<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) এক লাফেই নীতি সুদহার কমাল ০.৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট। দেশটিতে মূল্যস্ফীতি কমে আসায় চার বছরের বেশি সময় পর গত বুধবার নীতি সুদহার কমান ফেডের নীতিনির্ধারকরা। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই কিছুটা স্বস্তি পাবেন ভোক্তারা। সুদহার কমায় আন্তর্জাতিক মুদ্রাগুলোর বিপরীতে দুর্বল হচ্ছে ডলারও। এরই মধ্যে ডলারের সূচক কমে এক বছরে সর্ব নিম্ন হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যুক্তরাষ্ট্রে এত দিন নীতি সুদহার ছিল ৫.২৫ থেকে ৫.৫০ শতাংশ; গত দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এটি ছিল সর্বোচ্চ। এখন তা ৪.৭৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে নেমে এলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতিতে ফেডের এই সিদ্ধান্ত বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বড় মাইলফলক। দুই বছর ধরে ফেড উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই করছিল, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে সেই লড়াইয়ে তাদের বিজয় ঘোষিত হলো বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নীতি সুদ কমানোর পর এক ঘোষণায় ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ার জেরোম পাওয়েল বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">একবারে ০.৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট হারে নীতি সুদ হ্রাস করার মধ্য দিয়ে ফেড নতুন ধারার সূচনা করল বিষয়টি সে রকম কিছু নয়। বিষয়টি হলো, ফেড অর্থনীতি ও বিশেষ করে শ্রমবাজার ভালো অবস্থায় রাখতে চায়।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ফেডের এই ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়েছিল; কিন্তু দিন শেষে তিনটি সূচকই পয়েন্ট হারিয়ে নেতিবাচক ধারায় নেমে গেছে। চলতি বছরের শুরুতেই ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার কমানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বছরের প্রথম প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে গেলে ফেড সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে। শেষমেশ সেপ্টেম্বর মাসে এসে তারা নীতি সুদহার কমাল।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এখন ফেড কর্মকর্তাদের পরিকল্পনা, চলতি বছরের শেষনাগাদ নীতি সুদহার ৪.৪ শতাংশে নামিয়ে আনা। যদিও জুন মাসে তাঁদের ধারণা ছিল, বছর শেষে নীতি সুদহার ৫.১ শতাংশে নেমে আসবে। এরপর ২০২৫ সালের শেষনাগাদ নীতি সুদহার তাঁরা আরো ১ শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়ে ৩.৪ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যুক্তরাষ্ট্রের নীতি সুদের ওপর বিশ্ব অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভর করে। নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণে ট্রেজারি বন্ডের সুদহার বৃদ্ধি পায়। ফলে বিনিয়োগকারীরা আর টালমাটাল সময়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী হন না। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করে সুদ আয় করার দিকে বেশি নজর দেন। বন্ডে বিনিয়োগ বেড়ে গেলে বিশ্বজুড়ে হার্ড কারেন্সি হিসেবে ডলারের সংকট তৈরি হয়। ফলে ডলারের বিনিময়মূল্য বাড়ে; দেশে দেশে স্থানীয় মুদ্রার দরপতন হয়। বিশ্লেষকরা বলেন, নীতি সুদ কমায় এখন দেশে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে। ডলারের বিনিময় মূল্যও কমছে। সূত্র : রয়টার্স, ট্রেডিং ইকোনমিকস, ফিন্যানশিয়াল টাইমস</span></span></span></span></span></p> <p> </p>
