<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী থাকবে নিত্যপণ্যের দাম। ২০২৫ সালে পণ্যের দাম কমে পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন হবে। এর প্রধান কারণ জ্বালানি তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ। তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের পরও দামে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছর জ্বালানি তেলের গড় চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি থাকবে। তেলের বাজারে মজুদ বাড়ার অন্যতম কারণ দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ চীনের চাহিদা কমে যাওয়া। দেশটি জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। কিন্তু দেশটিতে শিল্পোৎপাদন কমে যাওয়া, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও গ্যাসচালিত ট্রাক বিক্রি বৃদ্ধির ফলে তেলের চাহিদা কমেছে। অন্যদিকে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকভুক্ত নয় এমন অনেক দেশ তেল উৎপাদন বাড়িয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, ওপেক প্লাস দেশগুলোর তেল উৎপাদন সক্ষমতা দিনে ৭০ লাখ ব্যারেল বেশি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বে নিত্যপণ্যের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমবে। টানা তিন  বছরই দাম থাকবে নিম্নমুখী। এ বছর বৈশ্বিক দাম কমবে ৯ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে আরো ৪ শতাংশ কমবে। যদিও এ দাম ২০১৫-১৯ সময়ের চেয়ে গড়ে ২৫ শতাংশ বেশি থাকবে। ২০২৫ সালে জ্বালানির দাম কমবে ৬ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে আরো ২ শতাংশ দাম কমবে। খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম নিম্নমুখী থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অধিক সহজ হবে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে জ্বালানি তেল সরবরাহ ব্যাহত হবে। এতে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বাড়বে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনডারমিট গিল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকলে এবং সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝেও বাজার স্থিতিশীল থাকবে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্যপণ্যের দাম এখনো উন্নত দেশগুলোর চেয়ে দ্বিগুণ। ফলে উচ্চমূল্য, যুদ্ধ, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং অন্যান্য বাধার কারণে ২০২৪ সালে ৭২৫ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত এক বছরে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের কারণে তেলের বাজারে কিছুটা অস্থিরতা তৈরি করে। বিশেষত উদ্বেগের কারণ ছিল যুদ্ধ যদি বেড়ে যায়, তবে রপ্তানিকারক দেশগুলোর তেল ও গ্যাসক্ষেত্র আক্রান্ত হতে পারে। যদি যুদ্ধ সেভাবে না বাড়ে, তবে ২০২৫ সালে ব্রেন্ট অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় দাম থাকবে প্রতি ব্যারেল ৭৩ ডলার। যা হবে চার বছরে সর্বনিম্ন। এ বছর গড় দাম ছিল ৮০ ডলার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বব্যাংক গ্রুপের উপপ্রধান অর্থনীতিবিদ ও প্রসপেক্ট গ্রুপের পরিচালক আয়হান কোসে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভালো খবর হচ্ছে তেলের বাজারে কিছুটা অস্থিরতা তৈরি হলেও আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর নীতিনির্ধারকরা কিছু বিরল সুযোগ পাবেন। এতে তাঁরা মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আনার জন্য সহায়ক মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, নীতিনির্ধারকরা ব্যয়বহুল জীবাশ্ম জ্বালানির ভর্তুকি প্রদান থেকেও ফিরে আসতে পারবেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ খোঁজায় এ বছর সোনার দাম বেড়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ হয়েছে। বর্তমানে ২০২৩ সালের চেয়ে গড়ে ২১ শতাংশ বেশি রয়েছে সোনার দাম। সাধারণত ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় মানুষ সোনায় বিনিয়োগ করে বেশি। ফলে আশা করা হচ্ছে, সোনায় সামনের দিনগুলোতে বিনিয়োগ আরো বাড়বে, সেই সঙ্গে বাড়বে দামও। আগামী দুই বছর সোনার দাম গড়ে ৮০ শতাংশ বেশি থাকবে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল এই পাঁচ বছরের চেয়ে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চালের বাজার নিয়ে বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, সরবরাহ বাড়ায় ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্ববাজারে চালের দাম কমেছে ১৬.০৪ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়ায় অনেক দেশে চালের উৎপাদন বেড়েছে। বিশেষত উৎপাদন বাড়ায় চাল রপ্তানিতে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করেছে সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ ভারত। সে কারণেই নিম্নমুখী খাদ্যপণ্যের এ বাজার।</span></span></span></span></p>