<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশের</span></span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মেগাপ্রকল্প</span></span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পদ্মা</span></span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রেল</span></span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেতু</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা-আশুলিয়া</span></span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এক্সপ্রেসওয়ের</span></span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মতো বড় বড় প্রকল্পে</span></span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঋণ</span></span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দিচ্ছে চীন। গত তিন বছরে দ্বিগুণ</span></span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হয়েছে</span></span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঋণছাড়ের পরিমাণ। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে বিভিন্ন</span></span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উন্নয়ন</span></span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রকল্পের আওতায় ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে</span></span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশটি।</span></span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত সাত বছরে ছাড় করেছে ৫৬৬ কোটি ডলার।</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জানা গেছে, ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের পর থেকে দেশে চীনা অর্থায়ন বেড়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মাত্র ১২৪ কোটি ডলার ছাড় হয়েছিল। গত সাত বছরে ছাড় হয়েছে ৫৬৬ কোটি ডলার। স্বাধীনতার পর থেকে চীন বাংলাদেশকে যে পরিমাণ ঋণ দিয়েছে, এর ৯৫ শতাংশ এসেছে গত ১২ বছরে; যার ৮৫ শতাংশই এসেছে সর্বশেষ ছয় বছরে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে চীনের ছাড় করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৯৫ মিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে হয় ১.১৩২ বিলিয়ন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে ছাড় হয়েছিল ৮৮৭ মিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ঋণছাড়ে বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে প্রবেশ করে চীন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইআরডি সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের সময় ২০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ২৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নে স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড প্রডাকশন ক্যাপাসিটি কো-অপারেশন শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৯টি প্রকল্পের জন্য ৮.০৭৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইআরডির তথ্য বলছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭১-৭২ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ঋণ ও অনুদান মিলে মোট এক হাজার ২৯ কোটি ১৯ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এ সময় অর্থছাড়ের পরিমাণ ৬৯০ কোটি ডলার। বেশির ভাগ ঋণ প্রতিশ্রুতিই এসেছে গত ছয় বছরে, যদিও গত অর্থবছরে নতুন কোনো প্রকল্পে চীনের ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চীনা ঋণের পাইপলাইন ও সুদহার</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইআরডির তথ্য মতে, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বহুপক্ষীয় ও দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদারদের কাছে বাংলাদেশের মোট ঋণের স্থিতি ছিল ৬২.৩১ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে চীনের অংশ ৫.৩৭ বিলিয়ন ডলার, যা মোট ঋণের ৮.৬২ শতাংশ। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশের ঋণের স্থিতিতে চীনের অবস্থান চতুর্থ। চীন সরকার সাধারণত দুই ধরনের ঋণ দেয়। এর একটি হলো ডলারে প্রেফারেনশিয়াল বায়ার্স ক্রেডিট (পিবিসি) এবং অপরটি চীনের নিজস্ব মুদ্রায় গভর্নমেন্ট কনসেশনাল লোন (জিসিএল) বা সরকারিভাবে দেওয়া রেয়াতি ঋণ।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে যেসব প্রকল্প আলোচনায় থাকছে</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ১২টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে  মেট্রো রেল এমআরটি লাইন-২ প্রকল্পে প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন ডলার এবং ফরিদপুর-বরিশাল-কুয়াকাটা চার লেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ২.৫৭৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ চাওয়া হবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে মহেশখালী-বাখরাবাদ থার্ড প্যারালাল গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইন প্রকল্পে চীনের কাছে ১.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ চাওয়া হয়েছে। মোট সাড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলারের ১২টি প্রকল্প নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে। একই সঙ্গে ১ শতাংশ নমনীয় সুদহারে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে চীনকে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তালিকায় থাকা অন্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পিরোজপুরে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু প্রকল্প, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সংস্কার, মিরপুরে পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প এবং গ্রামীণ সড়কে উচ্চ প্রযুক্তির সেতু নির্মাণ প্রকল্প। এ ছাড়া পুরনো তালিকার তিনটি প্রকল্প নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পে ২২১ মিলিয়ন ডলার, ঢাকা শহরের দাশেরকান্দি এসটিপি ক্যাচমেন্টের অধীনে পয়োনিষ্কাশন সংগ্রহ ব্যবস্থা নির্মাণে ১৯৮ মিলিয়ন ডলার এবং নতুন চার ভেসেল প্রকল্পের জন্য ২৩৬ মিলিয়ন ডলার ঋণের কথা এরই মধ্যে বলা হয়েছে। তালিকাভুক্ত সব প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে উল্লেখ করে ঢাকায় চীনা দূতাবাসকে চিঠি দিয়েছে ইআরডি। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চীনা ঋণ অনুমোদনে দীর্ঘসূত্রতা</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে ঋণচুক্তির দ্রুত প্রক্রিয়ার তুলনায় ঋণ অনুমোদন দিতে দীর্ঘ সময় নেয় চীন। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বা জাইকার মতো বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগীদের প্রকল্প সাধারণত একনেকে অনুমোদনের মাসখানেকের মধ্যে চুক্তি হয়ে যায়। এর বিপরীতে অনেক সময় নিয়ে প্রকল্প প্রস্তাব এবং ঋণ প্রস্তাব পর্যালোচনা করে চীন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চীনের ঋণপ্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। এর মধ্যে শুরুতে কোনো প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য চীনকে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। চীন তখন প্রকল্প প্রস্তাব চায়। এরপর সেটিকে অনুমোদন দিলে পরের পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। এরপর চীন প্রকল্পের ওপর বিস্তৃত সমীক্ষা ও বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিক ঋণ প্রস্তাব চায়। ঋণ অনুমোদনের আগে একের পর এক এসব ধাপ সম্পন্ন হতে সাধারণত দু-তিন বছর লেগে যায়। এরপর চুক্তি সই হলেও তহবিল পেতে আরো এক বছর লাগে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অর্থনীতিবিদদের অভিমত</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চীনা ঋণ হুমকির দিকে যাচ্ছে কি না, এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঋণ নিয়ে কোথায় ব্যবহার করছি, সেটা বড় বিষয়। প্রয়োজনীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিলে কোনো সমস্যা নেই। অনেক সময় কম ব্যয়ের প্রকল্পে বেশি ব্যয় ধরে আমরাই ফাঁদ তৈরি করি। তাহলে তো সমস্যা হবেই। তাই প্রকল্প সিলেকশনের ব্যাপারে সাবধান হলে, কোনো ভুল প্রকল্প না নিলে, কোনো ঋণই সমস্যা না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চীনা ঋণ নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চীনা ঋণ নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। শঙ্কা হচ্ছে আমাদের প্রকল্প বাছাইয়ে। আমরা যদি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে চীনা ঋণ নিই, তাহলে তো সমস্যায় পড়তেই হবে। প্রকল্প যদি অর্থনৈতিক বিবেচনায় লাভজনক হয়, তাহলে কোনো সমস্যা না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>