<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাজারে কোনো নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে নেই। বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে পণ্য বিক্রি করছেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের প্রত্যাশা ছিল দ্রব্যমূল্যের চাপ কিছুটা কমবে। কিন্তু বাস্তবে প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, যেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাগলা ঘোড়ার মতো বেপরোয়া হয়ে গেছে। যার লাগাম কোনোভাবেই টেনে ধরা যাচ্ছে না। নতুন সরকারের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য যতটুকু গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল, সে রকম পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের প্রাণিজ আমিষের প্রধান উৎস হলো ডিম ও ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু ডিমের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি এক ডজন ডিমের দাম ১৮০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। বাজারে সরবরাহ ঘাটতি মেটাতে সরকার সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ফলে বাজারে তেমন কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে হচ্ছে না। একইভাবে ব্রয়লার মুরগি ও সবজির দামও ভোক্তাদের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার প্রধান কারণ হলো বাজার সিন্ডিকেট এখন আরো বেশি সক্রিয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এরই মধ্যে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিস্থিতি তদারক করার জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তাদের সীমিত জনবল নিয়ে বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে, কিন্তু এই অভিযানেরও বাজারে কোনো দৃশ্যমান প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। পেঁয়াজ, আলু, ডিম ও চিনির শুল্ক কমানো হয়েছে। এতে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা কমেছে। তবে এর বাইরে অন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সরকারকে এর দ্রুত ও কার্যকর সমাধান বের করতে হবে। বাজারের সিন্ডিকেট দমন, উৎপাদন বাড়ানো এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এসব দিকে নজর দিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে যা করা দরকার, তা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার কয়েকটি কম্পানি ও আমদানিকারকের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে প্র্রতিযোগিতামূলক করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে। বাজার তদারকি সফল করতে পাকা রসিদের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। লেনদেনে স্বচ্ছতা ও চাঁদাবাজি দূর করা এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের বাজার থেকে সরানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানো এবং পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে একটি </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কৃষক সমবায়ভিত্তিক বিপণনব্যবস্থা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> চালু করা যেতে পারে। পণ্যের চাহিদা, উৎপাদন ও সরবরাহের পরিসংখ্যান বিশ্বাসযোগ্য করার ব্যবস্থা করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লেখক : নির্বাহী পরিচালক, ভলান্টারি কনজিউমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি (ভোক্তা)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অনুলিখন : সজীব আহমেদ</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>