<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি বাড়াতে, সময় কমিয়ে আনতে এবং বাণিজ্য সহজীকরণসহ করদাতা-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সম্প্রতি বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালানের খালাস ত্বরান্বিতকরণ, রাজস্ব সুরক্ষার পরিবেশ তৈরি ও শুল্ককর ফাঁকি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বন্দর দিয়ে ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের পণ্যের চালান কিংবা ২০ হাজার পিসের বেশি তৈরি পোশাক (যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, আন্ডার গার্মেন্টস ইত্যাদি) পণ্যের চালান কায়িক পরীক্ষা করতে হবে। ঘোষণা দেওয়া পণ্যের সঙ্গে চালানের মিল আছে কি না, তা খতিয়ে দেখাই কায়িক পরীক্ষা। অর্থাৎ পণ্যের চালান খুলে দেখা হবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সোমবার বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান ১২টি শর্তসংবলিত এক আদেশে স্বাক্ষর করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ আদেশের ফলে নতুন করে আমদানি-রপ্তানিকারকদের ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে করেন অনেক ব্যবসায়ী। একই সঙ্গে অর্থ আদায়ে নতুন নতুন খাতও সৃষ্টি হবে। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮০ শতাংশ পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি ভারতে পণ্য রপ্তানিও হয়। তবে ভারত হয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানি করতেও অনেকে এ বন্দর ব্যবহার করে থাকে। বেনাপোল কাস্টমসের ইনভেস্টিগেশন রিসার্চ অ্যান্ড মানেজমেন্টকে (আইআরএম) বেশির ভাগ দায়িত্ব দেওয়ায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি সঞ্চার তো দূরে থাক, হয়রানির মাত্রা আরো বাড়বে বলে মনে করছে ব্যবসায়ী মহল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একই আদেশে ১২ ধরনের আমদানি পণ্যকে সংবেদনশীল ও শুল্ক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলেছে। অর্থাৎ এসব পণ্য আমদানিতে শুল্ককর ফাঁকি দেওয়ার ঝুঁকি বেশি। এই পণ্যগুলো হলো অ্যাসর্টেড গুডস, সব ধরনের কাপড়, সকল প্রকার নতুন ও পুরনো মটর পার্টস (টু হুইলার, থ্রি হুইলার, ফোর হুইলার ইত্যাদি) বাইসাইকেল যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য, প্রসাধনসামগ্রী, ইমিটেশন জুয়েলারি, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রেয়াতি সুবিধায় আমদানীকৃত যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, শিল্প খাতের যন্ত্রাংশ, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রোপচারের সামগ্রী, একই চালানে পাঁচমিশালি পণ্য। এসব পণ্যের চালানও কায়িক পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পর্যালোচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, এইচএস কোডসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পণ্যের চালানের কায়িক যাচাই-বাছাই করা, গোপন সংবাদ সংগ্রহ, বন্দরের ভেতর ও বাইরে ঘোষণা-বহির্ভূত পণ্য চালান চিহ্নিতকরণ ও ফাঁকি উদঘাটন, রাজস্ব আদায় ও খালাস প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক নজরদারি এবং চোরাচালান প্রতিরোধে আইননানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য আইআরএম কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান।</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>