<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদি ইউনিয়নের বগাদি গ্রামের আবুল হাসানের অপেক্ষায় আজও আঁচল পেতে আছেন মা রমিজা বেগম। ২০১৩ সালে স্থানীয় দালালচক্রের মূল হোতা ইব্রাহিম নকিবের হাত ধরে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে সাগরপথে পা বাড়িয়েছিলেন তাঁত শ্রমিক আবুল হাসান। ১১ বছর হয়ে গেছে, এখনো ছেলের কোনো সন্ধান পাননি। দীর্ঘশ্বাস ফেলে রমিজা বলে উঠলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আল্লায় জানে আমার পুতডা বাঁইচ্যা আছে কি না। ক্যান যে লোভ করছিল পোলায়। না করছিলাম, যাইসনারে বাপ। আমার কতা হুনলো না। আমি কাইন্দা বুক ভাসাইতাছি। মরার দালালে আমার পোলারে নিয়া মাইরা ফালাইছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রমিজার মতোই নীরবে কাঁদছেন আড়াইহাজারের শত শত মা। তাঁদের বুক খালি করে সন্তানরা হারিয়ে গেছেন কোনো অজানায়। তাঁদের অনেকে আবার জানেনও না যে সন্তান বেঁচে আছেন, নাকি আর কখনো ফিরবেন না। আড়াইহাজার উপজেলা থেকে গত ১৯ বছরে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে এঁদের মধ্যে একটি বড় অংশ মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পা বাড়াতে গিয়ে বেছে নিয়েছিলেন বিপত্সংকুল পথ। সমুদ্রপথে বিনা পাসপোর্ট ও ভিসায় গিয়ে আর ফিরতে পারেননি অনেকে। কেউ ফিরেছেন লাশ হয়ে। অনেকেই সেখানে গিয়ে আটকে পড়েছেন, যাঁদের ছাড়িয়ে আনতে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে গিয়ে সর্বশান্ত হতে হয়েছে তাঁদের পরিবারকে। কেউ কেউ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন বিদেশের কারাগারে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিনা পাসপোর্ট ও ভিসায় সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমাতে গিয়ে গত ১৯ বছরে আড়াইহাজারের অন্তত ৭৯ জন মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। কোনো দিনই এঁদের আর খবর পাওয়া যায়নি। এঁরা সবাই চটকদার আশ্বাসে সাড়া দিয়ে লোভের ফাঁদে পড়ে কাউকে কিছু না বলে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমিয়েছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই ৭৯ জন নিখোঁজের তথ্য কালের কণ্ঠ সংগ্রহ করেছে থানায় জমা পড়া অভিযোগ আর ওকাপ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে। প্রকৃতপক্ষে নিখোঁজের এই সংখ্যা শত শত হবে বলে মনে করে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা এনজিও ওকাপ। আড়াইহাজারে ওকাপের মাঠকর্মী মোহাম্মদ ওদুদ মিয়া বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই উপজেলায় দুই শ থেকে আড়াই শ নিখোঁজ আছেন। তথ্য দিতে অনেকে ইচ্ছে করে এগিয়ে আসছে না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নিখোঁজ ৭৯ জনের একজন মোবারক হোসেন। নারান্দি গ্রামে একটি পাওয়ারলুমের শ্রমিক ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালের এক সন্ধ্যায় তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ হাওয়া হয়ে যান। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৮ বছর। তাঁর বিধবা মা কুলসুম বেওয়া অনেক খোঁজাখুঁজি করে শুধু এটুকু জানতে পারেন যে তাঁর ছেলে গ্রামের আরো কয়েকজনের সঙ্গে মিলে মালয়েশিয়ায় চলে গেছেন। সেই থেকে কুলসুম দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ছেলের খোঁজে, কিন্তু কখনো তিনি পুলিশের শরণাপন্ন হননি। উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে কুলসুম এখন ভিক্ষা করে জীবন চালান। পুলিশের কাছে যাননি কেন কখনো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মামলা করতে গেলে টাকা-পয়সা খরচ হবে। টাকা পাব কোথায়?</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> তা ছাড়া থানা পুলিশ করতে গেলে যে ছোটাছুটি করতে হবে সেই সামর্থ্যও তাঁর নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশনন্দী গ্রামের জহিরুল ইসলাম একজন হতভাগ্য। কারণ তিনি শেষ পর্যন্ত জীবিত ফিরে আসতে পারেননি। গত বছর কাউকে কিছু না বলে বাড়ি ছাড়ার এক মাস পর জহিরুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ জানতে পারেন, জহিরুল মিয়ানমারে পাচারকারীদের হাতে বন্দি। মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়াতে হবে তাঁকে। ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণের একটি বড় অংশই পরিশোধ করেন তাঁরা। কিন্তু এই টাকা পরিশোধের এক পর্যায়ে বাংলাদেশে পাচারকারীদের এক এজেন্ট পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এর পর থেকে শুরু হয় জহিরুলের ওপর নির্যাতন। পাচারকারীদের তরফ থেকে জানানো হয়, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জহিরুলকে আর জীবিত ফেরত পাওয়া যাবে না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> এক পর্যায়ে জহিরুলকে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মালয়েশিয়ার এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় জহিরুলের। পরে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে গত এপ্রিল মাসে তাঁর মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা হয়। জহিরুলের ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ কেমন উন্নত জীবন? মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে পুরো পরিবার আজ পথে বসার দশা। উন্নত জীবনের বদলে ভাইটাকে আমার মরতে হলো।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নারান্দি গ্রামের মজিবুর রহমান ২০১৩ সালে বাড়ি ছাড়েন মালয়েশিয়ার উদ্দেশে। তিনি বাড়িতে জানিয়েই যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর বাবা সোনা মিয়া ছেলের বিদেশযাত্রার পক্ষে ছিলেন না। তাই ২২ বছর বয়সী মজিবুর বাড়ি ছেড়েছিলেন পালিয়ে। মজিবুরের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। একই বছর সোনা মিয়ার মেয়ের জামাই আখতার হোসেনও মালয়েশিয়া পাড়ি জমাতে গিয়ে নিখোঁজ হন। সোনা মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করেনি। কালের কণ্ঠ এমন আরো তিনজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছে, যাঁদের অভিযোগ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল আড়াইহাজার থানা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আড়াইহাজার থানার এখনকার ওসি তদন্ত হুমায়ুন কবির বলেন, তাঁদের কাছে ২০২৩ সালে নিখোঁজ হওয়া ১৯ জনের তথ্য আছে। নিখোঁজদের পরিবার থানায় দালালদের নামে মামলাও করেছে। র‌্যাব ও পুলিশ কয়েকজন দালালকে গ্রেপ্তারও করেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাতেন নামের এক দালালের চটকদার প্রলোভনে সাড়া দিয়ে বিনা পাসপোর্ট-ভিসায় নৌকায় চড়ে মালয়েশিয়া রওনা দিয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ মিয়া। এটি ২০২৩ সালের ঘটনা। টেকনাফ দিয়ে সাগরপথে রওনা দিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর ধরা পড়েন মিয়ানমারের কোস্ট গার্ডের হাতে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর মাস দুয়েক জেলে কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন। এ বাবদ আব্দুল্লাহর দরিদ্র মা-বাবার লাখখানেক টাকা খরচও হয়ে গিয়েছিল। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চটকদার প্রলোভন, লোভে বরবাদ </span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আড়াইহাজারে যে ৭৯ জন ব্যক্তি মালয়েশিয়া যাওয়ার পর নিখোঁজ রয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৩৪ জন ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে কালের কণ্ঠ। সবার সঙ্গে কথা বলেই দেখা গেছে, এঁদের কেউই বাড়িতে কারো কাছে কিছু না জানিয়ে চলে গেছেন। সবাই মালয়েশিয়া গেছেন বিনা পাসপোর্ট ও ভিসায়, সমুদ্রপথে। এঁদের কাউকেই বিদেশ যাওয়ার জন্য কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি। প্রতিটি ব্যক্তি বয়সে তরুণ। প্রতিটি পরিবার হতদরিদ্র ও অশিক্ষিত। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত জোকারদিয়া গ্রামের একজন তাঁত শ্রমিক ছিলেন নাজমুল হাসান। বয়স ১৭ বছর। বাড়িতে বিধবা মা আর কিশোরী বোন। নাজমুলের আয়ে সংসার চলে। মার্চের এক তপ্ত দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি ছাড়ে নাজমুল। তার সঙ্গে ছিলেন আড়াইহাজারের আরো ছয় যুবক। সেখান থেকে তাঁদের নেওয়া হয় কক্সবাজারের টেকনাফে। টেকনাফে নেওয়ার পরই তাঁদের একটি ঝুপড়িতে বন্দি করে ফেলা হয়। তাঁদের সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ইত্যাদি কেড়ে নেওয়া হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আড়াইহাজার থেকে যে দালাল তাঁদের নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি তাঁদের তুলে দিয়েছিলেন অন্য এক দালালের হাতে। এ পর্যায়ে নাজমুল বিপদ বুঝতে পারে এবং বাড়িতে ফিরে যেতে চায়। নতুন দালাল তাঁদের বলেন, তিনি তাঁদের আড়াইহাজারের দালালের কাছ থেকে মাথাপিছু কুড়ি হাজার টাকা দরে কিনে নিয়েছেন। এখন ফিরে যেতে হলে এক একজনকে ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দিতে হবে। যেহেতু ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই নাজমুলের, তাই তাঁদের ছয় দিন পর এক গভীর রাতে নাফ নদে অপেক্ষমাণ একটি মাছ ধরা জেলে নৌকায় তুলে দেওয়া হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর এই নৌকা থেকে তাঁদের আরো একটি বড় ট্রলারে তুলে দেওয়া হয়। ততক্ষণে তাঁরা তিনবার বিক্রি হয়ে গেছেন। ওই বড় ট্রলারে ছিলেন ৭৩ জন যুবক। এঁদের মধ্যে ৪৫ জন বাংলাদেশি। অন্যরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্য। নাজমুলরা ভাগ্যবান। কারণ ওই ট্রলারটি আরো কিছুদূর যাওয়ার পর মিয়ানমারের কোস্ট গার্ডের হাতে ধরা পড়ে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মিয়ানমারের কারাগারে ১১ মাস থাকার পর গত মে মাসে নাজমুল এবং তাঁর পাঁচজন সঙ্গী বাড়ি ফেরত আসেন। ষষ্ঠ সঙ্গীর ভাগ্যে কী ঘটেছে, তাঁরা তা জানেন না। নাজমুলরা ফিরে এসেছিলেন বলে তাঁদের এই ঘটনা তাঁরা বলতে পেরেছেন কালের কণ্ঠের কাছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আড়াইহাজার থেকে কয়েক হাজার যুবক-তরুণ নৌকায় করে মালয়েশিয়া গেছেন উল্লেখ করে হাইজাদি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহিদা বেগম বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কেউ কেউ মালয়েশিয়ায় চাকরি করে ভালো আছেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> আর ঠিক এই ব্যক্তিরাই দালালদের বিজ্ঞাপনী মডেল। এঁদের কুমিরছানার মতো দেখিয়ে প্রতিনিয়ত পাচারের জন্য শিকারের ফাঁদ পাতছেন শিকারি দালালরা। ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ মিয়াকে তাঁর দালাল বলেছিলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গিয়া খালি টাকা পাঠাইবা। আকাশে চাঁদ উঠলে সবাই দেখবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> কাউকে কিছু না জানাতে পরামর্শ দিয়েছিলেন দালাল। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অবশ্য একেবারে বিনা মূল্যে মালয়েশিয়া নেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয় না। তাঁদের বলা হয়, মালয়েশিয়ায় গিয়ে চাকরি পেলে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। আবার একটু সম্পন্ন যাঁরা তাঁদের কাছ থেকে আগেভাগেই টাকা নেওয়া হয় এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় উড়োজাহাজে করে পাঠানোর, কিন্তু পরে তাঁদেরও সমুদ্রপথেই পাঠানো হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যদিও ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে আড়াইহাজারের ওসি তদন্তের ভাষায় </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মানবপাচার বন্ধ আছে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">, কিন্তু কত দিন তা থাকবে? ২০০৫ সাল থেকে আড়াইহাজারে মানবপাচারের ঘটনা শুরু হওয়ার পর ২০১৫ সালে পুলিশি অভিযানের কারণে কয়েক মাসের জন্য বন্ধ ছিল। পরে আবার ঠিকই শুরু হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>