<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনিয়মের অভিযোগে রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক কোটি পরিবার কার্ডের মধ্যে ৫৭ লাখ কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে। বাকি ৪৩ লাখ কার্ডের রূপান্তর প্রক্রিয়া চলছে। হাতে লেখা কার্ডগুলো স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে          </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রূপান্তর করতে গিয়ে এনআইডি যাচাইকালে নানা জটিলতায় সব কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা সম্ভব হয়নি। তাই এখনো আগের হাতের লেখা কার্ডেই টিসিবির পণ্য বিতরণ করতে হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, একটি পরিবার থেকে একজন ব্যক্তির টিসিবি কার্ড পাওয়ার কথা থাকলেও প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়, একাধিক ব্যক্তি এই সুবিধা নিচ্ছেন। এতে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকৃত সুবিধা দরকার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন অনেকে এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে এই অবস্থা আর থাকছে না। বাতিল হচ্ছে হাতে লেখা কার্ডের প্রচলন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হুমায়ুন কবির বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক কোটি হাতে লেখা কার্ড যখন এনআইডির সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করা হয়েছে, তখন দেখা গেছে, একই এনআইডি দিয়ে ঢাকায় একবার কার্ড নিয়েছে, আবার নিজের গ্রামের বাড়িতে হয়তো আরেকটা কার্ড করেছে। যখন আমরা এনআইডি দিয়ে যাচাই করতে গেলাম, তখন ৪৩ লাখ কার্ডে গরমিল দেখা যায়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি জানান, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি পণ্য পাচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিরা না থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে কি না তা-ও সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হুমায়ুন কবির বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফ্যামিলি কার্ডের এসব সমস্যা দূর করতে একটি পরিবার যাতে একটি কার্ডের বেশি না পায়, সে জন্য আমরা স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ পর্যন্ত ৫৭ লাখ স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করা হয়েছে। বাকি কার্ডগুলো করার জন্য আমরা জেলা প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনকে চার দফা চিঠি দিয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসনে যে রদবদল হচ্ছে, সে জন্য তাদের পক্ষ থেকে এই তথ্যগুলো না পাওয়ার কারণে বাকি কার্ডগুলো আমরা এখনো শনাক্ত করতে পারিনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টিসিবির মুখপাত্র জানান, রমজানে টিসিবির পাঁচটি পণ্য তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, ডাল বিক্রি করা হবে। সিটি করপোরেশনের বাইরে খেজুর বাদে চারটি পণ্য বিক্রি হবে। কার্ডের বাইরেও ট্রাকে করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ৭০টি পয়েন্টে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ পণ্য কিনতে পারবেন। প্রতি ট্রাকে ৩৫০ জনের উপযোগী পণ্য দেওয়া হচ্ছে।</span></span></span></span></p>