<p>২০০ বিলিয়ন ডলার বা ২০ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ আছে, এমন মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে এখন মাত্র চারজন। এই চতুর্থজনই হলেন মার্ক জাকারবার্গ। মাত্রই তিনি এই ২০০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে যোগ দিলেন।</p> <p>ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার ইনডেক্সের সর্বশেষ হিসাবে, ২০২৪ সালে ফেসবুকের মালিক কম্পানি মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকারবার্গের ব্যক্তিগত সম্পদ বেড়েছে ৭৩.৪ বিলিয়ন বা সাত হাজার ৩৪০ কোটি ডলার। ফলে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০১ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ তিনি এই ক্লাবের অন্য তিনজনের সঙ্গী হলেন।</p> <p>সিএনএন জানিয়েছে, ওই ক্লাবের অন্য তিনজন হলেন টেসলা ও এক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং বিলাসপণ্য ব্র্যান্ড এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বার্নার্ড আরনল্ট। তাঁদের মধ্যে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ২৭২ বিলিয়ন ডলার, বেজোসের ২১১ বিলিয়ন ডলার এবং আরনল্টের ২০৭ বিলিয়ন ডলার। এই তিনজন মার্ক জাকারবার্গের সামনে রয়েছেন। তবে কাছাকাছি রয়েছেন জেফ বেজোস ও বার্নার্ড আরনল্ট।</p> <p>জাকারবার্গের বয়স মাত্র ৪০। তিনি ফেসবুক চালু করেছিলেন ২০০৪ সালে। তাঁর সম্পদের বেশির ভাগই এটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটার সঙ্গে সংযুক্ত। ২০২৪ সালে মেটার শেয়ারের দাম প্রায় ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। গত বুধবার মেটার শেয়ারের দাম রেকর্ড ৫৬৮.৩১ ডলারে পৌঁছায়। গত শুক্রবার অবশ্য শেয়ারের দাম এক ডলারের মতো কমে যায়।</p> <p>জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস পরিচালনা করে মেটা। এর সঙ্গে রয়েছে বার্তা আদান-প্রদান করার আরেক জনপ্রিয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ।</p> <p>বুধবার মেটা কানেক্ট ২০২৪ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় মার্ক জাকারবার্গ বলেন, পুরো বিশ্বে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হবে, তা হলো মেটা এআই। তিনি জানান, এই প্রযুক্তি প্রতি মাসে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অনেক বড় দেশে এই সেবা এখনো চালুই করা হয়নি। চলতি বছর অবশ্য মার্ক জাকারবার্গ একমাত্র প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ী নন, যাঁর সম্পদ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়েনসেন হুয়াং ও ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের সম্পদও ২০২৪ সালে বিপুল পরিমাণে বেড়েছে।</p> <p> </p> <p> </p>