<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১৭ জন সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের ২০ নভেম্বরের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতের সামনে হাজির করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসিকিউশনের আবেদনে গতকাল রবিবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদন উপস্থাপন করে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ নোমান।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নতুন পরোয়ানা জারির আবেদনের সঙ্গে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আরো দুটি আবেদন করা হয় ট্রাইব্যুনালে। গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল, তাঁদের মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখাতে ১৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ১৪ জন হলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, জুনাইদ আহমেদ পলক, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক প্রধানন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী, সালমান এফ রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নতুন করে যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাঁদের সবাই পুলিশ কর্মকর্তা। নিরাপত্তা, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁদের সবার নাম প্রচার-প্রকাশ করা যাবে না। এটি ট্রাইব্যুনালেরই আদেশ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিফ প্রসিকিউটর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেসব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি, তাঁদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছিল। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন না তাঁদের ভয়ের কারণ নেই। তেমনি জনগণকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা গণহত্যায় সম্পৃক্ত ছিলেন, তাঁদের নাম আমরা ধারাবাহিকভাবে নিয়ে আসব। কোনো অপরাধীকে বাদ দেওয়া হবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>