<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জাল দলিলে ভুয়া জমি মর্টগেজ রেখে ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ঋণ আত্মসাৎ করেছে চট্টগ্রামভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিলভার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কিন্তু ঋণের জন্য বন্ধক দেওয়া জমিগুলোর মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি। সেই তথ্য গোপন করে মেহেদী হাসান দীপু ও কাওসার আহমেদ অপু নামের দুই ব্যক্তি একই জমি দ্বিতীয় দফায় বিক্রি করে দেন সিলভার ফুডের কাছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জাল দলিলে জমি বিক্রি করে চক্রটি। সেই জাল দলিলকেই ভিত্তি করে মর্টগেজ বা বন্ধকি দলিল তৈরি করে হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে সিলভার ফুড। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অনুসন্ধানে জানা যায়, রূপগঞ্জের বরুনা ও কায়েমশার মৌজার ৪.৭২ একর বা ৪৭২ শতাংশ জমি ৩৪৫৫, ১১২২০, ১১২২২, ১১২২৪ নম্বর দলিলে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে বিক্রি করেন মেহেদী ও কাওসার। ২০২২ সালের ৩ মার্চ ও ১০ আগস্ট পৃথক চারটি দলিলে জমিগুলো বিক্রি করেন তাঁরা। বিক্রীত জমিগুলোর আরএস দাগ নম্বর যথাক্রমে ২৬৬, ২৫, ১১৭, ১০৯, ৫০৪, ৫০৫, ৯১৬, ৫৩৫৪, ৫৬২০, ৫৬৫২, ৫৬৫১, ২৪৩১, ২০৪, ১২১, ৩৫, ৭৮৪, ৭২৫, ১৬৬, ১১৩, ১৩০৪, ১৩০৫, ২২৫, ৪৫২, ৪৫৩, ৪৫৪, ২৩২, ২৩৭, ২২৯, ১১৪৩, ৪১৯, ১১৬১, ৮১৬, ২৬৭, ৩৮৪, ৩৬৫, ৩৪১ ও ৩৮৩। বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি জমি কেনার এক মাসের ব্যবধানে ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর একই জমি চট্টগ্রামের সিলভার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে বিক্রি করে দেয় চক্রটি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অনুসন্ধানে জানা যায়, সিলভার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের নামে চারটি দলিলে রূপগঞ্জের বরুনা ও কায়েমশার মৌজার ৪৭২ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি দেওয়া হয়। ১৪১৪১, ১৪১৪৩, ১৪১৫৭ ও ১৪১৪৭ দলিলের মূল্য যথাক্রমে দেখানো হয়েছে সাত কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা, ছয় কোটি আট লাখ ৯ হাজার টাকা, এক কোটি ২১ লাখ ১৯ হাজার টাকা এবং এক কোটি ১৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এগুলোর মধ্যে ১৪১৪১ নম্বর দলিল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রূপগঞ্জের সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিলটি ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে, যার সাফ কবালা বিক্রয় ক্রমিক নম্বর ১৪১৮০, বহি নম্বর ১, দলিল নম্বর ১৪১৪১। দলিলে উল্লেখ করা হয়, রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কায়েমশার মৌজার প্রায় ২.১৯ একর নাল জমি সাত কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। দলিলগ্রহীতা হিসেবে সিলভার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ৩৪৭ জিলানী টাওয়ার (তৃতীয় তলা), চট্টগ্রাম, ৪০০০। টিআইএন ৭৮৯১২৫৯২৮২৩১।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে দলিলদাতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে কাওসার আহমেদ অপু, পিতা রফিকুল ইসলাম, মাতা জোবেদা খাতুন। জন্ম নিবন্ধন নম্বর ৫০৭৪০৪২৮৯৫।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১৪১৪৩ নম্বর দলিল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রূপগঞ্জের সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিলটি ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে, যার সাফ কবালা বিক্রয় ক্রমিক নম্বর ১৪১৮২, বহি নম্বর ১, দলিল নম্বর ১৪১৪৩। দলিলে উল্লেখ করা হয়, রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বরুনা মৌজার ১.৮২ একর নাল জমি ছয় কোটি আট লাখ ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এই দলিলেও সিলভার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্থায়ী ঠিকানা দেখানো হয়েছে চট্টগ্রামের ৩৪৭ জিলানী টাওয়ার। দলিলদাতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে কাওসার আহমেদ অপু।</span></span></span></span></span></p>