<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করায় উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশারচালকরা। আগের দিন বুধবারের মতো গতকাল বৃহস্পতিবারও অবরোধের কারণে অন্তত ছয় ঘণ্টা ভোগান্তিতে পড়ে সড়কপথের যাত্রীসহ ট্রেনের যাত্রীরা। এতে চরম বিপাকে পড়েন স্কুলগামী শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, রোগীসহ সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="অটোচালকদের অবরোধে জনদুর্ভোগ" height="299" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/22-11-2024/89999.jpg" style="float:left" width="343" />আন্দোলনকারীদের দাবি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ করার এই সিদ্ধান্ত তাদের রুটি-রুজিতে সরাসরি আঘাত করেছে। এতে তারা আর্থিক অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। ফলে তারা প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন। পুলিশের নিয়মিত ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে গতকাল অবরোধ কর্মসূচি করেছেন তারা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কারণে সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুঁকিতে পড়ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রাফিক পুলিশ বলছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যানবাহনের কারণে সারা দেশে ৯০০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৮২টি ছিল মারাত্মক।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রাজধানীর গুলশান, রামপুরা, ডেমরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বসিলা, আগারগাঁও, মহাখালী, গাবতলীসহ বেশির ভাগ এলাকায় সকাল থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের এই আন্দোলনের ফলে এসব এলাকার প্রধান সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মাঠে ছিল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা কয়েকটি এলাকায় লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লাগাতার এ অবরোধের কারণে যাত্রী ও ট্রেনের নিরাপত্তা বিবেচনায় গতকাল সকাল ১০টা থেকে রাজধানী থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। ছয় ঘণ্টা পর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে আবারও ট্রেন চলাচল শুরু হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা (কমলাপুর) রেলস্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, আন্দোলনকারী ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা মহাখালীতে রেললাইনের ওপর আড়াআড়ি করে রিকশা রেখে অবরোধ করেছেন। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সকাল ১০টার পর কোনো ট্রেন ঢাকা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়নি এবং আসেওনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, ট্রেন চলাচল শুরুর পর বিলম্বে থাকা জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন প্রথম ছেড়ে যায়। এ ছাড়া বিলম্ব হয়েছে একতা, কিশোরগঞ্জ, জয়ন্তীকা ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের। বিকেলের পর এসব ট্রেন একে একে ছাড়া শুরু হয়। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ট্রেনযাত্রীরা স্টেশনে চরম বিড়ম্বনার শিকার হন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা জেলার রেলওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, নিরাপত্তার কারণে বাধ্য হয়ে সারা দেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় রেলস্টেশনে আসা যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। পরে টানা ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল থেকে রেল চলাচল শুরু হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকাল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বা অটোরিকশার সংখ্যা বেশ কম ছিল। এসব যানের চালকরা ব্যস্ত ছিলেন এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করায়। বেশির ভাগ অটোরিকশাচালককে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে বিক্ষোভ করছেন। ফলে গতকাল পেডালচালিত রিকশার আধিক্য ছিল। গতকাল বিক্ষোভের সময় এলাকার সড়কগুলোয় ব্যাটারিচালিত রিকশা দেখলেই চাকার হাওয়া ছেড়ে দিতে দেখা গেছে একদল লোককে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সকাল ৯টা থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকরা মহাখালীতে রেল ও সড়কপথ অবরোধ  করেন।  এতে মহাখালীসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। মহাখালীতে রেলপথ অবরোধের কারণে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা মহাখালীতে এসকেএস শপিংমল ও সিটি ব্যাংকের একটি বুথে ভাঙচুর চালায়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টা থেকে মহাখালী রেলগেট এলাকায় রেললাইন ও রাস্তা দখল করে আন্দোলন করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। এরপর ১১টার দিকে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ধাওয়া করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। তবে ওই সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সদস্যদের তুলনায় রিকশাচালকদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারা উল্টো তাদের ধাওয়া দেন। রিকশাচালকদের ধাওয়া খেয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা এসকেএস শপিং মলের ভেতরে প্রবেশ করেন। এই সুযোগে আন্দোলনরত রিকশাচালকরা এসকেএস শপিং মল ও রাওয়া ক্লাবে ভাঙচুর করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শপিং মলটির নিরাপত্তাকর্মী মো. ইমামা বলেন, রিকশাচালকরা রেললাইনের পাথর ছুড়ে শপিং মলের গ্লাস ভাঙচুর করেন। এ সময় শপিং মলের আমানা বিগ বাজার সুপারশপে ও একটি ক্যাফের কাচ ভাঙচুর করা হয়। এরপর আন্দোলনরত অটোরিকশাচালকরা এসকেএস শপিং মলের সামনের সিটি ব্যাংকের এটিএম বুথে ভাঙচুর চালান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রাফিক গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সকাল থেকে এক হাজারের মতো চালক একত্র হয়ে মহাখালী সড়কে অবস্থান নেন। তাদের সড়ক অবরোধের কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যেই কিছু বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাত্রাবাড়ীতে অবরোধ </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে এই এলাকায় রিকশাচালকদের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাবতলীতে অবরোধ </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সকাল থেকে গাবতলীর প্রবেশমুখে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সেখানে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এই এলাকা দিয়ে যানবাহন রাজধানীতে ঢুকতে ও বের হতে না পারায় ব্যাপক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তেজগাঁওয়ে বিক্ষোভ </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সকাল সাড়ে ১০টার দিক তেজগাঁও এলাকায়ও সড়ক অবরোধ করেন আটেরিকশা শ্রমিকরা। জানতে চাইলে ডিএমপির তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান  বলেন, বিক্ষোভের ফলে যানজটের কারণে যনদুর্ভোগ হয়েছে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগারগাঁওয়ে বিক্ষোভ </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সকাল থেকে আগারগাঁওয়ে চার রাস্তার মোড়ে শত শত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয় জানিয়ে শেরেবাংলানগর থানার ওসি মো. আজম বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক করতে অটোরিকশাচালকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন তারা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিরপুরে বিক্ষোভ </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মিরপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন অটোরিকশার শ্রমিকরা। এ এলাকায় রিকশাচালকদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে মাঠে নামেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। এ সময় স্থানীয় মানুষ, দোকানি, পথচারীরা, সিএনজি, বাসের চালক ও হেলপাররাও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে রিকশাচালকদের ধাওয়া করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ সময় মামুন নামের এক রিকশাচালক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দীর্ঘদিন থেকে আমি ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাই। বয়সের কারণে পায়ে রিকশা চালানোর শক্তি নেই।  ঋণ করে এই রিকশাটি কিনেছি। এর উপার্জন দিয়ে সংসার চলে। হঠাৎ করে সরকার ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। অন্য কোনো কাজের ব্যবস্থা না করে এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হলে আমার মতো হাজার হাজার মানুষ বিপদে পড়বে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিরপুরের কালশী ও ইসিবি চত্বর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রিকশাচালকরা সেখানেও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় যানবাহনের দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও সড়কে পুলিশ সদস্যদের বাড়তি উপস্থিতি দেখা যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><strong><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চালকরা যা বলছেন</span></span></span></span></span></strong></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গুলশান এলাকায় আন্দোলনরত এক অটোরিকশাচালক দাবি করেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় ৮০ শতাংশ রিকশাচালক ছাত্রদের সঙ্গে ছিলেন। আজ তারা সেই দিনের কথা ভুলে গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><strong><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাধারণ মানুষ যা বলছেন</span></span></span></span></span></strong></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অটোরিকশা বন্ধের বিষয়ে কয়েকজন পথচারী বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে  অটোরিকশা বন্ধ করা ঠিক হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগে থেকে এ ব্যাপারে সতর্ক হলে আজ এমন পরিস্থিতি হতো না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>