<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো বেশি উৎপাদনশীল করে তুলতে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পে শেষ সময়ে এসে আরো ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে। তিন বছরের প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ছয় বছরে। এর আগেও প্রথম সংশোধনীর সময় ২১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে দুই বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এবার আরো এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পে বেশ কিছু নতুন সংযোজন করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে কমিশনে। সে অনুযায়ী রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়নে ব্যয় বাড়ছে ৩৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে মেয়াদ বাড়ছে এক বছর। প্রকল্পটির ছয় বছরে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ১২৯ কোটি ৫১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, বাস্তব অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংশোধনী প্রস্তাবটি নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) জাহাঙ্গীর আলম।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সূত্র জানায়, প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ১৪৭ কোটি টাকা। প্রথম সংশোধনীতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬৮ কোটি ২০ লাখ টাকায়। দ্বিতীয় সংশোধনীতে আরো ৩৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ২০৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রকল্পের মূল মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় তা সাত বছরে গড়াচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রকল্পটি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম দফায় এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় এক বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের জন্য প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পরিকল্পনা কমিশন বলছে, প্রস্তাবিত সংশোধিত প্রস্তাবে গার্ডেন টিলার ২০০টি, ব্যাটারিচালিত হ্যান্ড স্প্রেয়ার এক হাজার ৩৪০টি, কর্ন সেলার ২৬৮টি ও পাওয়ার স্পেয়ার ৩৩৫টি কেনার কথা বলা হয়েছে। এসব যন্ত্রপাতি বাবদ অতিরিক্ত প্রায় চার কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রস্তাবিত আরডিপিপিতে নতুনভাবে ৫০টি পলিনেট হাউস আধুনিকায়ন, ২১টি আধুনিক পলিনেট হাউস নির্মাণ, দুটি ভার্টিক্যাল কৃষি স্ট্রাকচার নির্মাণ, ১০টি ফল বাগানে সৌরচালিত প্রিসিশন সেচ প্রযুক্তি নির্মাণ, ৭৫টি সোলার সেচ প্রযুক্তি নির্মাণ, ২৫টি সোলার সেচ প্রযুক্তি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবিত এসব নির্মাণ ও স্থাপনা বাবদ মোট ১৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া পলিনেট হাউস ও আধুনিক পলিনেট হাউস নির্মাণ অঙ্গ দুটি পৃথকভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রকল্পের আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি খাতে নতুনভাবে ৫০টি সয়েল এনপিকে মেজারিং মিটারিং কেনা এবং পাঁচটি ফল ও সবজি চিপস তৈরির মেশিন কেনা বাবদ প্রায় এক কোটি ১৩ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব যন্ত্রপাতি কেনার যৌক্তিকতা নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৯০০টি পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ ঘর নির্মাণের সংস্থান রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে সম্প্রতি ডিএই প্রস্তাবিত আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফরিদপুর অঞ্চলে কৃষি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৬০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রস্তাবিত আরডিপিপিতে প্রদর্শনী খাতের ৩০০টি বারি উদ্ভাবিত আঙ্গ ও মিশ্র ফসল চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ৩০ লাখ টাকা, ৩০০টি নিরাপদ উচ্চমূল্য ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ২০০টি মাচা পদ্ধতিতে কালো তরমুজ চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ২৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ১০০টি ডোবা ও পুকুরপার বা নদীর চরে ফসল চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ১৫ লাখ টাকা, ২০০টি ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ৫০ লাখ টাকা, ৩০০টি বারি উদ্ভাবিত মালচিং প্রয়োগের মাধ্যমে ফসল চাষ প্রযুক্তি সম্প্রারণ খাতে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া ১৩৪টি ব্রি উদ্ভাবিত পিভিসি পাইপ ও চেকভাল্ব দ্বারা পানি সেচ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা, ১০০টি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ২০ লাখ টাকা, ১০০টি গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ২০ লাখ টাকা ও আটটি ব্লক আকারে উফশী ধান চাষ খাতে ৬০ লাখ টাকাসহ এক হাজার ৯৪২টি প্রদর্শনী খাতে মোট তিন কোটি ৭৭ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রস্তাবিত আরডিপিপিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী ও বগুড়া আঞ্চলিক অফিস ভবন বাবদ অনুমোদিত ব্যয় চার কোটি ৭২ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া মূল অনুমোদিত ডিপিপিতে ৬৮টি মোটরসাইকেল কেনার সংস্থান রাখা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>