<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা যে ভাষণ দিয়েছেন, তাতে তিনি বলেছেন, নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। দ্রুতই রোডম্যাপ দেওয়া হবে। তবে সংস্কারের জন্য নির্বাচন কয়েক মাস বিলম্বিত হতে পারে। সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ এই সরকার কতটুকু পাবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে না পারলেও তিনি জনগণকে নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। বলেছেন, জনগণ সুযোগ দিলে কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কারকাজ শেষ করেই সরকার কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন আয়োজন করবে। কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হবে। তিনি এমন একটি নির্বাচনব্যবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছেন, যা যুগ যুগ ধরে অনুসরণ করা হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর দেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচন সংস্কার কমিশনও সক্রিয়। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সংস্কার কমিশন কিছু প্রস্তাব দেবে। জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী মনোনয়নে তৃণমূল পর্যায়ে ভোটের ব্যবস্থা চালু হতে পারে। এ ছাড়া দলে কমপক্ষে তিন বছর সদস্য না থাকলে প্রার্থী হওয়া যাবে না</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই বিধানটি আবার ফিরে আসতে পারে। জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে জোটভুক্ত দলগুলোর প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। সংরক্ষিত আসনে নারীদের জিতে আসতে হতে পারে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সংস্কার কমিশন পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার বিষয়টি সহজ করতে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচনের কাজে নিয়োজিতরা, প্রবাসীরা, দেশে নির্বাচনী এলাকার বাইরে যাদের কর্মস্থল, বৃদ্ধ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও যাতে এর মাধ্যমে ভোট দিতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে আগ্রহী।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত রবিবার অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচন হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের মাধ্যমে। সোমবার ঢাকায় বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) সম্মেলনের সমাপনী আলোচনা পর্বে আলোচকদের বক্তব্যেও এমন অভিমতই উঠে আসে। তারাও বলেছেন, নির্বাচনসহ অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্যগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকা উচিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে নয়, নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে। নির্বাচন সম্পর্কিত আইনগুলোর আবারও সংস্কারের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে। সংস্কার কমিশনের প্রধান কালের কণ্ঠকে এই আশার কথা শুনিয়েছেন, নির্ধারিত সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই কমিশন সংস্কার প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনেরও পূর্বশর্ত হচ্ছে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। নির্বাচন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুসংহত করতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এর জন্য রাজনৈতিক ঐক্য ও আস্থাশীলতা দরকার। সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজনীতিবিদদের।</span></span></span></span></p> <p> </p>