<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছেলেবেলায় নরসুন্দরের দোকান ছিল সবার কাছে জমের মতো। উঁচু চেয়ারে বসিয়ে কাঁচি দিয়ে ঘচাঘচ চুল কাটাতে ভয় পেতাম আমরা। মাঝেমধ্যে চুল কাটানোর পরেও মনে হতো যেন কানের কাছে ক্যাঁচক্যাঁচ আওয়াজ শোনা যাচ্ছে! তবে শুধু চুল কাটানো না, এই কাঁচি দরকার হয় অনেক কিছুতেই। কাগজ, কাপড়, সবজি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোনো কিছুই বাদ নেই যা এক নিমিষে কেটে কুটি কুটি করে দিতে পারে এটি। দুটি লোহার ফলার মাঝে স্ক্রু দিয়ে আটকে বানানো হয় কাঁচি। ফলার ধারালো দুটি দিক থাকে পরস্পরের দিকে মুখ করে। ধারালো ফলার বিপরীতে থাকা দুটি হাতলে বল প্রয়োগ করলে কাঁচির সামনের দিক বন্ধ হয়ে যায় ও ভেতরে যা থাকে তা কাঁটা পড়ে। যদিও কাটাকুটি নির্ভর করে কাঁচির ফলার তীক্ষতা ও ভেতরে থাকা বস্তুটি কী তার ওপর। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাঁচি সাধারণত বিভিন্ন হালকা বস্তু যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দড়ি, কাপড়, কাগজ, সবজি ইত্যাদি কাটতেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। কাজ ও ব্যবহার ভেদে হরেকরকম কাঁচির দেখা মেলে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাগজ কাটার কাঁচি দিয়ে যেমন কাপড় কাটা সহজ নয়, তেমনি কাপড় কাটার কাঁচি দিয়ে সবজি কাটাও উচিত না। এতে নিজের মেজাজও বিগড়ে যায়। পাশাপাশি কাঁচিও হয়ে যেতে পারে ভোঁতা। তাই সর্বদা কোন কাঁচির কী কাজ তা জেনে ব্যবহার করাটাই শ্রেয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাঁচির ইতিহাস অনেক পুরনো। ধারণা করা হয়, খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালে প্রাচীন মিসরে প্রথম কাঁচি ব্যবহৃত হয়। এই ধারণার প্রমাণ হিসেবে মেসোপটেমিয়াতে পাওয়া একটি পুরনো কাঁচি পেশ করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। কার্বন টেস্টের মাধ্যমে জানা যায় কাঁচিটি তৈরি হয়েছিল তিন থেকে চার হাজার বছর আগে। এই কাঁচিকে বলা হতো স্প্রিং সিজার বা বসন্ত কাঁচি। এখনকার মতো লোহার পাতকে কাঁচির ফলা হিসেবে ব্যবহার না করে তারা ব্রোঞ্জের দুটি ব্লেড ব্যবহার করছিল। বাঁকানো ব্রোঞ্জের পাতলা, নমনীয় দণ্ডের সাহায্যে যুক্ত ছিল ব্লেড দুটি। ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপে একই ধরনের কাঁচির ব্যবহার হতো বলে জানা যায়। দুই হাজার বছর আগে ১০০ শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে বর্তমানে ব্যবহৃত আধুনিক ধারার স্ক্রু দিয়ে দুই ফলার সংযোগে কাঁচি নির্মাণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিল রোমানরা। আমাদের দেশেও বেশ কিছু বছর আগেও লোহার ফলার বদলে পিতলের ফলা দিয়ে কাঁচি তৈরি হতো। তবে এখন লোহা, স্টেইনলেস স্টিলেরসহ নানা রকম কাঁচি দেখা যায়।</span></span></span></span></p>