<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১৮ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম সমস্যা হলো শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনব্যবস্থা না থাকা। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাত্র ১৪ জন শিক্ষার্থীকে আবাসিক সুবিধা দিতে পেরেছে। একসময় এই প্রতিষ্ঠানের একাধিক হল থাকলেও এর সবই বেদখল হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করলেও আইনি জটিলতায় আটকে আছে পাঁচটি আবাসিক হল। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে কেরানীগঞ্জে জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হলেও বিগত সরকারের সময় চরম অনিয়ম-দুর্নীতি সেই কাজকে বেশিদূর এগোতে দেয়নি। এখনো শেষ হয়নি ভূমি অধিগ্রহণ। এমনকি প্রকৌশল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হলেও তা বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা গত নভেম্বরে প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) অপসারণ, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে নামেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিতের দুই মাস পার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বত হলের অবস্থান পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলীর ওয়াইজঘাট ৮ ও ৯ নম্বর জিএল পার্থ লেনে। ২০০১ সালে দখলে নিয়ে নিজ স্ত্রীর নামে মার্কেট তৈরি করেন সাবেক এমপি হাজি সেলিম। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তিব্বত হল দখলের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। তবে নানা আইনি জটিলতায় হল ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গোপীমোহন বসাক লেনের ৫/১, ২, ৩, ৪ ও ৬ নম্বর টিপু সুলতান রোডে শহীদ নজরুল ইসলাম হলের অবস্থান। সেখানে বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষার্থী নিজ তত্ত্বাবধানে থাকছেন। হলের লিজমানি পরিশোধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর চিঠি দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। লিজমানি পরিশোধের পরই সেখানে অস্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আব্দুর রহমান হলের অবস্থান। এই হলও আইনি জটিলতায় আটকে আছে। জেলা প্রশাসনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কোনো লিজমানির কাগজপত্র নেই। ফলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না। মেনন নামের এক ব্যক্তি এই হলের জমিকে ব্যক্তিমালিকানা দাবি করছেন। এ ছাড়া সর্বশেষ জরিপে এই জমি খাসভুক্ত জমির তালিকায় আসেনি বলে জানা গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুটি হল হলো বাণী ভবন ও শহীদ হাবিবুর রহমান হল। গত ২৮ অক্টোবর এই দুটি হলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। এরপর দুটি স্টিল স্ট্রাকচার ভবন নির্মাণ করতে চাইলে ডিসি অফিস থেকে রাজউকের অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু মালিকানার রেকর্ড, খাজনার রসিদসহ নানা কাগজপত্র না থাকায় অনলাইন বা ম্যানুয়ালি আবেদন করা সম্ভব হয়নি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কেরানীগঞ্জ কারাগারের পাশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনা প্রায় সাত একর জমি রয়েছে। সেখানে টিনশেড নির্মাণ করলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা হবে বলে মনে করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সেখানে বর্তমানে বালু ভরাটের কাজ চলমান। খুব বেশি নিচু জায়গা হওয়ায় শিগগিরই সেখানে আবাসন নির্মাণের সুযোগ নেই। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১০ তারিখ আসতে না আসতেই বাড়িওয়ালা টাকা চাইতে থাকে। অতিরিক্ত প্রেসারে পড়তে হয়। এ ছাড়া হল থাকলে একটা লাইব্রেরি থাকত। সেখানে আমরা পড়াশোনার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় পেতাম, যা বর্তমানে আমরা পাচ্ছি না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের ব্যাপারে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প কাজে ব্যাপক দুর্নীতি ও অসামঞ্জস্য থাকায় অর্থছাড় বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এখনো ১১.৪ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়নি। এই জমির মূল্য প্রায় ৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এখন বাকি ১১ কোটি টাকা ছাড়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পের পিডির জন্য কোনো বেতন নির্ধারিত না থাকায় সরাসরি পিডি নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। গত ১২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) চুক্তিভিত্তিক পিডি নিয়োগের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। তাদের পাঠানো ২৫ নভেম্বরের এক চিঠিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জন্য আমরা নভেম্বরেই ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছি। আমিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার সবাই ইউজিসিতে গিয়েছি। আমরা বারবার কাজটি করতে তাগিদ দিয়েছি। আসলে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ইউজিসি হয়ে মন্ত্রণালয় যাবে। মন্ত্রণালয় থেকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হবে। আশা করছি, দ্রুত সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ফলপ্রসূ হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p>