<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যাংক খাতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আবার এটাও বলতে হবে যে ব্যাংক খাত যত দূর এগোতে পারত বা পুরো আর্থিক খাতটাই যত দূর এগোতে পারত, সেটা আমরা পারিনি। আমাদের অনেক অর্জন সত্ত্বেও অনেক ব্যর্থতাও আছে। যাহোক, এটার মূলে একক কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি নয়; এর মূলে আমরা সবাই হয়তো ভিন্নভাবে কাজ করতে পারতাম। সবাই হয়তো নিজেদের জায়গা থেকে চেষ্টা চালাতে পারতাম। হয়তো ব্যত্যয় ঘটেছে, হয়তো হয় নাই। সেই আত্মবিশ্লেষণ আমাদের করতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআইবিএমের সুবর্ণ জয়ন্তী ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গভর্নর আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্তর্জাতিক ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এ জন্য সবুজ ব্যাংকিং ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনেক ফান্ড পড়ে আছে, এগুলো নিতে ব্যাংকগুলো আগ্রহ দেখায় না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন বলেন, বিআইবিএম থেকে ২০২৪ সালে সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা ১৭ হাজার ২৮ ঘণ্টা ট্রেনিং পেয়েছে। বিআইবিএম থিংকট্যাংক থেমে নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া তিনি বলেন, বিআইবিএম ভালো প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা গড়ার আধার। এখান থেকে করপোরেট সুশাসন, ঋণ বিতরণসহ আর্থিক খাতের সব বিষয় শিখতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিআইবিএমের মহাপরিচালক আক্তারুজ্জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫০ বছর আমাদের অঙ্গীকার সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। আইএফএসি ও বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে গবেষণা করেছি।  অনেক ক্ষেত্রে বিআইবিএম নিজের সক্ষমতা দেখিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অতীত ও বর্তমানের নিরিখে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ব্যাংক খাত বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিআইবিএমের অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবীব বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালক নিয়োগের বিধিমালা পর্যালোচনা করতে হবে এবং পরিচালনা পর্ষদে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বতন্ত্র পরিচালক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দের অধিকতর ভূমিকা এবং সব পরিচালকের জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থে চলে এবং প্রিন্সিপাল হিসেবে আমানতকারীরাই ব্যাংকের মূল অংশীদার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ধারণা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর্থিক সাক্ষরতা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রচার করা প্রয়োজন। সরকারি খাতে পরিচালিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সত্যিকারের বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো বেসরকারি খাতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিযোগিতা এবং ন্যায্যতার স্বার্থে, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক (সরকারি ও বেসরকারি) অভিন্নভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনি কাঠামো, পর্যবেক্ষণ এবং পরিদর্শনের আওতায় থাকবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ড. আহসান হাবীব বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে অপরাধ এবং দুর্নীতির মাত্রা বেড়েছে অসহনীয় পর্যায়ে। বিশেষত ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপি হওয়ার প্রবণতা বাংলাদেশের আর্থিক খাতের এ মূলস্তম্ভের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এটাই সত্য যে বেশ কিছু বড় ঋণখেলাপি কর্তৃক গ্রাহকের সঞ্চিত টাকা অপব্যবহারের কারণে সমগ্র আর্থিক খাতে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি কখনো এক কাতারে বিবেচিত হতে পারে না। অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের সহায়তা করা সংশ্লিষ্টদের নৈতিক দায়িত্ব। ব্যাংক সুশাসনের পাশাপাশি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় এবং সামাজিক চাপের মধ্যে আনার কোনো বিকল্প নেই। সমস্যা সমাধানে বাস্তবায়নযোগ্য আইনে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হরণ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল অনেক দেশে ব্যাংক খাতের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর্থিক খাতের জটিল এই অপরাধমূলক বিষয়টি মোকাবেলা করার জন্য ব্যাংকগুলো প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে ব্যয় বৃদ্ধি করছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে বৈদেশিক বাণিজ্যসংক্রান্ত ব্যাংক সেবায় দুর্নীতি এবং খেলাপির হার তুলনামূলক বেশি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>