পানির নিচে সিলেট ও সুনামগঞ্জ

  • মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ এবং উত্তরাঞ্চলের অনেক এলাকা বন্যাকবলিত
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
পানির নিচে সিলেট ও সুনামগঞ্জ
সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার গতকালের চিত্র

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।

এই অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে সিলেটের জকিগঞ্জে মাছ ধরার জাল তুলতে গিয়ে পানিতে পড়ে এবং সুনামগঞ্জে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন দুই যুবক।

আমাদের অফিস, নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

সিলেট : তিন দিনের মধ্যে জেলার সব উপজেলা ও সিলেট নগর বন্যাকবলিত হয়েছে। এরই মধ্যে জেলার সোয়া আট লাখ মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৩টি ওয়ার্ড এবং ১৩ উপজেলার ১১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০৬টিই এখন বন্যাকবলিত। এতে নগর ও উপজেলাগুলোর আট লাখ ২৫ হাজার ২৫৬ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত হয়েছে।

মানুষের জন্য ৬৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উঠেছে ১৯ হাজার ৯৪৯ জন মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে গতকাল বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ১০০ মিলিমিটার, কিন্তু পরের ১২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১১০.২ মিলিমিটার। আগামী তিন দিন ভারি ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ সজিব হোসেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদী সিলেট পয়েন্টে বিপত্সীমার ৩৭ সেন্টিমিটার এবং কানাইঘাট পয়েন্টে বিপত্সীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১০০ সেন্টিমিটার এবং শেরপুর পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া গোয়াইনঘাট পয়েন্টে সারি গোয়াইন নদীর পানি বিপত্সীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

নগর পরিস্থিতি

গতকাল দুপুরে নগরের কিনব্রিজসংলগ্ন সুরমা নদী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চাঁদনী ঘাটের শেষ সিঁড়ি পর্যন্ত নদীর পানি উঠে এসেছে। আরেকটু পানি বাড়লেই তা শহরের এই অংশ দিয়ে প্রবেশ করবে।

এর পশ্চিম দিকে কোতোয়ালি থানা এলাকায় নদীর পানি রাস্তায় উঠে এসেছে। এ ছাড়া নগরের তোপখানা, সিলেটের সবচেয়ে বড় আড়ত কালীঘাট এলাকা, কাজির বাজার, কাষ্টঘর, সোবহানীঘাট, মাছিমপুর, মেন্দিবাগ, উপশহর তেরোরতন, যতরপুর, সোনারপাড়া, খাঁরপাড়া, তালতলা, জামতলাসহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে আছে। কোতোয়ালি থানা প্রাঙ্গণ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেট কার্যালয় প্রাঙ্গণসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রতিষ্ঠানের উঠানে পানি জমে আছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান মঙ্গলবার রাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে নগরবাসীকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, বন্যার্তদের শুকনা ও রান্না করা খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। যত দিন বন্যার পানি না কমছে, তত দিন আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এক মিনিটের জন্যও আমাদের কার্যক্রম বন্ধ হবে না।

বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে বলে মেয়র জানান। এর আগে সিটি করপোরেশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সিসিক।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সব কটি বন্যাকবলিত, ২২৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৮০০ মানুষ। এর মধ্যে বিছনাকান্দি, রুস্তমপুর, নন্দিরগাঁও ও তোয়াক্কুল ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়নগুলোর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলায় এখন চলাচলের একমাত্র বাহন হচ্ছে নৌকা। উপজেলার বেশির ভাগ বিদ্যালয় ও কলেজ প্লাবিত হয়েছে। তবে গতকাল দুপুর থেকে গোয়াইনঘাটে বন্যার পানি কিছুটা কমেছে।

কানাইঘাট উপজেলার চতুল-দরবস্ত সড়ক, গাজী বোরহান উদ্দিন সড়ক, কানাইঘাট-শাহবাগ সড়ক, সুরইঘাট-কানাইঘাট সড়কের নিচু এলাকা দিয়ে বন্যার পানি তীব্র বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামীণ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, শত শত বাড়িঘরে বন্যার পানি ঢুকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।

এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, সিলেট সদর, বিশ্বনাথ, জকিগঞ্জ. ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার সব কটি ইউনিয়ন কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। জকিগঞ্জ উপজেলার শাহবাগ কলেজের পাশে মঙ্গলবার রাতে জাল তুলতে গিয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন হালিম আহমদ (৩০)। পরের দিন সকালে তাঁর লাশ উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।

 

জলমগ্ন ১২ হাজার হেক্টর ফসলি জমি

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার ২০ হাজার ৩৮৪ হেক্টর জমির ফসলের মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১১ হাজার ৭০৭ হেক্টরের ফসল। এর মধ্যে রয়েছে আউশ ধান, বীজতলা, গ্রীষ্মকালীন সবজি ও বোনা আমন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের অতিরিক্ত উপপরিচালক মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে থাকায় সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঈদের পরদিন দুপুরে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন প্রথমে তাদের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করে। পরে বাকিগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। জাফলং, রাতারগুল, সাদা পাথর, বিছনাকান্দির মতো প্রসিদ্ধ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পানি ঢুকে টইটুম্বুর হয়ে আছে।

 

বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেট নগর ও বন্যাকবলিত উপজেলা পরিদর্শন করেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান এমপি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখছেন।

পাহাড়ি ঢল

সুনামগঞ্জে চার লাখ মানুষ পানিবন্দি

পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সুনামগঞ্জের ৭৮টি ইউনিয়ন এবং তিনটি পৌরসভার প্রায় এক হাজার ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ ৯০ শতাংশ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। সড়ক বিভাগের সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়ক ডুবে যাওয়ায় যান চলাচলও বন্ধ। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের বিভিন্ন অংশ ডুবে গেছে।

জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, প্রায় চার লাখ মানুষ কবলিত হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ২৭২টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। প্রস্তুত আছে সর্বমোট ৫৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্র।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামসুল করিম জানান, তিন হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকা।

সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্যায় প্রায় ৯০ শতাংশ সড়ক তলিয়ে এখন যান চলাচল বন্ধ। মানুষজন নৌকা করেই যাতায়াত করছে।

স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জানান, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলাসহ ছাতক ও সুনামগঞ্জ পৌরসভা। এই দুটি পৌরসভার ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে বন্যার সময় বৈদ্যুতিক কাজ করতে গিয়ে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ইলেকট্রিশিয়ান সৌরভ মিয়া মঙ্গলবার রাতে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন।

তাহিরপুর উপজেলার নিচু এলাকায় অবস্থিত ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনায় পানি উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বন্যার পানি ঢুকেছে। প্রবল ঢেউয়ে হাওরপারের বসতভিটা ভাঙনে পড়েছে।

 

মৌলভীবাজারে ৩৩২টি গ্রাম প্লাবিত

জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলার ৩৭টি ইউনিয়নের ৩৩২টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে এক লাখ ৯৩ হাজার ৯৯০ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, জুড়ী নদী, সোনাই নদী, ফানাই নদীসহ সব কটি নদীর পানি এখন বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে ধলাই নদীর পানি বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে মাতারকাপন গ্রামসহ লোকালয়ে প্রবেশ করছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সদর উপজেলার শেরপুর এলাকার পশ্চিম পার অতিক্রম করে হামরকোনা, ব্রাহ্মণগাঁওসহ আশপাশের গ্রামের ভেতরে পানি প্রবেশ করে মানুষের ঘরবাড়ি, গৃহপালিত পশু, সহায় সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দিন ও রাতে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। 

সদর উপজেলার চাঁদনী ঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার উদ্দিন জানান,  গ্রামের স্থানীয় বাজারের দোকানদারদের মালপত্র নিরাপদে সরিয়ে নিতে আহবান জানানো হয়েছে।

গতকাল দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ও সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ গ্রামে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে এবং ধলাই নদীর ভাঙনে খুশালপুর গ্রাম এবং কমলগঞ্জ পৌরসভার ও থানার বহু বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।

বড়লেখা উপজেলায় বন্যাকবলিত হয়েছে ১০টি ইউনিয়নের ২৫২ গ্রাম। ডুবে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। এতে প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত ২২০টি পরিবারের ৬০০ মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।

হবিগঞ্জ : খোয়াই কুশিয়ারা ও কালনী-কুশিয়ারাসহ সব নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারার বাঁধ উপচে নবীগঞ্জ উপজেলার ১০-১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামে খোয়াই নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কের বেশ কিছু এলাকা ডুবে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, সার্কিট হাউসসহ শহরের অনন্তপুর, মাহমুদাবাদ, শ্যামলীসহ অনেক এলাকার লোকজন হয়ে পড়েছে পানিবন্দি।

পাহাড়ি ঢল

কুড়িগ্রাম : তিস্তা ও দুধকুমারের পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপত্সীমার খুব কাছ দিয়ে বইছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দুপুরে দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপত্সীমার ২০ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

রাজারহাট ও নাগেশ্বরী উপজেলার ১২টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়। সবজিক্ষেত তলিয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও রৌমারীর কয়েকটি পয়েন্টে নদীভাঙনে গৃহহীন হয়েছে ২০টি পরিবার। ঝুঁকিতে পড়েছে বাঁধ, বাজার, ফসলি জমি ও বাড়িঘর।

রংপুর : তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপত্সীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাস্তাঘাট ডুবে বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে পানি। কাউনিয়া ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় ১০ গ্রামে পানি ঢুকে পড়ছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বুধবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপত্সীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং সকাল ৯টায় ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। তলিয়ে গেছে পাঁচ গ্রামের বেশির ভাগ এলাকা।

জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান জানান, রাতভর বৃষ্টির ফলে অনেক স্থানে পানি উঠেছে। নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খোঁজখবর নেওয়ার। অতি দ্রুত তাদের কাছে সরকারিভাবে সহযোগিতা ও সাহায্য দেওয়া হবে।

পীরগাছা উপজেলার কয়েক শ কৃষকের বাদাম এখন তিস্তার পানির নিচে। অনেকেই পানির নিচে থেকে বাদাম তুলে নৌকাযোগে নিয়ে এলেও তিন দিন থেকে সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় তা শুকাতেও পারছেন না।

নেত্রকোনা : গতকাল দুপুরে কলমাকান্দা উপজেলার উপদাখালী নদীর পানি বিপত্সীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান জানিয়েছেন, জেলার প্রধান নদী উপদাখালী, কংস, সোমেশ্বরী, ধনুসহ সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তবর্তী সোমেশ্বরীর দুই পার উপচে পড়ার অবস্থা।

জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ জানান, বন্যার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুকনা খাবার ও টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি বাড়ায় প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

শেরপুর : সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই, চেল্লাখালী, ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি ও সোমেশ্বরী নদী পাহাড়ি ঢলের পানিতে টইটুম্বুর হয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও শেরপুর সদর উপজেলায় নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। বিশেষ করে মহারশি, চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর কাঁচা বাঁধের পুরনো ভাঙনকবলিত স্থানগুলো দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করে এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে যেতে পারে। এ জন্য ওই সব এলাকার সবজি, কলা এবং মৎস্য চাষিরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বগুড়ার দইয়ের সুনাম দেশজুড়ে

শেয়ার
বগুড়ার দইয়ের সুনাম দেশজুড়ে
বগুড়ার দইয়ের সুনাম দেশজুড়ে। সেই দই রাখার মৃৎপাত্র তৈরি করে রোদে শুকানো হচ্ছে। জেলার শাজাহানপুর উপজেলার করতোয়া নদীর তীরঘেঁষা আড়িয়া গ্রাম থেকে তোলা। ছবি : ঠাণ্ডা আজাদ
মন্তব্য
ডিএমপি

শাহবাগ, সচিবালয় ও যমুনার সামনে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহবাগ, সচিবালয় ও যমুনার সামনে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ

রাজধানীর শাহবাগসহ বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও এর আশপাশে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিএমপি অর্ডিন্যান্সের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৩ মার্চ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, শোভাযাত্রা করা যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে যমুনার পার্শ্ববর্তী এলাকা হিসেবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল মোড়, শাহবাগ মোড়, কাকরাইল মোড়, মিন্টো রোডের কথা উল্লেখ রয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৫ আগস্ট এই দুটি জায়গায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছিল ডিএমপি।

গত মঙ্গলবার বিকেলে শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় নারী-পুরুষের একটি বিক্ষোভকারী দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল মোড়ে বাধা প্রদান করে। এ সময় পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। নিকটবর্তী স্থানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করলে তারাও ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পুলিশের লাঠিচার্যে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী এবং রমনা জোনের এসিসহ পাঁচজন পুলিশ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের নখের আঁচড়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয় এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।

হামলায় রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া হামলাকারীদের আঘাতে রমনা ডিভিশনের উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আহত হন। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের মাধ্যমে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

মন্তব্য

জামায়াত আমিরের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জামায়াত আমিরের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি. খোজিন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান এবং রাশিয়া দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর অ্যানটন চেরনোভ।

বৈঠক শেষে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, এটাই প্রথমবার যেকোনো রুশ রাষ্ট্রদূত আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন।

আমাদের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ ছিল ও আছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রথমবার।

তিনি আরো বলেন, বৈঠকে রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক, অর্থায়ন এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী কেমন বাংলাদেশ চায় এবং আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

দুটি বিষয়ে আমরা একমত হয়েছিপ্রথমত, বাংলাদেশে রাশিয়ার আর্থিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ বাড়বে। দ্বিতীয়ত, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।

এ সময় একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে রাশিয়ার সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে কি নাএমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

 

উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্যের নিন্দা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সমপ্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল এমন মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, মাহফুজ আলম অসত্য ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি প্রতিবেশী দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন।

তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে গঠিত তদন্ত কমিশন জামায়াতের যুদ্ধাপরাধে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়নি এবং শেখ মুজিব সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতের রায়গুলো রাজনৈতিক প্রভাবিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ছিল।

তিনি মাহফুজ আলমের উদ্দেশে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবে রাজনৈতিক দল নিয়ে মন্তব্য করা তাঁর উচিত নয়। জামায়াত আহলে সুন্নত আল জামায়াতের অনুসারী এবং দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে।

মাহফুজ আলমকে তাঁর মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশের আহ্বান এবং ভবিষ্যতে জামায়াত সম্পর্কে ভত্তিহীন বক্তব্য না দেওয়ার অনুরোধ করা হয় বিবৃতিতে।

 

 

মন্তব্য
মির্জা ফখরুল

ধর্ষণের প্রকাশ্য শাস্তির আইন করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ধর্ষণের প্রকাশ্য শাস্তির আইন করতে হবে
মির্জা ফখরুল

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ এবং গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই এখন এই প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রকে একটি নৈতিক জায়গায় আনতে হবে। একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাস করতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি মাগুরায় একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে আট বছরের একটি শিশু, আছিয়াকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিক নির্যাতিতা আছিয়ার শারীরিক ও চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন।

আইনি সহায়তার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আওয়ামী সরকারের একতরফা নির্বাচনের সময় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার কারণে বিএনপির সমর্থক এক গৃহবধূকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সন্তানদের সামনে ধর্ষণ করে। নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা।

তিনি বলেন, দেশজুড়ে ভয়াবহভাবে ধর্ষণ বেড়েছে।

তবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিতভাবে এমন ঘটনা ঘটছে, যা অনেকেই ভয়ে কিংবা মান-সম্মানের কারণে প্রকাশ করেন না। বিভিন্ন বয়সী নারীরা আক্রান্ত হচ্ছে, বাদ পড়ছে না শিশুও। প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা ক্রমে বেড়েই চলেছে। এতে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, এসব অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। দেশে এখন যা চলছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে আছিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে শোকবিহ্বল পরিবার, নিকটজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ