<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রেকর্ড মূল্যস্ফীতি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতি যখন ইতিবাচক পথে হাঁটছে, স্থিতিশীলতায় ফিরছে শেয়ারবাজার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার মার্কিন নাগরিকরা সিদ্ধান্ত নেবেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট কে হতে যাচ্ছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবারের নির্বাচনে মূল দুই প্রার্থী হলেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বজুড়ে বহুল আলোচিত ট্রাম্প দেশটির ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আর কমলা হ্যারিস বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট। এই দুই প্রার্থীর রাজনৈতিক অবস্থানে যেমন পার্থক্য আছে তেমনি অর্থনৈতিক অঙ্গীকারের মধ্যেও পার্থক্য আছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চান, নাকি পরিবর্তন চান তার ওপর নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হবেন কি না। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতি একটি টালমাটাল পরিস্থিতি কাটিয়ে যে স্থিতিশীলতার দিকে ফিরছে তাতে কমলা হ্যারিসকে নিয়ে সম্ভাবনা দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। এর প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে পড়লে কমলা হ্যারিসই বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের আনপ্রেডিক্টেবল (ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না) চরিত্র অর্থনীতি ও বিনিয়োগ দুটোর জন্যই উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক নীতি কেমন হবে তা আঁঁচ করা না গেলে বড় বিনিয়োগ আসে না। তার ওপর চীনের সব পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। ফলে নতুন করে আরেকটি বাণিজ্যযুদ্ধ হলে সেটি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ভালো হবে না। এমনকি মার্কিন কম্পানিগুলোর বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে এটিও বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগের কারণ। রেথবোন গ্লোবাল অপরচুনিটিজ ফান্ডের ব্যবস্থাপক জেমন থমসন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রাম্পের বিজয় তেলের বাজারের জন্য অশনিসংকেত হবে। কারণ আমদানি পণ্যে দ্রুতই তিনি শুল্ক আরোপ করবেন। তাঁর </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেড ইন ইউএসএ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নীতির কারণে খুচরা কম্পানিগুলোও মুনাফা নিয়ে বিপাকে পড়বে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে বিভিন্ন জনমত জরিপের ফলাফল এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমেরিকাই প্রথম</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, এমন নীতি গ্রহণের আগাম ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এর অংশ হিসেবে গত কয়েক মাসে নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী দেশগুলোর বিরুদ্ধে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাণিজ্যযুদ্ধ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শুরুর হুমকি দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ট্রাম্পের হুমকির মূল নিশানা হলেও তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। ট্রাম্পের জামানায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হলে এর প্রতিক্রিয়া বিশ্বের অন্যান্য দেশেও অনুভূত হবে বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চীনের অর্থনীতি এমনিতেই গতি হারিয়ে ফেলেছে। সেই সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধ চাঙ্গা হলে দেশটির অর্থনীতিতে আরো প্রভাব পড়বে। এতে চীনের সঙ্গে সম্পর্কিত এশিয়ার দেশগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল। প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের গতি ভালো। ফলে আশা করা যায়, মার্কিন নাগরিকরা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতাই চাইবেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষণায় দেখা যায়, গত শতকের বড় সময়জুড়ে মার্কিন অর্থনীতি ও শেয়ারবাজার ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্টদের শাসনামলে ভালো করেছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুবোস প্যাস্টর ও পিয়েত্রো ভেরনসি ১৯২৭ থেকে ২০১৫ সালের তথ্য নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্টদের শাসনামলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪.৮৬ শতাংশ। অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্টদের আমলে যুক্তরাষ্ট্রে গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১.৭ শতাংশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াইয়ের পর বর্তমানেও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকট কাটিয়ে ওঠার পথে। ফলে সরকার বদল করে এই নিশ্চয়তা হারাতে চাইবেন না মার্কিন ভোটাররা। সূত্র : টাইমস, গার্ডিয়ান, রয়টার্স</span></span></span></span></p>