(আয়াত : ১৭)
৭. অশ্লীলতার প্রসার করা গুরুতর অপরাধ এবং আল্লাহ অশ্লীলতার শাস্তি দুনিয়ায়ই দেন। (আয়াত : ১৯)
৮. অসহায় আত্মীয়-স্বজন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। (আয়াত : ২২)
৯. মানুষকে ক্ষমা করলে আল্লাহর ক্ষমা পাওয়া যায়।
(আয়াত : ২২)
১০. পবিত্র জীবনযাপনকারীর জন্য রয়েছে সম্মানজনক জীবিকা। (আয়াত : ২৬)
১১. অনুমতি ছাড়া কারো ঘরে প্রবেশ কোরো না।
(আয়াত : ২৭)
১২. দৃষ্টি অবনত রাখো। কেননা পবিত্র জীবন যাপনে সহায়ক। (আয়াত : ৩০)
১৩. পরপুরুষ থেকে নিজের সৌন্দর্য আড়াল করবে নারীরা। (আয়াত : ৩১)
১৪. বিয়ে জীবনে সচ্ছলতা আনে। তাই সাবলম্বী হওয়ার আশায় বিয়ে করতে বিলম্ব করা উচিত নয়। (আয়াত : ৩২)
১৫. দ্বিনি কাজ দ্বারা মসজিদ সজীব রাখো। (আয়াত : ৩৬)
১৬. পার্থিব জীবনের ব্যস্ততা মুমিনকে আল্লাহর স্মরণবিমুখ না করে। (আয়াত : ৩৭)
১৭. দ্বিন পালনে স্বার্থের বিবেচনা অতি নিন্দনীয়।
(আয়াত : ৪৮-৪৯)
১৮. শরিয়তের একটি মূলনীতি হলো, দায়িত্ব যার, দায়ও তার। (আয়াত : ৫৪)
১৯. তিন সময় ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেবে ঘরের মানুষও। ফজরের আগে, দুপুরে বিশ্রামের সময় এবং এশার পর। (আয়াত : ৫৮)
২০. ইসলামী সমাজের একটি সর্বজনীন শিষ্টাচার হলো ঘরে প্রবেশের আগে সালাম দেওয়া। (আয়াত : ৬১)
২১. সামষ্টিক কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখো না।
(আয়াত : ৬২)
২২. রাসুলের আদেশ অমান্য কোরো না। (আয়াত : ৬৩)
সুরা ফোরকান
আলোচ্য সুরার শুরুতেও আসমান ও জমিনে আল্লাহর রাজত্ব ও আধিপত্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহর একত্ববাদের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। কোরআন নিয়ে মক্কার কাফিরদের মিথ্যা অপবাদ খণ্ডন করা হয়েছে। আগের কয়েকজন নবীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সাগর-নদী, আসমান-জমিন সৃষ্টি, বাতাস ও বৃষ্টির সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে মহান আল্লাহর অস্তিত্বর প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। সুরাটি শেষ হয়েছে রহমানের বান্দাদের বিশেষ গুণাবলি বর্ণনা মাধ্যমে।
আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত
১. যারা পরকালে বিশ্বাস করে না তারাই দ্বিনের ব্যাপারে ত্রুটি খোঁজে। (আয়াত : ১১)
২. অসত্ বন্ধুর জন্য কিয়ামতে বিপদে পড়তে হবে।
(আয়াত : ২৮-২৯)
৩. কোরআনকে অকার্যকর ও পরিত্যাজ্য মনে করা গুরুতর পাপ এবং অবিশ্বাসীদের বৈশিষ্ট্য। (আয়াত : ৩০)
৪. ধীরস্থিরভাবে কোরআন তিলাওয়াত করো। (আয়াত : ৩২)
৫. আল্লাহ তাঁর দ্বিনের ভেতর সব সমস্যার সমাধান দিয়েছেন। (আয়াত : ৩৩)
৬. আল্লাহর শাস্তি থেকে শিক্ষা নাও। (আয়াত : ৩৭)
৭. প্রবৃত্তিকে উপাস্য হিসেবে গ্রহণ কোরো না। (আয়াত : ৪৩)
৮. রাতে বিশ্রাম করো এবং দিনে পরিশ্রম করো।
(আয়াত : ৪৭)
৯. বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্ক আল্লাহর নির্ধারিত।
(আয়াত : ৫৪)
১০. চলাফেরায় বিনম্র হও। (আয়াত : ৬৩)
১১. মূর্খদের সঙ্গে তর্ক কোরো না। (আয়াত : ৬৩)
১২. তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করো। (আয়াত : ৬৪)
১৩. আল্লাহর কাছে জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাও। (আয়াত : ৬৫-৬৬)
১৪. ব্যয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো। (আয়াত : ৬৭)
১৫. তাওবা পাপকে পুণ্যে পরিণত করে। (আয়াত : ৭০)
১৬. অর্থহীন কাজ পরিহার করো। (আয়াত : ৭২)
১৭. পরিবারের জন্য কল্যাণের দোয়া করো। (আয়াত : ৭৪)
গ্রন্থনা : মুফতি আতাউর রহমান