<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মিসরের অর্থনীতি বেশ কয়েক বছর ধরেই ধুঁকছে। অর্থনীতিকে সচল রাখার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ দেশটিকে ঋণ দিয়েছে। এর আওতায় সংস্থাটি কিছু অর্থনৈতিক সংস্কার আনলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংকট শুরুর মূলে রয়েছে আইএমএফের আট কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি। এই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব শর্তজুড়ে দিয়েছে আইএমএফ সেগুলোই মূলত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে বিলাস পণ্যে পরিণত করেছে। মিসরের সরকারকে উদার মুদ্রা বিনিময় বাজার প্রবর্তন এবং জনগণকে কম হারে ভর্তুকি দেওয়ার শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এতে চলতি বছর দেশটিতে জ্বালানির দাম তিন দফা বেড়েছে। গত মাসে মিসরের সরকার জ্বালানির দাম একেবারে ১৭.৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। দেশটির বেসরকারি খাতের চাকরিজীবী নরহাম খালেদ বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চকোলেট ও পারফিউম কেনা বাদ দিতে হয়েছে। বেতনের বেশির ভাগই খাবার কিনতে ও যাতায়াতের কাজে ব্যয় হয়।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> অনেকের ক্ষেত্রে কাটছাঁটের সীমা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে এসে ঠেকেছে। যেমন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গৃহকর্ত্রী জয়নব জেমাল মিষ্টি ও দুধ কেনা বাদ দিয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাধারণ জনগণের জীবনধারায় এসব পরিবর্তন এক দিন আসেনি। ধীরে ধীরে দুর্বল হয়েছে তাদের অর্থনীতি। ২০১৫ সাল থেকে দেশটির বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে চার গুণ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৬০ কোটি ডলার। ঋণের অর্থে বড় বড় কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলছে। কায়রোর পূর্বাঞ্চলে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন রাজধানী। শুধু  আইএমএফের সংস্কার নয়, গাজা যুদ্ধও মিসরের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। দেশটির বৈদেশিক আয়ের মূল উৎস সুয়েজ খাল। লোহিত সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত এই খালে চলাচলকারী জাহাজে নিয়মিতভাবেই হামলা করছে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ফলে চলতি বছর সুয়েজ খাল থেকে মিসরের বৈদেশিক আয় কমেছে ৭০ শতাংশেরও বেশি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ায় এবং গাজা যুদ্ধকে ঘিরে আর্থিক ক্ষতি হওয়ায় দেশটির জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল জানিয়েছেন, ফাত্তাহ এল-সিসি ঋণ নেওয়ার শর্তগুলো জনগণের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠলে আইএমএফের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালচনা করা হবে। যদিও অর্থনীতিবিদদের ভাষ্য, আইএমএফের সংস্কার এরই মধ্যে জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। সূত্র : আরব নিউজ</span></span></span></span></span></p> <p> </p>