<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেখতে কিছুটা সাদাটে রঙের। আকারেও বড়। এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল নেদারল্যান্ডস থেকে। এ ছাড়া বড় আকৃতির লাল রঙের পেঁয়াজও আসে মিসর থেকে। এ দুই দেশের পেঁয়াজ আমদানির মূল কারণ ছিল ভারতীয় পণ্যটির দামে লাগাম টানা। কিন্তু এসব পেঁয়াজ চাহিদার তুলনায় পাইকারি বাজারে সরবরাহ অনেক কম। ফলে দেশের বৃহৎ ভোগ্য পণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পণ্যটির দাম প্রতি কেজি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা জানিয়েছেন, শীত মৌসুমে বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন বেড়ে যায়। এসব অনুষ্ঠানে অন্যান্য মসলার সঙ্গে পেঁয়াজের ব্যবহারও বাড়ে। এ ছাড়া এখন কৃষকের কাছে মজুদ থাকা পণ্যটি কমছে। আর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে গেলে উচ্চ শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এসব কারণে পেঁয়াজের সংকট হচ্ছে আড়তগুলোতে। মূলত চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কমতে থাকায় দাম বাড়ছে। এ সময়ে ভারতের বিকল্প পাঁচটি দেশ থেকে পণ্যটি আমদানি বাড়াতে হবে। তবেই দাম কমবে।</span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত ২৫ অক্টোবর দেশের বৃহত্তর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ছিল ৯০-৯৫ টাকা। সেটি পাঁচ দিন পর গতকাল বুধবার বিক্রি হয়েছে ১০০-১০৫ টাকা। বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি এখন ৭৮ টাকা; অথচ এটির দাম ছিল ৭২ টাকা। নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ছিল ৬৫-৭০ টাকা। লেদারল্যান্ডস ও পাকিস্তানের পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজ সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে। সেখানে পণ্যটির দাম এখন ১৪০ টাকার নিচে নেই। খুচরা বাজারে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য চাওয়া হচ্ছে মানভেদে ১১০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ দিকে বাড়তি দামের কারণ ও আমদানির তথ্য খোঁজ নিতে গিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যে দেখা যায়, দেশের সমুদ্র ও স্থল বন্দর দিয়ে চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত চার মাসে দেশে ভারত, পাকিস্তান, মিসর, নেদারল্যান্ডস ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে দুই লাখ ৩৩ হাজার টন। এর মধ্যে অক্টোবর মাসেই এসেছে ৭৭ হাজার টন। অক্টোবর মাসে প্রায় ৯৪ শতাংশ এসেছে ভারত থেকে। বাকি ৪ শতাংশ আসে পাকিস্তান, চীন, মিসর ও নেদারল্যান্ডস থেকে। একই সময়ে ২০২৩ সালে জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল চার লাখ ৮০ হাজার টন। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কম আমদানি হয়েছে ৫২ শতাংশ। কম আমদানির প্রভাব এখন পাইকারি বাজারে পড়তে শুরু করেছে। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদার রফিক উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বছরের শুরুতে দেশে ডলার সংকটের কারণে গত বছরের মতো ঋণপত্র খুলতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া কয়েক দিন ধরে ডলার নিয়ে আরো জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখন শতভাগ মার্জিনে ঋণপত্র খুলতে হচ্ছে। পেঁয়াজ আমদানিতে মার্জিন কমানো হলে আমদানি বাড়বে। দেশে পেঁয়াজের সংকটও দূর হবে। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টানা কয়েক মাস ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় বিকল্প কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে লাগাম টানার চেষ্টা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তখন লেদারল্যান্ডস, মিসর, পাকিস্তান ও চীন থেকে সমুদ্রবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ দেশে আসে। এতে ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর চাপ কমে ছিল। দামও কম ছিল। খাতুনগঞ্জের আরেক আড়তদার রনি বিশ্বাস কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নেদারল্যান্ডস ও মিসরের বড় আকারের পেঁয়াজের মূল ক্রেতা হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। অনেকেই সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য কিনছেন, যা চাহিদার প্রায় অর্ধেক। ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় দাম কম থাকায় বিক্রিও ভালো ছিল। এখন দেশে এসব পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই পণ্যটির দাম বাড়ছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশের মুড়িকাটা পেঁয়াজ এলে দাম কমতে পারে। আমদানি কম হলে দাম বাড়বে। কারণ এখন কৃষকের ঘরে দেশি পণ্যটির মজুদ কমতে শুরু করেছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ সময় পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু আমদানি কম হয়। বছরের এ সময়ে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা খুবই জরুরি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আসে পাশের দেশ ভারত থেকে। ভারতে পেঁয়াজ উৎপাদন অঞ্চলে বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়েছে। সেখানে দাম কিছুটা বাড়ায় দেশেও বেড়েছে। এখন দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হলে বিকল্প উৎস থেকে আমদানি বাড়াতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>