<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিজের ভাই ছিলেন বিমানমন্ত্রী, সেই সঙ্গে ছিল রাজনৈতিক প্রভাব। এর জোরেই চট্টগ্রামে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের ১২ একর জমি দখল করে নিয়েছে আজিজ খানের সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আজিজ খান আবার সিঙ্গাপুরের অন্যতম শীর্ষ ধনী। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের বড় ভাই তিনি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অধীন এই জায়গা দখল করে সামিট গ্রুপ গড়ে তোলে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড নামের বেসরকারি কনটেইনার ডিপো। দখলকৃত জায়গার পরিমাণ ১২ একর (১২০০ শতক)। স্থানীয়দের তথ্য মতে, এলাকাটিতে একশতক জায়গা ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। এতে ১২ একর সেই জায়গার মূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সরকারি নগরীর পতেঙ্গা থানার নাজির পাড়ায় অবস্থিত এই জায়গা অবৈধ দখলে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। দখল ছেড়ে দিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কয়েক দফা নোটিশ দিলেও আজিজ খান-ফারুক খান ভ্রাতৃদ্বয়ের প্রভাব ও দাপটের কারণে তা উদ্ধার হয়নি। এমনকি উচ্ছেদে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটও ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০০৮ সালে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বাধা উপেক্ষা করে সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করে। পরে টার্মিনাল মূল স্থাপনা থেকে টিন দিয়ে দখল আরো সম্প্রসারণ করে। দীর্ঘ সময় দেনদরবারে কাজ না হওয়ায় ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহাম্মেদ জামিল নোটিশটি স্বাক্ষর করেন। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের পক্ষে নোটিশটি গ্রহণ করেন পরিচালক (অপারেশন) ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম মজুমদার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম মজুমদার কালের কণ্ঠের কাছে দাবি করেন, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কোনো জায়গা দখল করেনি। তাদের কেনা সম্পত্তির ওপরেই কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবৈধ দখলদার হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে কেন নোটিশ এসেছিল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে, তাই বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালে বিমানবন্দরটি সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য বর্তমান টার্মিনাল ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা তৈরির কারণে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের পুনর্বাসনের জন্য নগরের দক্ষিণ পতেঙ্গা মৌজায় সাগরতীরে ২৭.৮১৫ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা অধিগ্রহণকৃত জায়গায় পুনর্বাসিত হতে অনাগ্রহ প্রকাশ করলে পরে তাদের জন্য বিমানবন্দরসংলগ্ন বিজয়নগর এলাকায় জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। তাদের জন্য বিভিন্ন সাইজের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে আগের কেনা দক্ষিণ পতেঙ্গার ২৭.৮১৫ একর জায়গায় বিমানবন্দরের নতুন আবাসিক কলোনি নির্মাণের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যকর তদারকির অভাবে সামিট গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সেখানে ১২ একর জায়গা দখল করে নেয়। বিভিন্ন সময়ে জমিটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কতৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল কালের কণ্ঠকে জানান, কয়েক দিন আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মনজুর কবির ভুঁইয়া শাহ আমানত বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসেন। তখন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বিমানবন্দরের ২৭ একরের বেশি জায়গা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে থাকার বিষয়টি তাঁকে জানান। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বেদখল হওয়া সরকারি জায়গা উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।</span></span></span></span></p>