<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। সিআইডি সদর দপ্তর সূত্র এসব তথ্য দিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সিআইডির সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রটি গত ৫ জুলাই  অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষাকে বেছে নেয়। এ পরীক্ষা যে প্রশ্নে অনুষ্ঠিত হয়, তার একটি কপি পরীক্ষার অন্তত এক ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়। আর অজ্ঞাত স্থানে রেখে চুক্তিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের তা আগের রাতেই পড়ানো হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সিআইডির সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ  পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডেসপাস) সাজেদুল ইসলাম। আরো রয়েছেন সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান, মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামল হাসান, ব্যবসায়ীর ভাই সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত রবিবার রাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান এখনো চলছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যেভাবে তথ্য ফাঁস</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে, গ্রেপ্তার হওয়া চক্রটি প্রশ্ন ফাঁস করতে ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষাকে বেছে নেয়। এই পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির তথ্য ফাঁস করতে ছদ্মবেশ ধারণ করে একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিম। ছদ্মবেশী এক নিয়োগপ্রত্যাশী প্রার্থীকে তুলে দেওয়া হয় চক্রের সদস্যদের হাতে। এরপর ৫ জুলাই সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত যে প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, হোয়াটসঅ্যাপে তার একটি কপি পাঠানো হয় পরীক্ষার অন্তত এক ঘণ্টা আগে। আর অজ্ঞাত স্থানে রেখে চুক্তিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের তা পড়ানো হয় আগের রাতেই।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চক্রটির প্রধান বিপিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম জানিয়ে সিআইডি সূত্র বলে, চক্রের সদস্য উপপরিচালক মো. আবু জাফরের মাধ্যমে দুই কোটি টাকার বিনিময়ে ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করা হয়। তিনি শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ট্রাংক থেকে পরীক্ষার আগের দিন তাঁকে প্রশ্ন সরবরাহ করেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি সিআইডিকে জানান, ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদুর রহমান বলেন, অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো যাঁরা এ চক্রের সদস্য, তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে পল্টন থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সূত্র জানায়, গত রবিবার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিসিএস প্রিলি লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। এতে পিএসসি ক্যাডার ও নন-ক্যাডারসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করা হয়েছে। টিভি চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ গত শুক্রবার (৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছে একটি চক্র। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিসিএসসহ ৩০টি ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছে। এতে পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রশ্নপত্র ফাঁসের তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম ওই টিভি চ্যানেলকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উপপরিচালক হক মোহাম্মদ আবু জাফর স্যারের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রটি দুই কোটি টাকার বিনিময়ে ট্রাংক থেকে আমাকে দিয়েছেন। তিনি (সাজেদুল ইসলাম) অবগত আছেন ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যা বলছে পিএসসি</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল পিএসসি এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে তারা বলছে, পরীক্ষার আগে ফয়েল পেপার খুলে কোনো প্রশ্ন বের করা অসম্ভব। একজন পিয়ন কখনো বিসিএস ক্যাডার বানাতে পারে না। কেউ যদি কঠোর অধ্যবসায় না করে, তাহলে তিনি বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণই হতে পারবেন না। কাজেই ঢালাওভাবে অভিযোগ করার আগে পিএসসির পুরো কার্যক্রমকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন ছিল।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে পিএসসির প্রথম এবং প্রধান প্রশ্ন হলো, রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার কোন সেটের প্রশ্নে পরীক্ষা হবে, সেটির লটারি হয়েছে গত শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে। তাহলে ওই টেলিভিশন চ্যানেলের কাছে সকাল ৯টায় প্রশ্ন কিভাবে গেল?</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যদি তারা প্রশ্ন পেয়েই থাকে, তাহলে চার সেটের প্রশ্ন একসঙ্গে পেতে হবে, যা আদতে খুব কঠিন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাংবিধানিক সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রকাশিত প্রতিবেদনে একজন ব্যক্তির বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। যাকে বলতে শোনা গেছে যিনি পরীক্ষায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ প্রশ্ন কমন পেয়েছিলেন। যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি শতভাগ কমন পাবেন। ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ প্রশ্ন কেন কমন পাবেন। একটি চক্র বিসিএসের সাজেশন তৈরি করে তা প্রার্থীদের পড়ায়। সেখান থেকে প্রশ্ন কমন পড়লে পিএসসির কিছু করার থাকে না। এটিকে প্রশ্ন ফাঁস বলা যাবে না। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সার্বিক বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমাদের যা বলার আমরা তা প্রেস রিলিজে বলেছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এর আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পিএসসি সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা। এই প্রতিষ্ঠান যেমন রাষ্ট্রের, তেমনি সাধারণ মানুষেরও। সেহেতু এই প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হলে চাকরিপ্রার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যেহেতু একটি অভিযোগ উঠেছে, সেহেতু আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত করব। এ জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে। এই কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আবেদ আলী উপজেলা চেয়ারম্যানও হতে চেয়েছিলেন </span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিপিএসসির ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত  থাকার তথ্য পায় সিআইডি। তাঁদেরই একজন পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার এই ব্যক্তি এলাকায় ভালো মানুষ বলে পরিচিত।  তিনি ডাসার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রচারেও নেমেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাত্র আট বছর বয়সে জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে পাড়ি জমিয়েছিলেন সৈয়দ আবেদ আলী। প্রথমে কুলির কাজ করতেন। একসময় ফুটপাতে ঘুমিয়ে কষ্ট করেছেন তিনি। এরপর গাড়ি চালানো শিখে চাকরি নেন পিএসসিতে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। অর্জন করেছেন বিপুল ধনসম্পদ। সঙ্গে ক্ষমতাও। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় রাজনীতির মাঠে কোটি টাকার গাড়িতে চড়ে জনসংযোগ করেন সৈয়দ আবেদ আলী এবং তাঁর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাবা-ছেলে এলাকায় দান করেন দুই হাত ভরে। সৈয়দ আবেদ আলী তাঁর গ্রামের বাড়িতে বিলাসবহুল ভবন নির্মাণ করেছেন। বাড়ির পাশে করেছেন মসজিদ। তিনি রাস্তার পাশে সরকারি জায়গা দখল করে নির্মাণ করেছেন গরুর খামার ও শপিং সেন্টার। উপজেলার পান্তাপাড়া ও পূর্ব বোতলা গ্রামে কিনেছেন বিপুল জমি ও সম্পদ।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্থানীয়রা জানায়, ঢাকায়ও তাঁর একাধিক বাড়ি রয়েছে। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় রয়েছে তাঁর থ্রি-স্টার হোটেল।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এলাকাবাসী জানায়, আবেদ আলীর ছেলে সিয়াম শুধু একটি নয়, একাধিক দামি গাড়ি ব্যবহার করেন। সবই দামি, ঝকঝকে। পড়েছেন ভারতের শিলংয়ে। তারপর দেশের একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়েছেন। তিনি ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তাঁদের গ্রামের বাড়ি এখন তালাবদ্ধ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, আবেদ আলীর পরিবারের সবাই ইউরোপের ভিসা করে রেখেছেন। যেকোনো সময় দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন তাঁরা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুসন্ধান চালাব।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p>