<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্ট গতকাল শনিবার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, ইউনের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউন সুক ইওল দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট, যিনি অভিশংসনের মুখোমুখি হলেন। এর আগে ২০১৭ সালে পার্ক গিউন-হাই অভিশংসিত হয়ে পদ থেকে অপসারিত হয়েছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিশংসনের প্রস্তাবটি পাস করতে ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির ১২ জন সদস্য বিরোধী দলের সঙ্গে যোগ দেন। বিরোধী দল ৩০০ সদস্যের জাতীয় পরিষদের ১৯২টি আসন নিয়ন্ত্রণ করে। প্রস্তাবটি পাস করতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন ছিল, যা সহজেই পূরণ হয়। অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২০৪ জন সংসদ সদস্য, বিপক্ষে ছিলেন ৮৫ জন। তিনজন ভোটদানে বিরত থাকেন এবং আটটি ব্যালট অবৈধ হিসেবে গণ্য হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিশংসিত হলেও ইউন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন। তবে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে সাংবিধানিক আদালত তার অপসারণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। যদি ইউন অপসারিত হন, তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডিসেম্বরের ৩ তারিখ রাতে প্রেসিডেন্ট ইউন দেশকে স্তম্ভিত করে সামরিক বাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা দেন। তার দাবি ছিল, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নির্মূল করা এবং তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বাধা অতিক্রম করতে এই পদক্ষেপ জরুরি। পরে তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চান, তবে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে পদত্যাগের আহবান প্রত্যাখ্যান করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিশংসনের ভোটের আগেই হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হন। ভোটের ফলাফল জানার পর তাদের উল্লাস মিছিল করতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহেও তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্ট অভিশংসনের এক দফা ভোটাভুটি হয়েছিল, যদিও সেই ভোটে তিনি টিকে যান। তবে দ্বিতীয় দফায় অভিশংসিত হওয়ার কারণে নোটিশ পাওয়ার পর থেকে সাময়িকভাবে তার সব ক্ষমতা স্থগিত থাকবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাংবিধানিক আদালত যদি অভিশংসনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন, তাহলে সেই রায় দেওয়ার পর থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কট্টরপন্থী রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইউন ২০০২ সালের মে মাসে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয় বিরোধীরা। ফলে তার সরকার নিজেদের প্রত্যাশা মতো কোনো বিল পাস করাতে পারছিল না সংসদে।</span></span></span></span></p>