<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়কারী খাত চামড়াশিল্প। এই খাত থেকে সৃষ্ট পরিবেশদূষণে বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীর কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ জানতে চেয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পাশাপাশি ব্যাংক থেকে চামড়াশিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কী পরিমাণ খেলাপি রয়েছে সে বিষয়েও জানতে চেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের দেশের মানুষের বিস্তর ধৈর্য। ট্যানারিশিল্প কেরানীগঞ্জ থেকে পুরান ঢাকা এবং সেখান থেকে সাভারে স্থানান্তরিত করার পর পরিবেশের এত ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও তারা ধৈর্য ধরে আছে। শুধু ব্যাবসায়িক চিন্তা নয়, নিজ দেশের সম্পদ রক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের আয়োজনে (সিআই) আয়োজিত </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জলবায়ু অর্থায়নে ন্যায়বিচার ও সমতা; বাংলাদেশ এবং অন্যান্য এলডিসির জন্য জলবায়ু ঋণের ফাঁদের ঝুঁকি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জলবায়ুর সংকট নিরসনে বিদেশি ফান্ড কিভাবে আসছে সেটা নির্ণয় করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সেটা অনুদান নাকি ঋণ হিসেবে আসছে সেটা আলোচনা করার পরামর্শ দেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুধু ঋণ নিতে থাকলে জলবায়ু সংকট নিরসনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। জলবায়ু অর্থায়নে ন্যায়বিচার এবং সমতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শুধু তহবিল প্রদান যথেষ্ট নয়। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সম্পদ যেন সবচেয়ে দুর্বল সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছায় এবং তাদের জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলার ক্ষমতা তৈরি করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনে অভিযোজন এবং ক্ষতিপূরণের জন্য অনুদানভিত্তিক অর্থায়নের দিকে মৌলিক পরিবর্তনের আহবান জানানো হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২০০৯ সালে দেশের জনপ্রতি কোনো জলবায়ু ঋণ ছিল না। ২০২২ সালে জনপ্রতি মোট জলবায়ু ঋণ দাঁড়িয়েছে ৭৯.৬১ ডলার বা ৯ হাজার ৪৮৫ টাকা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জলবায়ু পরিবর্তনকে ভৌগোলিক সীমারেখায় আবদ্ধ করা সম্ভব নয়। এই পরিবর্তনের প্রভাব দেশের ময়মনসিংহ, গাইবান্ধার কৃষকের ওপর যেমন, ভারতের আসাম-ত্রিপুরা-রাজস্থানের কৃষকদেরও একইভাবে প্রভাবিত করবে। তাই এই পরিবর্তন মোকাবেলায় ক্ষুদ্র স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে হবে। বৃহত্তর স্বার্থে প্রাকৃতিক অধিকার সুরক্ষায় টেকসই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। জলবায়ু অর্থায়নে আমাদের একটা মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এলডিসিগুলোর জন্য বার্ষিক ৪৮০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন, যার মধ্যে ২০২৫ সাল থেকে অভিযোজন অর্থায়ন ১০০ শতাংশ অনুদানভিত্তিক হতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>