<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এত দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ পেঁয়াজ ও আলু বাংলাদেশেই রপ্তানি করত ভারত। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাত লাখ ২৪ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করে ভারত, যার মূল্য ছিল সাড়ে ১৪ কোটি ডলার। এর আগের অর্থবছরে তাদের রপ্তানিকৃত পেঁয়াজের পরিমাণ ছিল ছয় লাখ ৭১ হাজার মেট্রিক টন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবার পেঁয়াজ ও আলু কেনার জন্য ভারতের বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। এর আগে পাকিস্তান থেকে চিনি আমদানি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আলু ও পেঁয়াজও আনা হতে পারে। সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে এবং ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে নানা প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আলু আমদানির জন্য পুরোপুরিভাবে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হতো। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের পাশাপাশি মায়ানমারও ছিল অন্যতম প্রধান উৎস। পাকিস্তান, চীন ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আনা হতো স্বল্প পরিমাণে। ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন বিকল্প উৎস খুঁজছে বাংলাদেশ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতের বদলে জার্মানি, মিসর, চীন ও স্পেন থেকে আলু আমদানির পরিকল্পনা করছে সরকার। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে বিকল্প দেশ হিসেবে চীন, তুরস্ক ও পাকিস্তানের কথা ভাবছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলু আমদানির সম্ভাব্য খরচ : জার্মানি থেকে প্রতি টন আলু আনতে খরচ হবে ২৫০ থেকে ৫০০ মার্কিন ডলার। স্পেন থেকে আলু আনতে প্রতি টনে খরচ হবে ৩০০ থেকে ৪০০ মার্কিন ডলার। চীন থেকে আলু আমদানিতে প্রতি টনের জন্য খরচ হবে ৫৫০ থেকে ৭০০ মার্কিন ডলার। মিসর থেকে আলু আনতে প্রতি টনে খরচ পড়বে ৭৫০ থেকে ৮০০ মার্কিন ডলার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেঁয়াজ আমদানির সম্ভাব্য খরচ : চীন থেকে প্রতি টন পেঁয়াজ আনতে খরচ হবে ৪৩০ থেকে ৬৫০ মার্কিন ডলার। পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আনতে প্রতি টনে খরচ পড়বে ৫০০ থেকে ৬৫০ মার্কিন ডলার। তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে প্রতি টনের জন্য খরচ হবে ৬০০ থেকে ৭০০ মার্কিন ডলার।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যতম কারণ বাড়তি দাম : বাংলাদেশ যে বিকল্প উৎস খুঁজছে তার কারণ হিসেবে পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেড়ে যাওয়া এবং ভারত সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করছেন বিটিটিসির কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, ভারতের বাণিজ্যনীতি, রপ্তানিকে নিরুৎসাহ করে এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ ও মূল্যবৃদ্ধিই প্রধান কারণ। সূত্র : ইন্ডিয়া ডটকম</span></span></span></span></p>