<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত ছয় হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র ও প্রায় দুই লাখ গোলা-বারুদ এবং বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ অন্যান্য অবৈধ মাদক উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এ ছাড়া অস্ত্র আইনে আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তি এবং ৭০০ জনের বেশি মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর আওতায় সারা দেশে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে গতকাল বুধবার সেনানিবাসের বনানী রেলক্রসিংসংলগ্ন স্টাফ রোডের মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব হায়দার খান। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে, সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারই নির্ধারণ করবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি জানান, এই মুহূর্তে দেশের ৬২টি জেলায় সেনাসদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সহায়তায় সেনাবাহিনী নিয়োজিত। শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা রোধে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন ইন্তেখাব হায়দার খান। এই সেনা কর্মকর্তা জানান, কারখানাগুলো চালু রাখতে মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার ফলে বর্তমানে দেশের দুই হাজার ৮৯টি গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে প্রায় সব কটিই এই মুহূর্তে চালু রয়েছে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি জানান, সাত শর বেশি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে সেনাবাহিনী, যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪১টি, সরকারি সংস্থা বা অফিসসংক্রান্ত ৮৬টি, রাজনৈতিক কোন্দল ৯৮টি এবং অন্য বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ৩৮৮টি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তিন হাজার ২৯৫ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ জন এখনো চিকিৎসাধীন। এক প্রশ্নের জবাবে ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রতিরোধের ব্যাপারে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>