৃত জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর মজুদ ফুরিয়ে গেছে। এমনকি জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ক্রয় ও বিতরণ কার্যক্রমও থমকে আছে। ফলে অচিরেই সারা দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, মাঠকর্মীরা সাধারণত পাঁচ ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী দম্পতিদের মধ্যে বিলি করে থাকেন। এগুলো হলো কনডম, খাওয়ার বড়ি, আইইউডি, ইনজেক্টেবল আইটেম ও ইমপ্লান্ট। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কনডম ও খাওয়ার বড়ি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ৪৯৩টি উপজেলায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর তথ্য প্রতিদিন হালনাগাদ করা হয়। এতে দেখা গেছে, ১০৫টি উপজেলায় কনডমের মজুদ শূন্য। আর মজুদ শূন্য হতে যাচ্ছে ১৯১টি উপজেলায়। ৮৩টি উপজেলায় মজুদ যা থাকার কথা তেমনটা নেই। খাওয়ার বড়ির পরিস্থিতি আরো নাজুক। ৪৪৫টি উপজেলায় মাঠকর্মীদের কাছে নারীদের হাতে দেওয়ার মতো বড়ি নেই। ৪০টি উপজেলার বড়ি শেষ হয়ে যাবে শিগগিরই। প্রয়োজনের চেয়ে কম বড়ি মজুদ আছে দুটি উপজেলায়। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সামগ্রীর মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইনজেক্টেবল আইটেম। মাসে ছয় লাখ ৮০ হাজারের বেশি ইনজেক্টেবল আইটেম সরকারি পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়। ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, ২৫টি উপজেলায় এই সামগ্রী একটিও নেই, ১৫৫টি উপজেলায় থাকা মজুদ শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে। এসব কারণে অপরিকল্পিত মাতৃত্ব যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। অথচ এসডিজি অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা আশা করি, রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করা হবে। অতি দ্রুত মাঠপর্যায়ে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সরবরাহ ও বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে।</span></span></span></span></p>