<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এক লাখ পিস ইয়াবার চালান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে একটি অডিও ভাইরাল হলে ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন তৎকালীন টঙ্গী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রেজাউল করিম। শূন্য থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া রেজাউল ছিলেন গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলের চাচা মতিউর রহমান মতি চাচার নিত্যদিনের ছায়াসঙ্গী। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২০১৮ সালে গাজীপুর মহানগরীর শীর্ষ ১০ মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা তৈরি করে সরকারের একটি সংস্থা। ওই তালিকায় শীর্ষ ১০ জনের সবাই ছিলেন টঙ্গীর। তাঁদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা সরকার মশিউর রহমান বাবু, হুমায়ুন কবীর বাপ্পীসহ সাতজনই ছিলেন ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও কৃষক লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাঁদের সবাই ছিলেন মতি চাচার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শুধু রেজাউল বা শীর্ষ ১০ জন নন, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতি চাচার সুসম্পর্কের বিষয়টি ছিল ওপেন সিক্রেট। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টঙ্গীতে ছোট-বড় বস্তি ১৯টি। এরশাদনগর বস্তি সবচেয়ে বড়। এই ১৯ বস্তিতে প্রতিদিন হাতবদল হয় কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকার মাদক, যার একটি অংশ যায় মদদদাতা, পুলিশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের পকেটে। মাদক ছাড়াও বস্তির লোকজন চুরি, ছিনতাই, খুনসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বস্তির নেতারা বিপদে-আপদে মতি চাচার কাছেই যেতেন। কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হলে থানা থেকে ছাড়াতে মতি সহায়তা করতেন। এভাবে তিনি হয়ে ওঠেন বস্তিবাসীর অভিভাবক। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জানা গেছে, টঙ্গীর কোনো কোনো মাদক ব্যবসায়ীর টঙ্গী, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছে একাধিক বাড়ি, গাড়ি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। তার পরও ব্যবসার প্রয়োজনে তাঁরা থাকেন বস্তিতে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টঙ্গীর এক যুবলীগ নেতা বলেন, টঙ্গীর ১৯ বস্তির মধ্যে এরশাদনগর, নতুনবাজার ব্যাংকের মাঠ, কেরানির টেক, আমতলী, গোপালপুর, পাগাড়, মিরেশপাড়া নদীবন্দর, আরিচপুর, টঙ্গী বাজার, হাজী মাজার, সান্দারপাড়া, মিল গেট, গাজীপুরা ব্যাংকপাড়া, দত্তপাড়া বস্তি মাদকের বড় হাট। বেশির ভাগ মাদকের গন্তব্য ঢাকা। মতি চাচার আরেক ঘনিষ্ঠ হাত বিবেচিত ছাত্রলীগ নেতা সোহেল ও আরফিনার নিয়ন্ত্রণে ছিল ব্যাংকের মাঠ বস্তি। মাদকসম্রাজ্ঞী আরফিনা মাদক ব্যবসা করে ১৫ বছরে গড়েছেন কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। নরসিংদীতে তাঁর রয়েছে রিসোর্ট, টঙ্গীর মরকুনে ছয়তলা ভবন ও তিনতলা বাড়ি, পুবাইলের করমতলায় টিনশেড বাড়ি ও বিশাল রিকশা গ্যারেজ, পুবাইল কলেজ গেটে পাঁচতলা ভবন ও একটি টিনশেড বাড়ি, টঙ্গীর গাজীবাড়িতে ফ্ল্যাট, টঙ্গীর নতুনবাজারে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা, বস্তিতে একাধিক দোকান, শতাধিক অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, চারটি প্রাইভেট কার। মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য রয়েছে বিশাল গ্যাং। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শুধু এই বস্তি থেকেই মতি চাচার পকেটে মাসে চার লাখ টাকা যেত বলে জানান বস্তির এক মাদক কারবারি। টঙ্গীর আরেক বড় মাদকের আখড়া হাজীর মাজার বস্তি। একসময় এই বস্তির নিয়ন্ত্রণ ছিল বাচ্চুর হাতে। ২০১৮ সালের মে মাসে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বাচ্চু নিহত হলে ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেন ১৯ মামলার আসামি রোকন। বাচ্চু ও রোকন দুজনই ছিলেন মতি চাচার ঘনিষ্ঠ। টঙ্গীর আরেক বড় মাদকের হাট এরশাদনগর বস্তি। এই বস্তিতে প্রতিদিন হাতবদল হয় কোটি টাকার মাদক।  </span></span></span></span></span></p> <p> </p>