<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে করজাল বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ কারিগরি সহায়তা দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের এক চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৪ থেকে ১৬ মে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ঢাকা সফর করেন। সফরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় ডোনাল্ড লু জানান, বাংলাদেশের করজাল বৃদ্ধিতে দেশটির ট্রেজারি বিভাগ কারিগরি সহায়তা দিতে চায়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রস্তাবিত কারিগরি সহায়তার ধরন সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের কারিগরি সহায়তা অফিস থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ব্রশিয়ার ও একটি প্রবন্ধ উপস্থাপনা বাংলাদেশকে পাঠানো হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কারিগরি সহায়তা উপস্থাপনায় দেশটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়। সেখানে জানানো হয়, রাজস্ব আদায় বাড়াতে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা বাস্তবায়ন, আইনের সংশোধন ও বাস্তবায়ন, কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে ঝুঁকির অবসান, রাজস্ব ব্যবস্থায় প্রশাসনে ন্যায্যতা উৎসাহিত করা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিজেদের ব্যাপক অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে উপস্থাপনায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯০ সাল থেকে আফ্রিকা, এশিয়া, সেন্ট্রাল, ইস্টার্ন ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানের ৭০টি দেশে রাজস্ব উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছে। আঞ্চলিক সহযোগিতায় ট্রেজারি মূল্যায়নের প্রভাব এবং দেশের চাহিদার ভিত্তিতে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৫টি দেশে রাজস্ব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশটি উপদেষ্টার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানায়, তাদের কারিগরি সহযোগী অফিসের উপদেষ্টারা রাজস্ব প্রশাসনে বেশ অভিজ্ঞ। তাঁরা নীতি পরামর্শ ও আইনি খসড়া, ব্যবস্থাপনা কৌশল ও পরামর্শ, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার আলোকে সিস্টেম সাজানো, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপ, গাইডলাইন ও মনিটরিংয়ে অভিজ্ঞ। এ ছাড়া রাজস্ব প্রশাসনের সব ক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞান রয়েছে তাঁদের।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একই সঙ্গে ট্যারিফ ক্লাসিফিকেশন, ভ্যালুয়েশন, রুলস অব অরিজিন, ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট, কাস্টমস ব্রোকার মডার্নাইজেশন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পোস্ট ক্লািয়ারেন্স অডিট, স্পেশালাইজড ইন্ডাস্ট্রি খাত, এক্সাইজ কর, এনফোর্সমেন্ট ও কমপ্লায়েন, ট্রেড ফ্যাসিলেশন, প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স, অনুসন্ধান ও অ্যান্টি করাপশনে বিশ্বে শীর্ষস্থানে আছে দেশটি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এনবিআর থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো মতামত দেওয়া হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে বিনিময় করতে চায়। দুটি দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে সুসম্পর্ক থাকলে এমন অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান হয়। এখানে সামগ্রিক বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্যাক্স এক্সপেন্ডিচার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শিরোনামে এনবিআরের অতিরিক্ত কমিশনার থেকে সহকারী কমিশনার পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের ২০ কর্মকর্তা আইএমএফের জ্ঞানদান কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন। আইএমএফের তিন প্রতিনিধি-ডেভিড বার, ডেভিড ওয়েন্টওর্থ ও অরবিন্দ টানা ১০ দিনের ওই কর্মসূচিতে ক্লাস নিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফের ওই জ্ঞানদান কর্মসূচি ছিল মোটামুটি সাধারণ মানের, বিশেষ কিছু ছিল না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক এনবিআর কর্মকর্তা মনে করেন, এর মাধ্যমে এনবিআরের কর আদায়, কর অবকাশ, ই-ফাইলিংসহ নানান বিষয়ে অনেক তথ্য চলে যেতে পারে। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।</span></span></span></span></span></p>
