<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলতি অর্থবছরের শুরুতে জুলাই মাসের প্রথম ভাগে জামালপুর, আগস্টের শেষে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং সেপ্টেম্বরের শেষে বন্যায় প্লাবিত হয় দেশের উত্তরাঞ্চল। ফলে কৃষকরা পুরোপুরি ফসল ফলাতে পারেননি। ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন ও বিপণন। এই বন্যার কারণে কমে গেছে কৃষিঋণ বিতরণের পরিমাণও। তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ১৪.৩৯ শতাংশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ২০২৪ সালের শেষার্ধে ব্যাংকসহ পুরো ব্যাবসায়িক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে পুরো ব্যাংক খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধিও কমে গেছে। তা ছাড়া পর পর তিনটি বন্যার ফলে কৃষিঋণ বিতরণ কমে গেছে। বেড়েছে বকেয়ার পরিমাণও। আগামীতে এই ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে আশা করা যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের কৃষি খাতে ৩৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথম পাঁচ (জুলাই-নভেম্বর) মাসে ১৩ হাজার ৮১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো, যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৩৪ শতাংশ। কিন্তু গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ১৪.৩৯ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি বেসরকারি ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের প্রধান বলেন, জুলাইয়ের পর সার্বিক ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে এসেছিল। তখন মানুষ বের হতে পারেনি। আবার ১০-১২টি ব্যাংক কিছুটা সমস্যায় পড়েছিল। তারাও তখন ঋণ দিতে পারেনি। তাই সার্বিক কৃষিঋণ বিতরণে এটা প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু কৃষিঋণের টার্গেট দেওয়া থাকায় এটা আমাদের দিতেই হবে। আশা করছি আগামীতে ঋণ বিতরণ বাড়বে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, কৃষিঋণ বিতরণের স্থিতি ৫৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আদায় হয়েছে ১৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা। বকেয়া রয়েছে ২৯ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বকেয়ার (খেলাপি নয়) পরিমাণ ১১ হাজার ৬৬৭ কোটি। তথ্যমতে, মোট ঋণের মধ্যে পাঁচ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে পড়েছে, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ১০ শতাংশ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সামপ্রতিক দুটি বন্যায় কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার নিত্যপণ্যের বাজারেও রয়েছে অস্থিরতা। এ অবস্থায় কৃষিঋণ বিতরণ কমে আসায় আসন্ন রবি ও বোরো মৌসুমে উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।</span></span></span></span></p>