<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিল্প গ্রুপ বেক্সিমকোকে পুরোপুরি রিসিভারের (প্রশাসক) নিয়ন্ত্রণে নিলে চলমান শ্রমিক অসন্তোষ নিরসন হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কার্যক্রমের অগ্রগতিসংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে সচিব এ কথা জানান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। গত ১০ নভেম্বরের আগে তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে গাজীপুর মহানগরের সারাবো এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে গতকাল চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতি মাসে বেক্সিমকোর বেতন-ভাতা বাবদ ৮২ কোটি টাকা দিতে হয়। আমরা দ্রুত বেক্সিমকোয় প্রশাসক নিয়োগ করব। আজ প্রধান উপদেষ্টা স্যার তাঁর দপ্তরে কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে সভা করেছেন। সেখান থেকে আমাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গভর্নরের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাঁরা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে এই জিনিসটি সমাধান হয়ে যাবে যখন একজন প্রশাসক পুরোপুরি এটা বুঝে নেবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালককে প্রশাসক করা হয়েছে। এটা টেকঅফ করলে সমস্যা সমাধান হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেক্সিমকোর দায়দেনা অনেক বেশি জানিয়ে সচিব বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এত বড় একটা প্রতিষ্ঠানকে সরকার সহায়তা দিয়ে এর সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। সমস্যার সমাধান তাদের নিজেদেরই করতে হবে। সেখানে যে সাময়িক অসন্তোষ সেটা নিয়ে সেনাবাহিনী কাজ করছে, শিল্প পুলিশ কাজ করছে। সবাইকে নিয়ে আমরা এটা অ্যাডজাস্ট করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সচিব সফিকুজ্জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাদের (বেক্সিমকো) কারণে অনেক ব্যাংক খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। জনতা ব্যাংক তাদের একটি বড় জায়গা। সেখান থেকে তাদের টাকা দেওয়ার কথা। গত দুই মাসে ৮২ কোটি টাকা করে ১৬৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের সঙ্গে তাদের যে অ্যারেঞ্জমেন্ট, সেখানে ঘাটতি রয়েছে। তাদের (বেক্সিমকো) অনেক ব্যাকলক আছে, সেখান থেকে তাদের টাকা দেবে নাকি সেই ব্যাকলক অ্যাডজাস্ট করবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটা নিয়ে কথা হচ্ছে। আমাদের চার-পাঁচজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা এটা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, মালিক ও শ্রমিক মিলে ১২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই মালিক আছেন, যাঁদের অন্তরীণ রাখা হয়েছে। শ্রমিকরা অনেক যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন, আবার অনেক দাবি অযৌক্তিক। শ্রম খাত অস্থিতিশীল করতে তৃতীয় পক্ষ কাজ করছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগামী মার্চের মধ্যে নতুন শ্রম আইন করা হবে এবং নতুন শ্রম আইন আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজ চলমান বলেও জানান শ্রমসচিব।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেক্সিমকোর শ্রমিকদের অবরোধ চলছেই</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজীপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে অবরোধ দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। রবিবার সকাল ৯টার দিকে চক্রবর্তী এলাকার চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। এতে সড়কের উভয় দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগে পড়ে অসংখ্য যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাশিমপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বিভিন্ন কারখানায় ৪১ হাজার শ্রমিক কাজ করে। শ্রমিকদের বেতন বাবদ কমপক্ষে ৮০ কোটি টাকার প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষ টাকা জোগাড় করতে না পারায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছেন।</span></span></span></span></p>