<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েই নিয়ন্ত্রণ, দখল আর আধিপত্য বিস্তারে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে থাকেন তিনি। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন ঘাট, ইপিজেড</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হেন জায়গা নেই যেখানে তিনি আধিপত্য বিস্তার করেননি। আওয়ামী লীগের শাসনামলে টানা ১৫ বছর নিজের নির্বাচনী এলাকায় দলীয় ও নিজের প্রভাব খাটিয়ে কোটি কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ করেছেন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক বনেছেন বলে যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তিনি চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের চারবারের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ আবদুল লতিফ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৮ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হয়েই চট্টগ্রাম চেম্বার, ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল, চট্টগ্রাম বন্দর, কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন ঘাট, ইপিজেডসহ নির্বাচনী এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাবেক এমপি এম এ লতিফ চেম্বারের সভাপতি ও পরিচালক বানাতেন কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে। লাইটারেজ জাহাজ, ভোগ্য পণ্য আমদানি, আবাসনসহ লতিফের বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। তাঁর আয়ের বড় উৎস চট্টগ্রাম চেম্বার। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অভিযোগ রয়েছে, এক দশকের বেশি সময় ধরে বিনা ভোটে চেম্বার দখলে রেখেছেন সাবেক এমপি লতিফের পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা। এতে চেম্বারটি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের বদলে লতিফের চেম্বার হয়ে ওঠে। সর্বশেষ কমিটিতে ছেলে ওমর হাজ্জাজকে বিনা ভোটে সভাপতি ও অন্য ছেলে ওমর মুক্তাদিরকে করেন পরিচালক। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায়  হত্যা মামলাসহ ৮-১০টি মামলার আসামি লতিফ। গত ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্দোলনে এরশাদ নামে একজনকে গুলির ঘটনায় ডবলমুরিং থানায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যেভাবে কুক্ষিগত চট্টগ্রাম চেম্বার : ২০০৪ সালে  সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী চেম্বার সভাপতি থাকাকালে সহসভাপতি ছিলেন লতিফ। ২০০৮-০৯ সালের মেয়াদে চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত হন এম এ লতিফ। তিনি সভাপতি হওয়ার পর তাঁর দুর্ব্যবহারে চট্টগ্রাম চেম্বার থেকে বেরিয়ে যান বড় বড় ব্যবসায়ীরা। বনেদি ব্যবসায়ীরা মিলে ২০০৯ সালে গড়ে তোলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১৯৯১-৯৬ মেয়াদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রামের এক সমাবেশে চট্টগ্রামকে বাণিজ্যক রাজধানী ঘোষণা করেন। এরপর চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত্রে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার গড়ে তুলতে নামমাত্র মূল্যে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় প্রায় ৭৫ কাঠা জমি বরাদ্দ দেন। ২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়া পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।  ২০০৮ সালে লতিফ চেম্বারের সভাপতি ও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়ার নাম-নিশানা মুছে ফেলেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">খোঁঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চেম্বারকে নিজের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন লতিফ। চেম্বারের সর্বশেষ ভোট হয় ২০১৩ সালের ৩০ মার্চ। ওই নির্বাচনে লতিফ সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হয়। প্রথমবারের মতো সভাপতি হন মাহবুবুল আলম। তিনি লতিফের আশীর্বাদে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের পর চেম্বারের আর কোনো নির্বাচন হয়নি। ১০ বছরে টানা পাঁচবার ভোটের বদলে নিজের পছন্দের লোকদের দিয়ে চেম্বারের নেতৃত্ব নির্বাচন করেছেন। এর মধ্যে ২০১৭-১৮ সালে বিনা ভোটে পরিচালক লতিফের ছেলে ওমর হাজ্জাজ। সর্বশেষ চেম্বার  সভাপতি ছিলেন লতিফ পুত্র ওমর হাজ্জাজ ও পরিচালক ছিলেন আরেক  ছেলে ওমর মুক্তাদির। লতিফই ঠিক করে দিতেন কাকে চেম্বার পরিচালক করা হবে। কেউ প্রতিবাদ করলে পরবর্তী নির্বাচনে কৌশলে বাদ পড়ে যেতেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ব্যবসায়ীরা বলছেন, চেম্বার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন লতিফ। তাঁর এমন স্বেচ্ছাচারিতা এবং পরিবারতন্ত্রের কারণে প্রায় এক যুগ ধরে ব্যবসায়ীরা শতবর্ষী এই চেম্বারের নের্তৃত্বে যাওয়ার আগ্রহ হারান। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অভিযোগ রয়েছে, নিজের পছন্দের লোকদের তিনি চেম্বারে চাকরি এবং পদোন্নতি দিয়েছেন। লতিফের সহযোগিতায় ২০০৮ সালে চেম্বারের রেসিডেনশিয়াল ইঞ্জিনিয়ার হিসবে নিয়োগ পান মো. ফারুক।  পরে তাঁকে চট্টগ্রাম চেম্বারের সেক্রেটারি ইনচার্জ করা হয়। শুরুতে তাঁর বেতন ছিল ২৪ হাজার টাকা।  ২০২৩ সালের ১৪ জুন একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ইনক্রিমেন্ট দিয়ে তাঁর বেতন করা হয় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। এরপর লতিফপুত্র সভাপতি হয়ে  মো. ফারুককে দুই লাখ ৬৬ হাজার টাকা বেতনের সেক্রেটারি জেনারেল পদে পদোন্নতি দেন। এ ধরনের কোনো পদ চট্টগ্রাম চেম্বারে নেই। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এস এম নুরুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম চেম্বারে লতিফের একচ্ছিত আধিপত্য ছিল। রাজনীতিও চট্টগ্রাম চেম্বার থেকে পরিচালনা করতেন লতিফ। যাকে ইচ্ছা ডিরেক্টর করেছেন, একজনকে পাঁচবার সভাপতি করেছেন। এসব করেছেন কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে। পুরনো ভবন ভাড়া দিয়ে চেম্বার অনেক টাকা আয় করতে পারত, কিন্তু লতিফ ওই চেম্বার ভবন ১৫ বছর ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন। চেম্বারের বিদ্যুৎসহ সব ধরনের সুবিধা বিনা মূল্যে নিয়েছেন। এ ছাড়া ওয়ার্ল্ভ্র ট্রেড সেন্টারে স্পেসভাড়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে লতিফ জড়িত। আমরা যদি চেম্বারের দায়িত্বে আসতে পারি, তাহলে অডিট করানো হবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নির্বাচনী এলাকায় একক প্রভাব : অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর, ইপিজেডসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়া, যন্ত্রপাতি সরবরাহ, বদলিসহ বিভিন্ন কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপ ছিল তাঁর। কর্ণফুলী নদী ও বন্দরে লতিফের ছত্রচ্ছায়ায় অবৈধ মালামাল, চোরাই তেল বিক্রি করত তাঁর অনুসারীরা। চট্টগ্রাম বন্দর-ইপিজেড এলাকায়  অবৈধ গাড়ি পার্কিং, ফুটপাতে দোকান বসিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন লতিফের অনুসারী দলীয় বিভিন্ন নেতাকর্মী। এর মধ্যে যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু, হাসানুজ্জামান সোহেল, জাকের আহমেদ খোকন, আজিজ, আওয়ামী লীগ নেতা রাজীব, শুক্কুরসহ বেশ কয়েকজন রয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও বন্দরের ঠিকাদার রোটারিয়ান মোহাম্মদ ইলিয়াস কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নিজের পছন্দের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ছাড়া কাউকে কাজ করতে দিতেন না লতিফ। আমাকেও নানাভাবে হয়রানি করেছেন তিনি। তাঁর নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন। তাঁর চোরাই তেলের এবং মাদক ব্যবসাও রয়েছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংসদ সদস্য হওয়ার পর বেপরোয়া : এম এ লতিফ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়ান। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম শহীদ মিনারে এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি হয়। এর আগে ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম থেকে বিমানে ঢাকা যাওয়ার সময় তৎকালীন পুলিশের এক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের সঙ্গে লতিফের অশোভন আচরণের খবর ছাপা হয় বিভিন্ন পত্রিকায়। ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অঢেল সম্পদ অর্জন : হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে লতিফের নগদ টাকা বেড়েছে প্রায় ১৩ গুণ। ১৫ বছরে লতিফের অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ১৮ গুণের বেশি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসিতে দাখিল করা লতিফের হলফনামায় নগদ টাকার পরিমাণ উল্লেখ করলেন ১৮ লাখ ৯ হাজার ১২৬ টাকা। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় নগদ দুই কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার ৮৬১ টাকার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। অর্থাৎ গত ১৫ বছরের ব্যবধানে তাঁর নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে দুই কোটি ১৯ হাজার ৭৩৫ টাকা। এই হিসাবে গত ১৫ বছরে এমপি লতিফের নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১৩ গুণের বেশি।</span></span></span></span></span></p> <p><strong><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কারাগারের বাথরুমে পড়ে আহত লতিফ </span></span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম নগরের বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ লতিফ চট্টগ্রাম কারাগারে বাথরুমে পড়ে আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। পরে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম কারাগার থেকে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, সন্ধ্যার দিকে বাথরুমে পা পিছলে পড়ে তিনি নাকে আঘাত পান। বয়স্ক মানুষ, তাই তাঁকে আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p>