<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রস্তাব নিয়ে জনপ্রশাসনে বড় ধরনের অস্থিরতার সৃষ্ট্রি হয়েছে। বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। জনগণের সেবাকে সহজ ও ভোগান্তিমুক্ত করতে যে কমিশন গঠিত হয়েছিল, তা এখন কর্মকর্তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জড়িয়ে পড়েছে। ক্যাডার সংগঠনগুলো সরকারি চাকরির আচরণবিধির বাইরে গিয়ে নিজেদের স্বার্থ নিয়ে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। গতকাল রবিবার সচিবালয়ের ভেতরে নজিরবিহীন শোডাউন করেছেন প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএসএ) প্রায় এক হাজার সদস্য। অন্যদিকে প্রশাসনে মেধার ভিত্তিতে কোটামুক্ত পদোন্নতির দাবিতে শনিবার সচিবালয়ের বাইরে পূর্ত ভবনে সভা করে কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও সমাবেশ করার কর্মসূচি দিয়েছে প্রশাসন বাদে বিসিএসের ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংস্কার প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়ে কয়েক দিনের প্রতিবাদের ধারাবাহিকতায় গতকালও জনপ্রশাসন ক্যাডারের হাজারখানেক কর্মকর্তা জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত দাবি জানিয়ে বলেছেন, প্রশাসন ক্যাডারকে আলাদা করে আগের মতো শতভাগ উপসচিব বা তার ওপরের পদ অন্তর্ভুক্ত করে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সব কিছু মিলে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে জনপ্রশাসন। শুরু হয়েছে বড় ধরনের অস্থিরতা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজ হলো জনগণের সেবাকে ভোগান্তিমুক্ত করার সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন দেওয়া। তারা সেটা না করে শুধু ক্যাডার কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো বা কমানোর সুপারিশ করার কথা বলছে। সংস্কার কমিটি সরকারকে বিব্রত করতেই এমন করছে কি না তা দেখার বিষয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও প্রশাসন বিষয়ক বহু গ্রন্থ প্রণেতা মো. ফিরোজ মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তারা জনগণের ভোগান্তিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। তাদের কাজ এমন সুপারিশ দেওয়া যেখানে জনগণের সেবা অগ্রাধিকার পাবে। তারা সে পথে না গিয়ে ক্যাডার সার্ভিসগুলোর পদোন্নতিসংক্রান্ত বিষয়কে প্রাধান্য দিচ্ছে। এতে ক্যাডারগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব আরো বাড়ছে। ক্যাডার সার্ভিসের শৃঙ্খলা তছনছ হয়ে পড়েছে। চাকরির আচরণবিধি ভুলে কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে কামড়াকামড়ি করছেন। দলে-উপদলে বিভক্ত হয়ে কেউ কর্মসূচি দিচ্ছেন, আবার কেউ শোডাউন করছেন। সবই চাকরির আচরণবিধির লঙ্ঘন। প্রশাসনকে সঠিক পথে আনতে অনেক বেগ পেতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৩ অক্টোবর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। জনপ্রশাসনসচিব মোখলেস উর রহমান সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে এ কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা ছাড়া সিভিল সার্ভিসের উপসচিব এবং যুগ্ম সচিব পর্যায়ে কেউ পদোন্নতি পাবেন না বলে সুপারিশ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য ৫০ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তা নেওয়ার সুপারিশ দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা ৭৫ এবং অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা ২৫ শতাংশ পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মতো স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ক্যাডার সার্ভিস থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। অন্য ক্যাডারগুলো নিয়ে পাঁচটি গুচ্ছ করারও সুপারিশ দেবে কমিশন। এই খসড়া সুপারিশের খবর প্রচারিত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্যাডারসহ সব ক্যাডার কর্মকর্তারা। তাঁরা সবাই দাবি জানাতে থাকেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করে যেন প্রতিবেদন চূড়ান্ত না করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত করার আগে নিজেদের দাবিনামা পেশ করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যায় প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)। সকাল ১১টায় প্রশাসন ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচের অন্তত এক হাজার সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্ট ভবনে শোডাউন দেন। তিল ধারণের জায়গা ছিল না সচিবালয়ের ১ নম্বর ভবনে। পরে সংগঠনটির সভাপতি ড. মো. আনোয়ার উল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈঠক শেষে জনপ্রশাসনসচিব সাংবাদিকদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে অনেকের মতামত আছে, তাঁরা মতামত দিচ্ছেন। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) লিখিতভাবে তাদের প্রস্তাবনা দিয়েছেন, আমরা এটা কমিশনে জমা দেব। কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত করার আগে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই আলোচনা হবে। এটার পর বিভিন্ন ক্যাডারে আমরা যারা সরকারি চাকরি করি তাদের কারো মধ্যে আর ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। যারা স্টেকহোল্ডার আছেন তাঁদের মতামত আছে, তাঁরা দিচ্ছেন। অনেকে অনলাইনে দিচ্ছেন, কেউ লিখিত দিচ্ছেন, আজকে প্রশাসন ক্যাডাররা লিখিত দিয়েছেন, যেটা আমরা সংস্কার কমিশনে দেব। আমাদের কয়েকটি মৌলিক বিষয় নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। মূল কথা হলো, এর আগে ২৩টি কমিশন হয়েছে। এটি ২৪তম কমিশন। এটি শুধু জনপ্রশাসন কমিশন নয়, এ রকম আরো ছয়টি কমিশন রয়েছে। সব কমিশনই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এই কমিশনে একটি চূড়ান্ত পরামর্শ বা সাজেশন দেওয়ার আগে বিএএসএ সভাপতি ও জেলা প্রশাসন ঢাকাকে দায়িত্ব  দিয়েছি। তারা মিলে একটা গ্রহণযোগ্য মাত্রায় আমাদের যেসব কর্মকর্তা আছেন এবং আমাদের সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বসে একটা মতামত কমিশনকে দেওয়া হবে।  আশা করছি, চলতি সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারব। এতে কমিশনসহ সবার সময় নিতে হবে। এটার পর বিভিন্ন ক্যাডারের আমরা যারা সরকারি চাকরি করি, তাদের কারো মধ্যে আর ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শোডাউন দিতে পারেন কি না</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিএএসএ হলো একটি অ্যাসোসিয়েশন। যাঁরা আজকে এখানে এসেছেন তাঁরা হয়তো দল বেঁধে এসেছেন। আমার মনে হয়, এ বিষয়ে কিভাবে পজিটিভলি এগোনো যায় তার একটা রোল। আমরা বিভাগে, জেলায়, উপজেলায়, ইউনিয়নে গিয়েছি। এখন সেন্ট্রালে কমিশনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে বিএএসএ সভাপতি মো. আনোয়ার উল্লাহ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাঁরা কমিশনের সদস্যসচিবের মুখ থেকে একটি কথা শোনার জন্য ১০ মিনিটের জন্য এসেছেন। সেটি তাঁরা আসতেই পারেন। এখানে কোনো অশোভন আচরণ করা হয়নি। আমি বলব</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটি একটি শোভনীয় প্রক্রিয়া। আমরা স্যারের মুখ থেকে কিছু কথা শোনার জন্য আসছি। আমরা যেহেতু কমিশনপ্রধানকে পাচ্ছি না, স্যারকে পেয়েছি। তাই আমরা আমাদের একটি কাগজ হস্তান্তরের জন্য এসেছি। এটি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈঠকের বিষয়ে বিএএসএর সভাপতি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা কিন্তু কোনো ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের পক্ষ থেকে আন্ডারমাইন্ড করছি না। যার যার অবস্থান বা পদ থেকে ওপরে ওঠার যে সুযোগ আছে, সেটা অবারিত আছে। সেখানে আমরা কখনো কারো বিরুদ্ধাচরণ করছি না। একটি রাষ্ট্রকে, জনপ্রশাসনকে কোনোভাবে যাতে অস্থিতিশীল করা না হয়, সে জন্য আমাদের কর্মকর্তারা এখানে এসেছেন। আমার সার্ভিসের মধ্যে অন্য কেউ আসবেন না, আমরাও কোথাও যাব না। একটি সহজ হিসাব, আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন; ১৯টি সাবজেক্ট আপনাকে দেওয়া হয়েছিল। আপনি দুই বছর পর যদি বলেন, আমি সয়েল সায়েন্সে ছিলাম, এখন বায়োকেমিস্ট্রিতে যাব। এটা কি যৌক্তিক?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওদিকে শনিবার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন খসড়া সুপারিশের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রশাসন ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। আগামী মঙ্গলবার থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কলমবিরতি, মানববন্ধন, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে পরিষদ। শনিবার রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় পূর্ত ভবনে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫টি ক্যাডারের নেতাদের নিয়ে এক মতবিনিময়সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এক মতবিনিময়সভায় ২৫টি ক্যাডারের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) প্রতিটি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে বিবৃতি দেবে। ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা সব অফিসে কলমবিরতি পালন করা হবে। ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব অফিসে নিজ নিজ কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধন পালিত হবে। এ ছাড়া যেসব বিভাগে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়নি, অতি দ্রুত সেখানে সমাবেশ আয়োজন এবং জনসম্পৃক্ততা আরো বাড়ানো হবে। ৪ জানুয়ারি (শনিবার) ঢাকায় সমাবেশ আয়োজন এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।</span></span></span></span></p>