<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা বাড়ছে। পাট ও কৃষিপণ্যে রপ্তানির মাধ্যমে বছরে এক হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সম্ভাবনা আছে। পাটশিল্পের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। পাট খাতকে সুসংহত করতে ২০১৭ সালে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাট আইন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এবং ২০১৮ সালে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় পাটনীতি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু এর পরও ভালো নেই দেশের পাটকলগুলো। কথা ছিল দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন সম্পন্ন করা হবে। হয়েছে কি?</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। এ সময় উপদেষ্টা তাঁকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের পাটশিল্প খাতে কোরিয়ার বিনিয়োগ প্রয়োজন। পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা দেশে ও বিদেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা পরিবেশবান্ধব কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করছি। বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী পাটজাত পণ্য উৎপাদনে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) কাজ করছে। গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে পাট ও বস্ত্র খাতকে আরো সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবেশসম্মত হওয়ায় বিশ্ববাজারে আশার আলো জাগাচ্ছে পাট ও পাটজাত দ্রব্য। প্রাকৃতিক আঁশ বা পাটজাত পণ্যের চাহিদা বিশ্ববাজারে বাড়ছে। এই সুযোগ কাজে লাগানোর সময় এসেছে। সঠিক মানের পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি করা গেলে বিশ্ববাজারে নতুন মাত্রা পাবে পাট। বাংলাদেশের পাটশিল্পের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবেও যেসব সুযোগ তৈরি হচ্ছে, সেগুলো কার্যকরভাবে কাজে লাগানো গেলে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। সারা পৃথিবী আজ সিনথেটিক পণ্য ব্যবহারের কুফল বুঝতে পারছে। তাই পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের দিকে আবার সবার দৃষ্টি ফিরছে। বিশ্বের এই পরিবর্তিত মূল্যায়নের সুযোগ আমাদের নিতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাট যেহেতু একান্তভাবেই আমাদের ফসল, তাই এর গবেষণা ও উন্নয়নে আমাদেরই মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশের পাট গবেষণা আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে। পাটের জিনোম আবিষ্কৃত হয়েছে। রোগমুক্ত ও অধিক ফলনশীল জাত উদ্ভাবনের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সেই সঙ্গে মানসম্মত পাটপণ্যের গবেষণাও এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের পাটশিল্পের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবেও যেসব সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা আছে, সেগুলো কার্যকরভাবে কাজে লাগানো গেলে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। পাটের জাগ দেওয়ার সময় কমানো গেলে, খরা ও পানি সহিষ্ণু, এমনকি নোনা পানি সহিষ্ণু পাটজাত উদ্ভাবিত হলে আমাদের কৃষকরাও পাট চাষে নতুন করে উদ্বুদ্ধ হবেন। বস্ত্রশিল্পের উপযোগী মিহি সুতা তৈরিতেও উপযুক্ত পাটের জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন প্রত্যাশাও এখন অস্বাভাবিক নয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো মানের পাট উৎপাদনকারী দেশ হলেও শুধু কার্যকর গবেষণা ও ব্র্যান্ডিংয়ের অভাবে বিশ্ববাজারে পিছিয়ে পড়ছে। কাজেই গবেষণা ও ব্র্যান্ডিংয়ে আমাদের অধিক নজর দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে পাটের বহুমুখী ব্যবহার। পাটকলগুলোর আধুনিকায়নও অত্যন্ত জরুরি। সেই সঙ্গে জরুরি হচ্ছে আধুনিক কারখানায় কাজ করার জন্য দক্ষ লোকবল তৈরি করা। পাটপণ্যের বহুমুখীকরণের প্রতি আরো বেশি দৃষ্টি দেওয়া হোক এবং বিশ্বব্যাপী বাজার সম্প্রসারণে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেওয়া হোক।  </span></span></span></span></p>