<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নতুন বছরের প্রথম দিন এবার বই পায়নি বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। যারা পেয়েছে, তারাও সব বই পায়নি। তবে যেসব শিক্ষার্থী নতুন বই পেয়েছে, তারা খুশি মনে বাড়ি ফিরেছে। যারা বই পায়নি, তাদের মুখে হাসি নেই। কবে সব বই দেওয়া যাবে, তা জানাতে পারেনি স্কুলগুলো। এতে অনেকটা অনিশ্চয়তা নিয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ শুরু করল প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে জানা গেছে, অনেক স্কুলে শিক্ষার্থীরা প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বই পেয়েছে। আবার কোনো কোনো স্কুলে তা-ও পায়নি। এ ছাড়া কোনো কোনো স্কুলে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির একটি থেকে তিনটি পর্যন্ত বই দেওয়া হয়েছে। খুব কম স্কুলে দশম শ্রেণির দু-একটি করে বই দেওয়া হয়েছে।   </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া সম্ভব না হলেও গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাঠ্য বইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন ও মোড়ক উন্মোচন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> করেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সেখানে তিনি বছরের প্রথম দিন বই দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, পাঠ্য বই ছাপার কাজটা এবার শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মতো হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলছেন ১৫ জানুয়ারি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলছেন ৩০ জানুয়ারির মধ্যে সব বই দেওয়া যাবে। আমি কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো কমিটমেন্ট দেব না। পাঠ্য বই কবে ছাপা শেষ হবে, তা নিয়ে আমি কিছু বলব না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাঠ্য বই ছাপার নানা জটিলতার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, প্রথম সমস্যাটা হলো, আমরা বিদেশে বই ছাপব না। তারপর শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে। তাতে বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। যখন কাজ শুরু করা হয়েছিল, সেটা অনেক দেরিতে হয়েছে। অনেক বই পরিমার্জনা করতে হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপদেষ্টা বলেন, বই দিতে এবার বেশ খানিকটা দেরি হচ্ছে, সে জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে একটা বিষয় আমরা বলতে চাই, বই একটু দেরিতে পেলেও সেটা ভালো বই পাবেন। বছরের মাঝামাঝি সময়ে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে যাবে না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এনসিটিবিতে আগে যারা কাজ করেছে, তাদের অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুদ্রণ শিল্প সমিতির নেতাদের সঙ্গে কিভাবে বোঝাপড়া করতে হয়, এটা তাদের অভিজ্ঞতায় নেই। সেটা করতে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমাকেও এর মধ্যে ঢুকতে হয়েছে। গল্পের একেবারে শেষে ছাড়া যেমন ষড়যন্ত্রকারী কে তা বোঝা যায় না, এখানেও তেমন। এ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে আমরা একচেটিয়া ব্যবসা কমিয়ে আনব।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান প্রমুখ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাঁপাইনবাবগঞ্জ : বছরের প্রথম দিন গতকাল বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যের আংশিক বই বিতরণ করা হয়। যারা বই পেয়েছে তারা  আনন্দিত। আর যারা পায়নি, তাদের মন খারাপ করতে দেখা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, এবার বই উৎসবসংক্রান্ত কোনো চিঠি পাইনি। বই না দিয়ে উৎসবই বা কিভাবে হবে? তবে তিনি দ্রুত শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার আশা প্রকাশ করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বরেন্দ্রাঞ্চলের বাবুডাইং আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান বলেন, বছরের প্রথম দিন থেকে বই হাতে পেলে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সুবিধা হয়। এখন শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ধারাবাহিকতা ছিন্ন হবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর : বই দিতে না পেরে অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে বই পড়াতে বললেন রংপুর আঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশিদ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব প্রতিষ্ঠানে আমাদের আংশিক বই এসেছে। আমাদের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের জানাতে চাই, এনসিটিবিতে ঢুকলে অনলাইন ভার্সনে যেকোনো বই পাওয়া যাবে, এটাকে প্রিন্ট করে নিয়ে বই আকারেও পড়া যাবে। অথবা ওখান থেকে পড়ালেখা শুরু করে দেওয়া যাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুরের একটি স্কুলের শিক্ষার্থীর অভিভাবক রেখা খাতুন বলেন, আমার ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে; কিন্তু সব বই দেওয়া হয়নি। সব বই না পেলে ছেলেমেয়েদের মনে আনন্দ থাকে না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খুলনা : খুলনায় গতকাল সব শিক্ষার্থীর হাতে দেওয়া সম্ভব হয়নি নতুন বই। বই বিতরণ হয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠানে। মাধ্যমিকে শুধু সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির তিনটি করে বই বিতরণ করা হয়েছে। তাও আবার সব উপজেলায় সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকেও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই এসেছে আংশিক। তবে এখনো আসেনি চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কোনো বই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বছরের প্রথম দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা, ইবতেদায়ি ও দাখিল মাদরাসার প্রায় ৪৬ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর হাতে আংশিক বই তুলে দেওয়া হয়েছে। তাও আবার সপ্তম ও দশম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের পাঠ্য বই দেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অনেকে নতুন বই পেলেও চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন বই পায়নি। নতুন বছরের প্রথম দিন মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই নতুন বই হাতে পায়নি। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা মাত্র ৩ শতাংশ নতুন বই পেয়েছে। অন্য শিক্ষার্থীরা হতাশ হলেও শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মকর্তারা বলছেন, আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট বই চট্টগ্রামে আসবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিলেট : সিলেটে বছরের প্রথম দিন নতুন ক্লাসের পাঠ্য বই হাতে পায়নি জেলার প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী। জেলায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে বইয়ের মোট চাহিদা ২১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০টি। সেখানে প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ১১ লাখ ১৬ হাজার ৭২টি। ফলে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই প্রথম দিন বই হাতে পায়নি। এর মধ্যে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির সবাই বই পেলেও চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির একজনও বই হাতে পায়নি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির জন্য যে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, তার একটি বইও আমাদের সরবরাহ করা হয়নি। ফলে এই দুই শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীও বই পায়নি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা)</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>