<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় গ্রিডে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সেবা না পাওয়ার কারণেই শিল্পের উদ্যোক্তারা গ্যাসভিত্তিক ক্যাপটিভ পাওয়ার (শিল্পে নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ) ব্যবহার করছে। তাই গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হলে শিল্পের উদ্যোক্তাদের ক্যাপটিভ পাওয়ার চালানো কঠিন হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে কোনোভাবেই ক্যাপটিভ পাওয়ার নিরুৎসাহ করা উচিত হবে না বলে জানিয়েছেন বক্তারা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বক্তারা বলছেন, বর্তমানে দেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বেশি, কিন্তু জ্বালানিসংকটের কারণে অনেক সময় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় না। একই সঙ্গে জাতীয় গ্রিডের দুর্বলতার কারণেই নানা সময় বিদ্যুৎবিভ্রাটের মতো ঘটনা ঘটছে। তাই গ্রিডে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে ক্যাপটিভ বন্ধের কোনো সুযোগ নেই।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বুয়েটের কাউন্সিল বিল্ডিংয়ে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্যাপটিভ পাওয়ার জেনারেশন ফর ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব এনার্জি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের (আইইএসডি) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আলী আহাম্মেদ সৌকত চৌধুরী। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমান উদ্দিন। এ সময় শিল্পের উদ্যোক্তারাও উপস্থিত ছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে গত ১৬ বছর গ্যাস উত্তোলনে মনোযোগ দেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে জোর দেওয়া হয়েছে, যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৮ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে জ্বালানির প্রয়োজন হবে সেটির উদ্যোগ সেভাবে নেওয়া হয়নি। যার কারণে উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানি করেও গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। দেশে জ্বালানিসংকট চলছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা প্রাইমারি জ্বালানিতে বিনিয়োগ না করে সেকেন্ডারি জ্বালানিতে বিনিয়োগে উৎসাহী বা আগ্রহী ছিলাম। এর ফলে একটার পর একটা পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে এসেছি। তাদের তিন বছরের জন্য নিয়ে আসা হলেও এখনো ক্যাপাসিটি চার্জসহ ইত্যাদি দিয়েই যাচ্ছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিইআরসির চেয়ারম্যান আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্র কখনো সক্ষমতার পুরোপুরি ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু ঠিকই সেখানে প্রচুর জ্বালানি ব্যবহার হয়। আমরা নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ দিতে পারলে ক্যাপটিভ কেন্দ্র শুরুই হতো না। ক্যাপটিভ নির্ভরশীলতা কমাতে চাইলে অবশ্যই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলায় প্রচুর গ্যাস রয়েছে, পাইপলাইনের অভাবে সেই গ্যাস গ্রিডে দেওয়া যাচ্ছে না। আরএমজি সেক্টরে যাঁরা আছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে তাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যেতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্যাপটিভ খাতের বিদ্যুৎ দিয়ে প্রস্তুতকৃত পণ্য রপ্তানি করা হয়। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কি ইউরোপ-আমেরিকার ভোক্তাদের জন্য এ খাতে ভর্তুকি দিচ্ছি?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>