<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দাতব্য কাজে বছরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন পাউন্ড দান করেন যুক্তরাজ্যের মুসলিমরা। ২০৫০ সালের মধ্যে দানের অর্থের পরিমাণ চার বিলিয়ন পাউন্ডে গিয়ে পৌঁছবে। লন্ডনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান দ্য আয়ান ইনস্টিটিউটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রদান করা হয়েছে। সম্প্রতি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অ্যাইডিং দ্য উম্মাহ : অ্যানালাইসিং দ্য মুসলিম হিউম্যানিটেরিয়ান চ্যারিটি সেক্টর ইন দ্য ইউকে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আয়ান ইনস্টিটিউট। মুসলিম দাতব্য সংস্থার সংখ্যা নির্ণয়, আর্থিক সহায়তার বিশ্লেষণ ও কৌশলগত নির্দেশনা নিয়ে এ ধরনের গবেষণা প্রতিবেদন এবারই প্রথম উল্লেখ করে তাতে বলা হয়, ২০২০ সালে ব্রিটিশ মুসলিম দাতব্য সংস্থাগুলো ৭০৮ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের মুসলিমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দান করে থাকেন। তার মানে প্রতিবছর এক বিলিয়ন পাউন্ড দান করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবিক সহায়তার লক্ষ্যে দেশটিতে বর্তমানে এক হাজার ২৬টি মুসলিম দাতব্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চার হাজার ১০৮ ট্রাস্টির পরিচালনায় এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ১০ হাজার  ১২৭ স্বেচ্ছাসেবক। গত দুই দশকে মুসলিম দাতব্য প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির হার ৯১ শতাংশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাতে আরো বলা হয়, ২০২০ সালে ৭০৮ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ সংগ্রহ করা হয়। যার মধ্যে ৬১১ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হয়। অবশ্য এই বিপুল অর্থের ৭৬ শতাংশ হিসাবের সঙ্গে শীর্ষ ২০টি প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সহায়তায় এসব অর্থ ব্যয় হলেও ১০টি দেশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তা হলো পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, ইয়েমেন, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, সোমালিয়া, গাজা, ইরাক ও গাম্বিয়া। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, দরিদ্র ও অসহায়দের সহাযোগিতার ক্ষেত্রে মুসলিমরা ধর্মীয় উৎসাহ ও বাধ্যবাধকতাকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে। পাশ্চাত্যের দাতব্য ধারণার বদলে ইসলামের বহুমুখী কল্যাণের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে এ ধরনের গবেষণা খুবই কম হয়েছে। এতে শুধু যুক্তরাজ্যের মুসলিমদের মানবিক সেবার ইতিবাচক দিকটি তুলে ধরা হলেও বিশ্বব্যাপী মানবিক সেবায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মুসলিমদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দ্য আয়ান ইনস্টিটিউটের পরিচালক জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুসলিম দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাজ্যের সমাজ ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্বাস মূল প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। দাতব্যমূলক এমন কাজের আরো স্বীকৃতির দাবি রাখে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">    সূত্র : ফাইভ পিলার্স</span></span></span></span></p>